ETV Bharat / state

কাঠের আগুনের আঁচে রান্না, গ্যাসের আশায় কাঁকসা গ্রামের মহিলারা - The struggle of life

দুর্গাপুরের কাঁকসা আদিবাসী গ্রামের পরিবারগুলির জীবন চরম সংকটে। ভাতের হাঁড়ি চাপাতে গরমের মধ্যে ঘাম ঝরিয়ে কাঠের উনুনে হয় রান্না। তারপর জোটে দু‘মুঠো ভাত। আগুনের জোগান হিসাবে পরিবারের মহিলারা প্রতিদিন বনজঙ্গল থেকে পাতা, শুকনো কাঠ, বাঁশ গাছের কঞ্চি কুড়িয়ে আনে। তাঁদের দাবি, আবেদন করেছেন একাধিক বার কিন্তু মেলেনি উজ্জ্বলা যোজনার গ্যাস।

দুর্গাপুরের কাঁকসা আদিবাসী গ্রাম
দুর্গাপুরের কাঁকসা আদিবাসী গ্রাম
author img

By

Published : May 24, 2021, 5:12 PM IST

দুর্গাপুর,24 মে: চরম সংকটের মুখে কাঁকসা আদিবাসী গ্রামের পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। করোনার বাড়বাড়ন্তে রাজ্যে কার্যত লকডাউন। জারি হয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ। তাই কাজ বন্ধ হয়েছে, সংকটে কাটছে তাঁদের দিন। কাঁকসার মলানদীঘি, বনকাটি, বিদবিহার পঞ্চায়েত এলাকায় একশোর বেশি আদিবাসী গ্রাম রয়েছে। খুব কষ্টের মধ্যে দিন গুজরান করতে হচ্ছে তাঁদের। ভাতের হাঁড়ি চাপাতে গরমের মধ্যে কাঠের উনুনের উপর ভরসা করতে হয়। দীর্ঘ সময় ধরে হয় রান্না, তারপর জোটে দু‘মুঠো ভাত।

মলানদীঘির রক্ষিতপুর, চুয়া, বড়ডোবা, কুলডিহার আদিবাসী পাড়ার মহিলারা নিত্যদিন জঙ্গল থেকে শুকনো পাতা এবং পড়ে থাকা শুকনো কাঠ মাথায় করে নিয়ে আসার পর শুরু করেন রান্না। এই প্রখর সূর্যের তাপের মধ্যে চলে তাঁদের জীবন সংগ্রাম। আবেদন করেছেন একাধিক বার, কিন্তু মেলেনি উজ্জ্বলা যোজনার গ্যাস। বাধ্য হয়েই ভরসা করতে হয় জঙ্গলের পাতা এবং শুকনো কাঠের উপর। পরিবারগুলির দাবী, একাধিক বার তাঁরা আবেদন করেছেন সরকারি দফতরে, কিন্তু মেলেনি উজ্জ্বলা যোজনার গ্যাস। আর ফাঁকা সিলিন্ডার থাকলেও যা গ্যাসের দাম তা যোগানো অসম্ভব।

দুর্গাপুরের কাঁকসা আদিবাসী গ্রাম

মলানদীঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য বিশ্বজিৎ কোনার বিজেপিকে তুলোধনা করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, ‘‘ভোট পাওয়ার জন্য বিজেপি ভাঁওতা দিয়েছিল আরও নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আমাদের নেত্রী মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন এবং আদিবাসী পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াচ্ছে।’’

পরিবারগুলির প্রশ্ন কবে মিলবে উজ্জ্বলা যোজনার গ্যাস? কবেই বা রান্নার হাঁড়ি চাপবে কাঠের উনুন থেকে গ্যাসের উনুনে? সেদিকেই তাকিয়ে তাঁরা।

দুর্গাপুর,24 মে: চরম সংকটের মুখে কাঁকসা আদিবাসী গ্রামের পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। করোনার বাড়বাড়ন্তে রাজ্যে কার্যত লকডাউন। জারি হয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ। তাই কাজ বন্ধ হয়েছে, সংকটে কাটছে তাঁদের দিন। কাঁকসার মলানদীঘি, বনকাটি, বিদবিহার পঞ্চায়েত এলাকায় একশোর বেশি আদিবাসী গ্রাম রয়েছে। খুব কষ্টের মধ্যে দিন গুজরান করতে হচ্ছে তাঁদের। ভাতের হাঁড়ি চাপাতে গরমের মধ্যে কাঠের উনুনের উপর ভরসা করতে হয়। দীর্ঘ সময় ধরে হয় রান্না, তারপর জোটে দু‘মুঠো ভাত।

মলানদীঘির রক্ষিতপুর, চুয়া, বড়ডোবা, কুলডিহার আদিবাসী পাড়ার মহিলারা নিত্যদিন জঙ্গল থেকে শুকনো পাতা এবং পড়ে থাকা শুকনো কাঠ মাথায় করে নিয়ে আসার পর শুরু করেন রান্না। এই প্রখর সূর্যের তাপের মধ্যে চলে তাঁদের জীবন সংগ্রাম। আবেদন করেছেন একাধিক বার, কিন্তু মেলেনি উজ্জ্বলা যোজনার গ্যাস। বাধ্য হয়েই ভরসা করতে হয় জঙ্গলের পাতা এবং শুকনো কাঠের উপর। পরিবারগুলির দাবী, একাধিক বার তাঁরা আবেদন করেছেন সরকারি দফতরে, কিন্তু মেলেনি উজ্জ্বলা যোজনার গ্যাস। আর ফাঁকা সিলিন্ডার থাকলেও যা গ্যাসের দাম তা যোগানো অসম্ভব।

দুর্গাপুরের কাঁকসা আদিবাসী গ্রাম

মলানদীঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য বিশ্বজিৎ কোনার বিজেপিকে তুলোধনা করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, ‘‘ভোট পাওয়ার জন্য বিজেপি ভাঁওতা দিয়েছিল আরও নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আমাদের নেত্রী মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন এবং আদিবাসী পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াচ্ছে।’’

পরিবারগুলির প্রশ্ন কবে মিলবে উজ্জ্বলা যোজনার গ্যাস? কবেই বা রান্নার হাঁড়ি চাপবে কাঠের উনুন থেকে গ্যাসের উনুনে? সেদিকেই তাকিয়ে তাঁরা।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.