দুর্গাপুর, 14 মার্চ: রাজ্যজুড়ে ট্রাফিক আইন ভাঙলে মোটা টাকার জরিমানা করা হচ্ছে (Waste management vehicles controversy in Durgapur)। সেই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে খোদ নগর নিগমের 'মিশন নির্মল বাংলার' গাড়িতেই নেই নাম্বার প্লেট নেই রেজিস্ট্রেশন । কংগ্রেসের অভিযোগ 'স্বচ্ছ ভারত' প্রকল্পে কেন্দ্র থেকে রাজ্যে মোট 258 কোটি টাকা এসেছে । তা দিয়ে বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহের জন্যে নতুন গাড়ি কেনা হয়েছে । কিন্তু সেই গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর নেই । স্রেফ ক্রমিক নম্বর লিখে বেআইনিভাবে ওই গাড়ি গুলি রাস্তায় চালাচ্ছে দুর্গাপুর নগর নিগম । নম্বরহীন গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটালে বিমার কি হবে ?।
দুর্গাপুর নগর নিগমের পৌরপ্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়ের দাবি, 105টি নতুন গাড়ি এসেছে । সমস্ত গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে । তার মধ্যে 28টি গাড়ি বাকি আছে । দ্রুত রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে ।" এই প্রসঙ্গেই দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "তিনি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন ।"
পৌরপ্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়ের দাবি, যে সমস্ত গাড়ি নম্বর প্লেট বিহীন গাড়িগুলি জনসাধরণের কথা ভেবেই বন্ধ করা হয়নি ৷ তাতে সাধারণ মানুষের দারুণ সমস্যা হবে । ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জঞ্জাল সাফাইয়ের যে কাজ শুরু হয়েছে সেই কাজেও ব্যাঘাত ঘটবে । যে কোম্পানিগুলি এই গাড়িগুলি সরবরাহ করছে তাদের দায়িত্ব গাড়িগুলির রেজিস্ট্রেশন করে তারপর পৌর নিগমের হাতে তুলে দেওয়া ৷
আরও পড়ুন: আবর্জনা সংগ্রহ বন্ধ করে আন্দোলনে দুর্গাপুর পৌরনিগমের সাফাইকর্মীরা
কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী জানান, সবেতেই দুর্নীতি হচ্ছে । শুধু রেজিস্ট্রেশন নয়, কোনও বৈধ কাগজই নেই অধিকাংশ গাড়ির । এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, "রেজিস্ট্রেশন ও নাম্বারবিহীন এই গাড়িগুলি যদি পথ চলতি কোনও মানুষকে ধাক্কা মারে এবং তার জেরে যদি সেই আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয় তাহলে তার দায় কে নেবে ?"
কিন্তু প্রশ্ন হল, যে এখন যদি এই গাড়িগুলিকে একেবারে বৈধ প্রক্রিয়া মেনে চালাতে হয় তাহলে তার সময় সাপেক্ষ হয়ে দাঁড়াবে। আর তাতে কিন্তু শহরের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বাড়িতে বাড়িতে জঞ্জাল সংগ্রহ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সেই কাজ অনেকটা হলেও বন্ধ হয়ে যাবে । তাই এখন সরকারি সমস্ত দফতরের এই বিষয়টি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নিষ্পত্তি ঘটানো আশু প্রয়োজন বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল ।