আসানসোল, 6 অগস্ট: রেলের তরফে তাঁকে সাংসদ হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি আসানসোলে ছিলেনও ৷ কিন্তু তারপরও রেলের অমৃত ভারত স্টেশন আধুনিকীকরণের শিলান্যাস অনুষ্ঠান এড়িয়ে গেলেন তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। আর তা নিয়েই কটাক্ষ করেছেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। যদিও শত্রুঘ্ন সিহনা দাবি করেন, তাঁর আরও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল।
রবিবার দেশের 508টি রেল স্টেশনকে আধুনিকীকরণ করার জন্য অমৃত ভারত স্টেশন আধুনিকীকরণ শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে এই শিলান্যাস অনুষ্ঠিত হয়। আসানসোল রেলস্টেশনে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। আসানসোল রেল ডিভিশনের মোট পাঁচটি স্টেশনকে এক হাজার 187 কোটি টাকা খরচ করে আধুনিককরণ করা হবে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। ঝাঁ চকচকে, বিমানবন্দরের মত হবে এই স্টেশনগুলি এমনটাই দাবি রেলের।
আসানসোল স্টেশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের জন্য সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল রেলের তরফে। কিন্তু শত্রুঘ্ন সিনহা সৌজন্যতা রাখেননি বলেই অভিযোগ করেছেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। সরকারি অনুষ্ঠান হলেও সাংসদ এদিন রেলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। অগ্নিমিত্রা পল বলেন, "নরেন্দ্র মোদি সরকারের হৃদয় অনেক বড়। তাই কেন্দ্র সরকারের অনুষ্ঠানেও তৃণমূলের বিধায়ক ও সাংসদদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। এই অনুষ্ঠানেও সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাকে নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু উনি হয়তো কোনও কাজে ব্যস্ত ছিলেন, তাই আসতে পারেননি। উনি তো আসানসোলে আসেন না। আসানসোলের মানুষও ভুলে গিয়েছে উনি কেমন দেখতে। আমরা ওঁর অভিনয়ের ভক্ত কিন্তু সাংসদ হিসেবে আসানসোলের মানুষ ওঁর কাছ থেকে কোনও রকমের কাজ, কোনও রকমের সুবিধা পান না।"
আরও পড়ুন: ‘ডিজি-র মদতে উত্তরবঙ্গ দিয়ে গরুপাচার ভাইপোর’, বাগডোগরায় বিস্ফোরক শুভেন্দু
শত্রুঘ্ন সিনহাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি অবশ্য স্বীকার করেছেন রেলের তরফে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি বলেন, "আমার এর চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল। আমি অন্য জায়গায় কথা দিয়ে ফেলেছিলাম। তাই যেতে পারিনি। আর এটা একটা ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান। একসঙ্গে 508টি রেল স্টেশনের শিলান্যাস। এইভাবে কখনও শিলান্যাস করা যায় না।" প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কঠোর সমালোচনা করে শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, "সব কাজেই উনি যাচ্ছেন। দফতরে কি অন্য আধিকারিক বা অন্য মন্ত্রী নেই? সব জায়গায় ওঁনাকেই যেতে হবে? ভগবান না করুক ওঁর কিছু হয়ে যাক, কিংবা অসুস্থ হয়ে পড়েন, কিংবা ভোটে যদি হেরে যান তাহলে এনডিএ ভেঙে পড়বে। কারণ ওদের আর কোনও মুখই নেই।"