দুর্গাপুর, 8 জানুয়ারি: জমি রেলের, আর তাতে টাকা নিয়ে পাট্টা দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয় কিছু তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে (Railway Land Problem Patta Controversy TMC Party Members ) ৷ শনিবার সেই জমি পুনরুদ্ধারে এসে রেল উচ্ছেদের নোটিস দিলে উত্তেজিত বাসিন্দারা চলে আসেন 29নং ওয়ার্ডের তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা দুর্গাপুর পৌরনিগমের (Durgapur Municipal Corporation) চার নম্বর বোরোর চেয়ারম্যান সুনীল চট্টোপাধ্যায়ের দলীয় অফিসে ৷ শনিবার দুপুর 2টো নাগাদ সেখানেই পাট্টা হতে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা ।
দুর্গাপুর পৌরনিগমের 29 নম্বর ওয়ার্ডের ঘুসিকডাঙা এলাকার এই ঘটনায় সগরভাঙা কলোনির তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের সামনে চলে আসেন উত্তেজিত বাসিন্দারা ৷ তাঁদের দাবি, পুনর্বাসন না দিয়ে উচ্ছেদ করা যাবে না ৷ আগে তাঁদের পুনর্বাসন দেওয়া হোক ৷
আরও পড়ুন : রাজ্যের আবাসনের অবস্থা জানতে দুর্গাপুরে পরিদর্শনে বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রতিনিধিরা
এই ঘটনার জেরে স্থানীয় প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর সুনীল চট্টোপাধ্যায়কে ঘিরে ধরে রীতমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা ৷ তাঁদের অভিযোগ, জমি যদি রেলেরই হয় তাহলে কেন সেই জমিতে ঢাকঢোল পিটিয়ে টাকার বিনিময়ে পাট্টা দেওয়ার নামে মিথ্যে কথা বলা হল ? কেন টাকা নেওয়া হল ?
এই বিষয়ে সাহাবুদ্দিন সেখ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, "নাম জানা নেই, তবে আমিন পরিচয় দিয়ে পাট্টা দেওয়ার নাম করে আমাদের কাছ থেকে 800 টাকা করে নেওয়া হয়েছিল ৷ আমাদের পাট্টা করে দেবে বলে আমরা সেই টাকা দিই ৷ কিন্তু পাট্টা না দিয়ে কোর্টের এফিডেফিটের একটা কাগজ আমাদের দেওয়া হয় ৷ রেল 28 ডিসেম্বর সরাসরি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল আজ নাহলে কাল আমাদের তুলে দেবে ৷ এই বিষয়ে আমরা স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে যাই কিছু উপায়ের জন্য ৷ উনি এখন বললেন দেখছি কী করা যায় ৷"
প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা চার নম্বর বোরো চেয়ারম্যান সুনীল চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, "তৃণমূল কোনও টাকা নেয়নি ৷ রেল পুনর্বাসন না দেওয়া পর্যন্ত এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ব না আমরা ৷ উচ্ছেদ আমরা রুখছি এবং রুখে দেব ৷"
আরও পড়ুন : রাস্তার দাবিতে পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি ঘেরাও এলাকাবাসীর