ETV Bharat / state

নেই রেল নীরের জোগান, স্টেশনে রমরমিয়ে বিকোচ্ছে অন্যান্য কম্পানির জল

রয়েছে IRCTC-র খাবারের স্টল । অথচ মিলছে না রেলের নিজস্ব পানীয় জল 'রেল নীর' । পরিবর্তে মজুত অন্যান্য কম্পানির বোতল বন্দী জল । এমনকী রেলের নিজস্ব স্টলগুলিতেও নেই রেল নীর । ক্রমাগত বিক্রি হচ্ছে রেলের অনুমোদনহীন কম্পানির পানীয় জল । প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী অন্যান্য বেসরকারি জলের কম্পানিগুলির সুবিধার্থেই রেল নীর বন্ধের সিদ্ধান্ত?

বেলি
author img

By

Published : Sep 4, 2019, 8:28 PM IST

Updated : Sep 4, 2019, 9:00 PM IST

আসানসোল, 4 সেপ্টেম্বর : রয়েছে IRCTC-র খাবারের স্টল । অথচ মিলছে না রেলের নিজস্ব পানীয় জল 'রেল নীর' । পরিবর্তে মজুত অন্যান্য কম্পানির বোতলবন্দী জল । এমনকী রেলের নিজস্ব স্টলগুলিতেও নেই রেল নীর । ক্রমাগত বিক্রি হচ্ছে রেলের অনুমোদনহীন কম্পানির পানীয় জল । প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী অন্যান্য বেসরকারি জলের কম্পানিগুলির সুবিধার্থেই রেল নীর বন্ধের সিদ্ধান্ত? রেলের তরফে জানানো হয়েছে, রেল নীরের চারটি কারখানার মধ্যে তিনটি কারখানাই বন্ধ । ফলে চাহিদা অনুযায়ী মিটছে না রেল নীরের জোগান । কিন্তু রেলের নিজেদের কারখানা বন্ধ রেখে অন্য কম্পানির জল বেচার নেপথ্যে কী কারণ?

রেলে যে পানীয় জল অথবা যে খাবার বিক্রি হয় তা রেলের নিজস্ব সংস্থা IRCTC থেকেই দেওয়া হয় । তবে কিছু ক্ষেত্রে IRCTC অনুমোদিত পানীয় এবং খাদ্যদ্রব্য রেলের তরফে সরবরাহ করা হয় । IRCTC-র নিজস্ব পানীয় জল রেল নীর । কিন্তু গত ছ'মাস ধরে আসানসোল স্টেশনসহ পুরো আসানসোল রেল ডিভিশনেই বন্ধ রেল নীরের সরবরাহ । তার বদলে বিকোচ্ছে রেলের অনুমোদনহীন বিসলেরি জল কিংবা বেলি কম্পানির জল । কিন্তু নিজেদের জল বন্ধ করে কেন অন্যান্য কম্পানির জল বিক্রি করছে রেল? রেলসূত্রে খবর, রেলে জল বিক্রির জন্য বেলি কম্পানিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে রেলের তরফে । কিন্তু আসানসোল ডিভিশনে জল বিক্রি করার কোনও অনুমোদন বিসলেরি পায়নি । তা সত্ত্বেও রেলের কাউন্টারে রমরমিয়ে বিকোচ্ছে বিসলেরি । এপ্রসঙ্গে বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, যে কম্পানির সাপ্লাই আসছে তাই বিক্রি হচ্ছে ।

শুনুন বক্তব্য

আসানসোলের DRM সুমিত সরকার বলেন, "IRCTC চিঠি দিয়ে জানিয়েছে যে রেল নীরের চারটি কারখানার মধ্যে তিনটিই বন্ধ । ফলে যেটুকু জল সরবরাহ হচ্ছে তা রাজধানী ও শতাব্দীর মত প্রাইম ট্রেনে যাচ্ছে । বাকি যাত্রীদের জন্য বেলি কম্পানির জল স্টেশনে ও ট্রেনে বিক্রির অনুমোদন মিলেছে । কিন্তু এখন বেলি কম্পানিও চাহিদা অনুযায়ী জল সরবরাহ করতে পারছে না । তাই আগামীদিনে বিসলেরি বা অন্য ভালো কম্পানির জল বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হবে ।" সুমিতবাবু আরও বলেন, "হাওড়াতেও বিভিন্ন কম্পানীর জল বিক্রি হচ্ছে । তবে যাত্রী সুবিধার কথা ভেবে ভালো কম্পানির জলই অনুমোদন করা হবে ।"

কিন্তু প্রশ্ন, যেখানে জলের এত চাহিদা, এমনকী বেসরকারি সংস্থাগুলিও জল সরবরাহ করে উঠতে পারছে না, সেখানে সরকারি তিনটি কারখানা কেনই বা বন্ধ? তবে কি বেসরকারি সংস্থাগুলিকে সুবিধে পাইয়ে দিতেই রেলের এই পরিকল্পনা? মেলেনি উত্তর ।

আসানসোল, 4 সেপ্টেম্বর : রয়েছে IRCTC-র খাবারের স্টল । অথচ মিলছে না রেলের নিজস্ব পানীয় জল 'রেল নীর' । পরিবর্তে মজুত অন্যান্য কম্পানির বোতলবন্দী জল । এমনকী রেলের নিজস্ব স্টলগুলিতেও নেই রেল নীর । ক্রমাগত বিক্রি হচ্ছে রেলের অনুমোদনহীন কম্পানির পানীয় জল । প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী অন্যান্য বেসরকারি জলের কম্পানিগুলির সুবিধার্থেই রেল নীর বন্ধের সিদ্ধান্ত? রেলের তরফে জানানো হয়েছে, রেল নীরের চারটি কারখানার মধ্যে তিনটি কারখানাই বন্ধ । ফলে চাহিদা অনুযায়ী মিটছে না রেল নীরের জোগান । কিন্তু রেলের নিজেদের কারখানা বন্ধ রেখে অন্য কম্পানির জল বেচার নেপথ্যে কী কারণ?

রেলে যে পানীয় জল অথবা যে খাবার বিক্রি হয় তা রেলের নিজস্ব সংস্থা IRCTC থেকেই দেওয়া হয় । তবে কিছু ক্ষেত্রে IRCTC অনুমোদিত পানীয় এবং খাদ্যদ্রব্য রেলের তরফে সরবরাহ করা হয় । IRCTC-র নিজস্ব পানীয় জল রেল নীর । কিন্তু গত ছ'মাস ধরে আসানসোল স্টেশনসহ পুরো আসানসোল রেল ডিভিশনেই বন্ধ রেল নীরের সরবরাহ । তার বদলে বিকোচ্ছে রেলের অনুমোদনহীন বিসলেরি জল কিংবা বেলি কম্পানির জল । কিন্তু নিজেদের জল বন্ধ করে কেন অন্যান্য কম্পানির জল বিক্রি করছে রেল? রেলসূত্রে খবর, রেলে জল বিক্রির জন্য বেলি কম্পানিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে রেলের তরফে । কিন্তু আসানসোল ডিভিশনে জল বিক্রি করার কোনও অনুমোদন বিসলেরি পায়নি । তা সত্ত্বেও রেলের কাউন্টারে রমরমিয়ে বিকোচ্ছে বিসলেরি । এপ্রসঙ্গে বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, যে কম্পানির সাপ্লাই আসছে তাই বিক্রি হচ্ছে ।

শুনুন বক্তব্য

আসানসোলের DRM সুমিত সরকার বলেন, "IRCTC চিঠি দিয়ে জানিয়েছে যে রেল নীরের চারটি কারখানার মধ্যে তিনটিই বন্ধ । ফলে যেটুকু জল সরবরাহ হচ্ছে তা রাজধানী ও শতাব্দীর মত প্রাইম ট্রেনে যাচ্ছে । বাকি যাত্রীদের জন্য বেলি কম্পানির জল স্টেশনে ও ট্রেনে বিক্রির অনুমোদন মিলেছে । কিন্তু এখন বেলি কম্পানিও চাহিদা অনুযায়ী জল সরবরাহ করতে পারছে না । তাই আগামীদিনে বিসলেরি বা অন্য ভালো কম্পানির জল বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হবে ।" সুমিতবাবু আরও বলেন, "হাওড়াতেও বিভিন্ন কম্পানীর জল বিক্রি হচ্ছে । তবে যাত্রী সুবিধার কথা ভেবে ভালো কম্পানির জলই অনুমোদন করা হবে ।"

কিন্তু প্রশ্ন, যেখানে জলের এত চাহিদা, এমনকী বেসরকারি সংস্থাগুলিও জল সরবরাহ করে উঠতে পারছে না, সেখানে সরকারি তিনটি কারখানা কেনই বা বন্ধ? তবে কি বেসরকারি সংস্থাগুলিকে সুবিধে পাইয়ে দিতেই রেলের এই পরিকল্পনা? মেলেনি উত্তর ।

Intro:IRCTC-র খাবারের স্টল কিংবা ফুড প্লাজা। রেলওয়ের স্টলেই মিলছে না রেলের নিজস্ব পানীয় জল "রেল নীর"। পরিবর্তে সেখানেই মিলছে অন্যান্য কোম্পানীর বোতলবন্দী জল ।এমনকি খোদ রেলওয়ের স্টলগুলোতে বিক্রি হচ্ছে রেলের অনুমোদন না করা পানীয় জল। প্রশ্ন উঠছেই রেল কি তবে অন্যান্য কোম্পানীদের সুবিধে করে দিতেই রেল নীরের সরবরাহ বন্ধ করে দিচ্ছে? রেলের তরফে জানানো হয়েছে রেল নীরের চারটি কারখানার মধ্যে তিনটি বন্ধ। নিজেদের কারখানা বন্ধ করে অন্য কোম্পানির জল বেচতে রেল কেনইবা এত আগ্রহী?

রেলের নিয়ম অনুসারে রেলে যে পানীয় জল বিক্রি হবে কিংবা যে খাবার বিক্রি করা হয় তা রেলের নিজস্ব সংস্থা IRCTC থেকে দেওয়া হয়। কিছু ক্ষেত্রে IRCTC অনুমোদিত পানীয় এবং খাদ্যদ্রব্য রেলের সরবরাহ হয়। রেলের IRCTC-র নিজস্ব পানীয় জল রেল নীর। কিন্তু গত মাস ছয়েক ধরে আসানসোল স্টেশন সহ পুরো আসানসোল রেল ডিভিশনের রেল নীরের সরবরাহ বন্ধ । তার বদলে বিকোচ্ছে রেলের অনুমোদনহীন বিসলেরি জল কিংবা বিলে কোম্পানির জল। প্রশ্ন উঠছে নিজেদের জল বন্ধ করে কেনইবা অন্যান্য সংস্থার জল বিক্রি করছে রেল। রেলের আইআরসিটিসির কাউন্টারে, রেলের ফুডপ্লাজায় বিকোচ্ছে অনুমোদনহীন বিসলেরি বা বিলে কোম্পানির জল। রেলসূত্রে জানা গেলো বিলে কোম্পানিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে জল বিক্রির জন্য। কিন্তু বিসলেরির কোন অনুমোদন নেই আসানসোল ডিভিশনে জল বিক্রি করার। তা সত্ত্বেও রেলের কাউন্টারেই বিকোচ্ছে বিসলেরি। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন যা সাপ্লাই আসছে তাই বিক্রি হচ্ছে। রেলের নিজস্ব জল রেল নীর আসছে না কয়েক মাস।
আসানসোল রেল ডিভিশনের DRM সুমিত সরকার জানিয়েছেন, 'IRCTC চিঠি দিয়ে জানিয়েছে রেলনীরের চারটি কারখানার মধ্যে তিনটিই বন্ধ। ফলে যেটুকু সরবরাহ হচ্ছে তা রাজধানী ও শতাব্দীর মত প্রাইম ট্রেনে যাচ্ছে। বাকি রেলযাত্রীদের জন্য বিলে কোম্পানির জল স্টেশনে ও ট্রেনে বিক্রির অনুমোদন মিলেছে। কিন্তু বিলে-ও চাহিদা মত সরবরাহ করতে পারচে না। তাই আগামীদিনে বিসলেরি বা ভালো কোম্পানির জল বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হবে। হাওড়াতেও বিভিন্ন কোম্পনীর জল বিক্রি হচ্ছে। যাত্রী সুবিধের কথা ভেবে ভাল কোম্পানির জল অনুমোদন করা হবে।"
কিন্তু প্রশ্ন, যেখানে জলের এত চাহিদা, বেসরকারি কোম্পানি জল সরবরাহ করে উঠতে পারছে না, যেখানে সরকারি তিনটি কারখানা কেনই বা বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে কি বেসরকারি সংস্থাগুলিকে সুবিধে পাইয়ে দিতেই এমন পরিকল্পনা? উত্তর মেলেনি।


Body:..


Conclusion:
Last Updated : Sep 4, 2019, 9:00 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.