দুর্গাপুর, 15 ফেব্রুয়ারি : দুর্গাপুর নগর নিগমের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন 759 জন টোটোচালক ৷ তারা প্রত্যেকেই দুর্গাপুর নগর নিগম থেকে 2015 সালে TIN ( TEMPORARY IDENTIFICATION NO ) প্রাপ্ত ৷ অভিযোগ, তাদের মহকুমা পরিবহন দপ্তরের পক্ষ থেকে জোর করে এই টোটোগুলি জলের দামে বিক্রি করে, একজন মাত্র ডিলারের কাছে নতুন ই-রিক্সা কেনার জন্য চাপ দিচ্ছে ৷ চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার 17 টি TIN নম্বরযুক্ত গাড়ি ধরপাকড় করে ৷ তার জেরেই এই আন্দোলন ৷
প্রসঙ্গত, 2015 সালে দুর্গাপুরে প্রথম টোটো গাড়ি রাস্তায় নামে । ফলে মিনিবাস,অটো-র পক্ষ থেকে অভিযোগ ওঠে । সরকারকে কোনও রেভিনিউ না দেওয়া এত টোটো কিভাবে রাস্তায় চলছে ? এই মর্মে অভিযোগ জমা পড়লে দুর্গাপুর নগর নিগমের পক্ষ থেকে 759 জন টোটো চালককে TIN নম্বর দেওয়া হয় । কিন্তু সেখান থেকে নম্বরপ্রাপ্ত এই টোটোগুলি ছাড়াও আর এক হাজারেরও বেশি টোটো রাস্তায় নামে ৷ ফলে টোটোর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দুর্গাপুর স্টেশন বাজার, বেনাচিতি, চণ্ডীদাস বাজার এলাকায় ব্যাপক যানজট দেখা যায় ৷
আজ নগরনিগমের সামনে স্থায়ী নম্বরের দাবিতে বিক্ষোভ করে টোটোচালকরা ৷ তাদের অভিযোগ, কয়েকমাস আগে প্রথমে এই TIN নম্বরহীন টোটো ধরপাকড় হয় । দুর্গাপুরের বিভিন্ন থানায় এই টোটোগুলি আজও রাখা । কিন্তু সেইসময় TIN নাম্বার প্রাপ্ত টোটোগুলিকে ধরা হয়নি । কিন্তু হঠাৎই দুর্গাপুরের মেইনগেটে একটি ই-রিক্সার শো-রুম হয় ও তারপরেই এই TIN নম্বরপ্রাপ্ত টোটোগুলিকে পুলিশকে সাথে নিয়ে ধরপাকড় করে পরিবহন দপ্তরের আধিকারিকরা ৷ TIN নম্বর প্রাপ্ত টোটোচালকদের ওই শো রুমে তাদের গাড়ি দিয়ে নতুন গাড়ি ই-রিক্সা কিনতে বলে পরিবহন দপ্তর ৷ নতুন গাড়ির দাম প্রায় এক লাখ 60 হাজার টাকা ৷ টোটো চালকদের আরও অভিযোগ, পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল ও পুর্ব বর্ধমানে TIN নম্বরপ্রাপ্ত টোটো অবাধে চলছে ৷ আবার রাজ্যের কোথাও কোথাও এই সমস্ত টোটোকেই পরিবহন দপ্তর থেকে স্থায়ী নম্বর দেওয়া হয়েছে । তাহলে দুর্গাপুরে নয় কেন?
আজ টোটো চালকরা বিক্ষোভ করে পৌর কমিশনার পুষ্পেন্দু মিত্রকে স্মারকলিপি দেন । কমিশনার বলেন, তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন । অন্যদিকে, টোটো চালকরা জানায়, এতেও যদি সুরাহা না হয় তাহলে আগামী দিনে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবে ৷