আসানসোল, 4 এপ্রিল : আসানসোল উপনির্বাচনের ভোটে তৃণমূলকে জেতাতে প্রভাব খাটাচ্ছেন খোদ পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক, আসানসোলের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার । বেশকিছু থানার পুলিশ আধিকারিকরাও এই ভোটে তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন । এমনই অভিযোগ তুলেছে বিজেপি ৷ সোমবার এই একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে এই উপনির্বাচনের দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ আসানসোল সার্কিট হাউসে এই বৈঠকে শুভেন্দুর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন এই উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পল ৷
এদিন বৈঠক শেষে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "এই পুলিশ দিয়ে গত 12 ফেব্রুয়ারি আসানসোল পৌরনিগমের ভোট লুঠ করা হয়েছিল । বহু ভোটার ভোট দিতে পারেননি । পুলিশ আর গুন্ডা মিলে ভোট লুঠ করেছে । এই পুলিশ দিয়ে নির্বাচন মনিটরিং কখনও সম্ভব নয় । আমরা চিন্তিত, এই নির্বাচন এলাকার পুলিশ আধিকারিক না হয়েও সিউড়ির আইসি, গঙ্গাজল ঘাঁটির আইসি, বড়জোড়ার আইসি এবং কাঁকসার আইসি, এই নির্বাচনে তৃণমূলের পক্ষে রিগিং করানোর জন্য ব্যবস্থা, উদ্যোগ নিয়েছে । এই থানাগুলি অ্যাম্বুলেন্সও কিনেছে প্রচার শেষ হওয়ার পর গুন্ডাদের এলাকায় ঢোকানোর জন্য । বর্ডার এলাকায় কয়েক হাজার টোটো রাখা হয়েছে, যাতে মূল রাস্তায় নাকা থাকলেও বালিঘাট ও গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে গুন্ডা ঢুকিয়ে পৌরনিগমের কায়দায় ভোট লুঠ করা যায় ।"
আরও পড়ুন : 10 এপ্রিল আসানসোলে শত্রুঘ্ন সিনহার হয়ে প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
জেলার বর্তমান জেলাশাসককে দিয়ে নিরপেক্ষভাবে এই উপনির্বাচন করানো সম্ভব নয় বলেও পর্যবেক্ষকদের জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ তাঁর কথায়, "এই জেলাশাসকের জন্য অতীতে বাঁকুড়ায় ভোট লুঠ হয়েছে, আসানসোলে ভোট লুঠ হয়েছে । এই জেলাশাসককে দিয়ে আসানসোলে ভোট করা যাবে না । আমরা অভিযোগ করেছি গত 30 মার্চ আসানসোল ক্লাবে রাজ্যের মন্ত্রীর সঙ্গে জেলাশাসক, পুলিশের ডিসি অভিষেক গুপ্ত-সহ বেশকিছু জনের গোপন বৈঠক হয়েছে, তার তথ্য আমরা তুলে দিয়েছি । আমরা বলেছি, ভোটে মাইক্রো অবজারভার যেন কেন্দ্র সরকারের কর্মী হয় ।"