দুর্গাপুর, 26 অগস্ট : এলাকার জলসঙ্কট মেটাতে ঢাক ঢোল পিটিয়ে 2019 সালে কাঁকসার (Kanksa) কৃষ্ণপুরে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে তৈরি হয়েছিল একটি জলাধার (Durgapur Water Project) । প্রায় আড়াই লক্ষ গ্যালন জলধারণের ক্ষমতাযুক্ত এই জলাধার থেকে অজয়পল্লি ছাড়াও বিদবিহার, শিবপুর, বিষ্টুপুর, রাউতডিহা, নবগ্রাম, রাধামাধবপুর, কাজলাডিহি-সহ আশপাশের গ্রামের প্রায় হাজার তিরিশেক মানুষের উপকৃত হওয়ার কথা ছিল । কিন্তু প্রতিশ্রুতি কথার কথাতেই রয়ে গিয়েছে, বাস্তবে আজ তা গল্পকথা । কয়েকজন এই জলাধার থেকে উপকৃত হলেও একটা বড় অংশের মানুষ আজও সরকারি প্রকল্পের জলাধার থেকে পরিস্রুত পানীয় জল পাচ্ছেন না ।
যে পাইপ লাইন দিয়ে এই জলাধার থেকে জল ঘরে ঘরে পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল, সেই পাইপ লাইনে ত্রুটি থাকায় জল সরবরাহের ক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা তৈরি হয়েছে । জল সঙ্কটে জেরবার গ্রামের মানুষজন । এখন ক্ষোভে অনেকেই জলাধারের পাইপ লাইন ও কল খুলে রেখে দিয়েছেন । স্থানীয় বিদবিহার পঞ্চায়েতকে বিষয়টি বারবার জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা ৷ কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি । ফলে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে জলাধার তৈরি হলেও পরিস্রুত পানীয় জলের সমস্যা আজও অব্যাহত ।
আরও পড়ুন: Weather Forecast : আজও উত্তরে ভারী বৃষ্টিদিন, কাল থেকে আবহাওয়ায় উন্নতির সম্ভাবনা
স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি টাকা অপচয় করা হয়েছে । বেশকিছু বাড়িতে টিউবওয়েল আছে, তাই রক্ষে । কিন্তু অত্যধিক চাপে যখন সেই টিউবওয়েল খারাপ হয়ে যায়, তখন চরম সমস্যার মুখে পড়তে হয় গ্রামের মানুষজনকে । স্থানীয় বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য স্বপন সূত্রধর গ্রামবাসীদের পানীয় জলের যন্ত্রণার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ৷ জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আধিকারিকদের বিষয়টি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি ।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh : আমরা আপাতত উপনির্বাচন চাইছি না : দিলীপ ঘোষ
কোনওরকম পরিকল্পনা ছাড়া কীভাবে সরকারি অর্থ ব্যয় করে জলাধারটি তড়িঘড়ি বানিয়ে ফেলা হল ? ত্রুটিমুক্ত করে কেন পরিষেবা শুরু করা গেল না ? এই সব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে স্থানীয়দের মনে ৷ তাঁদের আরও প্রশ্ন, জলাধার তৈরির পর ত্রুটি যখন ধরা পড়ল, মানুষের অভিযোগ যখন জমা পড়ল, তখন কেন পানীয় জলের মতো একটি পরিষেবাকে ত্রুটিমুক্ত করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হল না ? স্থানীয়রা বলছেন, যখন মানুষের প্রয়োজনেই এই জলাধার কাজে লাগল না, তখন লোক দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে জলাধারটি বানানোর কোনও অর্থ ছিল না ৷ এমনই একরাশ হতাশা বুকে নিয়ে সুদিনের অপেক্ষায় রয়েছেন বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ।
আরও পড়ুন: Sujan Chakraborty : লোকাল ট্রেন-স্কুল বন্ধ, উপনির্বাচনের পরিবেশ কোথায় ? প্রশ্ন সুজনের