আসানসোল ও দুর্গাপুর, 1 ডিসেম্বর: বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের (Private Security Guard) প্রত্যাহার করতে চলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত কয়লা সংস্থা ইসিএল (ECL) কর্তৃপক্ষ । ইসিএলের সমস্ত এরিয়ায় দু’হাজারের বেশি অস্থায়ী নিরাপত্তারক্ষীকে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর মিলেছে ৷ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভিন্ন খনির উৎপাদন ও পরিবহণ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অস্থায়ী নিরাপত্তারক্ষীরা । এর ফলে কয়লা শিল্পে প্রভূত ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে । প্রভাব পড়বে বিভিন্ন কল কারখানায় এবং তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনে ।
হঠাৎ করেই অস্থায়ী নিরাপত্তা কর্মীদের ইসিএল নোটিশ দিয়েছে যে তাঁদের কাজ থেকে বরখাস্ত করা হল । আর এই ঘটনার পরেই ইসিএলের বিভিন্ন খনিতে চলছে বিক্ষোভ । বৃহস্পতিবার সকালে পশ্চিম বর্ধমানের সালানপুর (Salanpur) এরিয়ার সমস্ত কয়লা খনি বন্ধ করে বিক্ষোভে নামেন নিরাপত্তারক্ষীরা (Agitation against ECL) ।
যদিও এক ঘণ্টা পরে উৎপাদনে বাধা না দিয়ে সরে আসেন বিক্ষোভকারীরা । কিন্তু পরিবহণ সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । অস্থায়ী নিরাপত্তারক্ষীদের দাবি, যদি তাঁদের কাজে পুনর্বহাল না করা হয়, তাহলে পরিবহণ বন্ধ থাকবে এবং আগামিদিনে প্রয়োজনে উৎপাদন বন্ধ করা হতে পারে ।
সালানপুর এরিয়ায় মোট 173 জন অস্থায়ী নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে । যারা প্রায় 25-30 বছর ধরে অস্থায়ী নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করে আসছেন । কিন্তু হঠাৎ করেই ইসিএল নোটিশ পাঠিয়েছে, অতিরিক্ত কর্মী হয়ে যাওয়ার কারণেই নিরাপত্তারক্ষীদের কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে । নিরাপত্তারক্ষীদের দাবি, ইসিএল ম্যানেজমেন্ট চুরি করার জন্যই নিরাপত্তারক্ষীদের সরিয়ে দিচ্ছে । আর তাই বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন খনিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা ৷ তাঁরা তৃণমূলের পতাকা নিয়েই এই আন্দোলন করছেন ।
তবে শুধু সালানপুর এরিয়াই নয় ইসিএলের বিভিন্ন এরিয়ায় এই বিক্ষোভ চলছে । বন্ধ রয়েছে কয়লার পরিবহণ । এর ফলে একদিকে যেমন কয়লা শিল্পে প্রভূত ক্ষতি হচ্ছে, পাশাপাশি কয়লার উপর নির্ভরশীল বিভিন্ন কল কারখানায় উৎপাদনেও ভাঁটা পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে । তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনেও ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে । যদিও এই বিষয়ে ইসিএলের পক্ষ থেকে কিছু মন্তব্য পাওয়া যায়নি ।