দুর্গাপুর, 23 মে : ভিনরাজ্য থেকে শ্রমিকরা আসতে শুরু করার পর থেকেই আশঙ্কায় ছিলেন দুর্গাপুরবাসী । তাঁদের মধ্যে থেকে কোরোনা সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে অনেকেই মনে করছিলেন । সেই আশঙ্কাই সত্যি হল । সম্প্রতি গুজরাত ও মুম্বই থেকে ফেরা দুই শ্রমিকের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে কোরোনা পজ়িটিভ পাওয়া গেছে ।
দুই কোরোনা আক্রান্তের মধ্যে একজন রাতুড়িয়ার বাসিন্দা । তিনি কিছুদিন আগে গুজরাত থেকে ফিরেছেন । আর একজন কাঁকসার পানাগড় স্টেশন সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা । তিনি ছয়দিন আগে একটি লরিতে করে মুম্বই থেকে ফিরেছেন ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মুম্বই থেকে ফেরা ওই শ্রমিক এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করছিলেন । পরে প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দিলে তারা ওই শ্রমিককে নিয়ে গিয়ে পানাগড়ের কমিউনিটি সেন্টারে কোয়ারানটিনে রাখেন ।
ওই দুই শ্রমিকের লালারসের নমুনাই পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় । গতকাল প্রথমে গুজরাত থেকে ফেরা ওই শ্রমিকের রিপোর্ট আসে । তাতে জানা যায়, তিনি কোরোনায় আক্রান্ত । তারপর থেকেই তিনি মলানদিঘির সনকা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । এরপর গতকালই মুম্বই থেকে ফেরা শ্রমিকেরও নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে আসে । তখনই জানা যায় , তিনিও কোরোনায় আক্রান্ত ।
পানাগড়ের ওই শ্রমিকের কোরোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পেতেই জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নড়েচড়ে বসে । ওই যুবকের সংস্পর্শে আসা নয়জনকে আজ পানাগড় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় । তাঁদের নমুনাও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ।
কাঁকসা ব্লক স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিপ্লব মণ্ডল বলেন, "ওই যুবকের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের হোম কোয়ারানটিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই । এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে কোরোনা । তবে, মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সঙ্গে সঙ্গে সচেতন থাকতে হবে ।"