আসানসোল, 9 জুন : প্রথম ঢেউ কোনও মতে পার করা গিয়েছিল ৷ কিন্তু করোনার (Corona) দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল দেশবাসী ৷ পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ হবে ভাবতে পারেননি কেউই ৷ এবারে মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে অক্সিজেনের আকাল । দিল্লিতে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর ঘটনা দেশবাসীকে চমকে দিয়েছে । গোটা দেশেই একইভাবে অক্সিজেনের আকাল দেখা দিয়েছে । ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন-সহ ফ্রান্স, জার্মানির মতো দেশগুলির তরফে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর (Oxygen concentrator) দিয়ে ভারতকে সাহায্যের আশ্বাসও দেওয়া হয় ৷
এই পরিস্থিতিতে আসানসোল শিল্পাঞ্চলে (Asansol) অন্য ছবি । পর্যাপ্ত অক্সিজেন রয়েছে আসানসোলে । তবে অভাবও রয়েছে ৷ তা হল অক্সিজেন সিলিন্ডারের । এই অবস্থায় আবার অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ভালভের কালোবাজারি শুরু হয়েছে । তাই পর্যাপ্ত অক্সিজেন থাকলেও রোগীর কাছে পৌঁছানো যাচ্ছে না ।
শিল্পাঞ্চলে অক্সিজেনের ভাণ্ডার বলতে ইসকো কারখানা (IISCO Steel Plant) এবং দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট (Durgapur Steel Plant) ৷ অক্সিজেনের আকালের সময় এই দু'টি কারখানা থেকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে অক্সিজেন পাঠানো হয়েছে । এছাড়াও পানাগড়, জামুড়িয়া, রূপনারায়ণপুর-সহ একাধিক স্থানে বেসরকারি অক্সিজেন প্ল্যান্ট রয়েছে ৷ অর্থাৎ শিল্পাঞ্চলে পর্যাপ্ত অক্সিজেন রয়েছে ৷
এখানেই প্রশ্ন, তা সত্ত্বেও এত হা-হুতাশ কেন ? উত্তর, সিলিন্ডার নেই । আসানসোল শিল্পাঞ্চলে বেশির ভাগই শিল্পে ব্যবহার করার বি-টাইপ সিলিন্ডার রয়েছে । তা দিয়েই কাজ চালানো হচ্ছিল । অর্থাৎ কারখানায় অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে তা করোনা রোগীদের জন্য পাঠান হচ্ছিল । কিন্তু সেটাও করোনা রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত হয়ে উঠছে না ৷
রূপনারায়ণপুরের বেঙ্গল অক্সিজেন কারখানার পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, সিলিন্ডার নিয়ে এলে বিনামূল্যেও তাঁরা অক্সিজেন রিফিলিং করে দিয়েছেন । কিন্তু সিলিন্ডার কই ? করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অক্সিজেনের এত চাহিদা বাড়তে পারে তার জন্য তৈরি ছিল না দেশ । কিন্তু তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই তৈরি হতে হবে। কারন এ রাজ্যে অক্সিজেন থাকলেও সিলিন্ডার এ রাজ্যে তৈরি হয় না । তাই প্রচুর সিলিন্ডার যা চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, তা নিয়ে এনে রাখা দরকার৷ দ্বিতীয় ঢেউ থেকে শিক্ষা পেয়ে আগামীর তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলা এভাবেই করতে হবে ।
আরও পড়ুন : টিকাকরণ নিয়ে নয়া পোর্টাল এখনই চালু করছে না রাজ্য