ETV Bharat / state

এক সময়ের আবর্জনার স্তূপ এখন সবুজ উপত্যকা - Garbage ground

এক সময় দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার জন্য অধিকৃত জমিতে দুর্গাপুর পৌরসভা জঞ্জাল এনে ফেলতে শুরু করে ৷ স্তূপাকার সেই জঞ্জাল সরিয়ে বাহারি শাক-সবজি, ফুলের চাষ করে দুর্গাপুরের মানুষকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন একশোটি কৃষক পরিবার ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : Dec 12, 2020, 7:02 AM IST

Updated : Dec 12, 2020, 7:15 AM IST

দুর্গাপুর, 12 ডিসেম্বর : এক সময়ের আবর্জনার স্তূপ আজ প্রায় 100 টি কৃষক পরিবারের প্রচেষ্টায় সবুজ উপত্যকায় পরিণত । দুর্গন্ধময় সেই স্তূপ সরিয়ে আজ বাহারি শাক-সবজি, ফুলের চাষ করে দুর্গাপুরের মানুষকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন একশোটি কৃষক পরিবার । শুধু তাই নয়, স্থানীয় বাজারে মানুষ পাচ্ছেন তাজা কাঁচা সবজি । শিল্প শহরে এই পরিবারগুলি এসেছিলেন শিল্প-কলকারখানায় জীবিকার সন্ধানে । কিন্তু কলকারখানায় কাজ না পাওয়া পরিবারগুলি সবুজ বিপ্লব ঘটিয়ে খুঁজে পেয়েছেন জীবিকার সন্ধান ।

দুর্গাপুরের কবিগুরু থেকে বিধাননগর যাওয়ার মূল রাস্তার পাশে রয়েছে একটি জমি ৷ সেটি মূলত দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার জন্য অধিকৃত ছিল ৷ যা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়েছিল ৷ কিন্তু সেই জমির উপরে দুর্গাপুর পৌরসভা এলাকার সমস্ত জঞ্জাল আবর্জনা ফেলা হত। এই রাস্তার পাশে বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয় ছাড়াও দুর্গাপুর সরকারি মহাবিদ্যালয় রয়েছে । হাজার হাজার মানুষকে প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। কয়েক বছর আগেও এই জমিতে দুর্গন্ধের কারণে পরিবেশ একেবারে দূষিত হয়ে গিয়েছিল । যার কারণে দুর্গাপুর সরকারি মহাবিদ্যালয় শিক্ষকরাও এই আবর্জনা ফেলার প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন ।

আজ সেই জমিকে দিনরাত এক করে চাষযোগ্য জমি করে তুলেছেন প্রায় 100 টি পরিবার । রাস্তার দুই পাশে ফাঁকা থাকা জমিতেই শুধু নয়, জঙ্গলের মাঝে ফাঁকা জায়গাগুলিতেও সবুজ শাকসবজি চাষ করে কার্যত তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তাঁরা । বছরে দশ মাস চাষ হয় । কারণ এলাকায় জলের প্রচণ্ড অভাব । তাই বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে কৃষি কাজ করা যায় না । গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন শাকসবজি এরা চাষ করেন। উৎপাদিত শাকসবজি স্থানীয় বেনাচিতি, চন্ডীদাস বাজার ,মামড়া বাজার, মুচিপাড়া বাজার-সহ এই রাস্তার দু'পাশে বিক্রি করা হয়। দুর্গাপুরের মানুষ এই কৃষক পরিবারগুলির সৌজন্যে তাজা শাকসবজি খাওয়ার স্বাদ পাচ্ছেন । আর কৃষক পরিবারগুলি এই আবর্জনার স্তুপ সরিয়ে সবুজ উপত্যকা গড়ে তুলে খুঁজে পেয়েছেন জীবিকার সন্ধান।

আবর্জনার স্তূপ এখন সবুজ উপত্যকা

তবে, এই কৃষকদের দাবি যদি তাঁদেরকে জলের সামান্য ব্যবস্থা করে দেওয়া যেত তাহলে আরও অনেক বেশি সবজি চাষ তাঁরা করতে পারতেন।

আরও পড়ুন : সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি কোরোনা ভ্যাকসিনকে হিউম্য়ান ট্রায়ালের অনুমতি

photo
একসময়ের আবর্জনার স্তূপ এখন সবুজ উপত্যকা

আবর্জনার স্তূপ আজ সবুজ উপত্যকা । চারিদিকে শুধুই সবুজ শাকসবজি আর রং বাহারি ফুল । কৃষকদের কায়িক পরিশ্রমের ফসল ফলছে এই ভূখণ্ডে । বহু মানুষ শীতকালীন সবজির স্বাদ পেতে সরাসরি কৃষকদের কাছে চলে আসেন । টমেটো, বাঁধাকপি ,ফুলকপি, বেগুন ,কাঁচা লঙ্কা ছাড়াও এই মাটিতেই লাউ ,কুমড়ো ,ঝিঙে ,পটল প্রায় সমস্ত কিছুই চাষাবাদ হয় । 100 টি পরিবার মাথার ঘাম পায়ে ফেলে আজ রুক্ষ ভূমিতে সবুজ বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেছেন ৷

দুর্গাপুর, 12 ডিসেম্বর : এক সময়ের আবর্জনার স্তূপ আজ প্রায় 100 টি কৃষক পরিবারের প্রচেষ্টায় সবুজ উপত্যকায় পরিণত । দুর্গন্ধময় সেই স্তূপ সরিয়ে আজ বাহারি শাক-সবজি, ফুলের চাষ করে দুর্গাপুরের মানুষকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন একশোটি কৃষক পরিবার । শুধু তাই নয়, স্থানীয় বাজারে মানুষ পাচ্ছেন তাজা কাঁচা সবজি । শিল্প শহরে এই পরিবারগুলি এসেছিলেন শিল্প-কলকারখানায় জীবিকার সন্ধানে । কিন্তু কলকারখানায় কাজ না পাওয়া পরিবারগুলি সবুজ বিপ্লব ঘটিয়ে খুঁজে পেয়েছেন জীবিকার সন্ধান ।

দুর্গাপুরের কবিগুরু থেকে বিধাননগর যাওয়ার মূল রাস্তার পাশে রয়েছে একটি জমি ৷ সেটি মূলত দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার জন্য অধিকৃত ছিল ৷ যা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়েছিল ৷ কিন্তু সেই জমির উপরে দুর্গাপুর পৌরসভা এলাকার সমস্ত জঞ্জাল আবর্জনা ফেলা হত। এই রাস্তার পাশে বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয় ছাড়াও দুর্গাপুর সরকারি মহাবিদ্যালয় রয়েছে । হাজার হাজার মানুষকে প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। কয়েক বছর আগেও এই জমিতে দুর্গন্ধের কারণে পরিবেশ একেবারে দূষিত হয়ে গিয়েছিল । যার কারণে দুর্গাপুর সরকারি মহাবিদ্যালয় শিক্ষকরাও এই আবর্জনা ফেলার প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন ।

আজ সেই জমিকে দিনরাত এক করে চাষযোগ্য জমি করে তুলেছেন প্রায় 100 টি পরিবার । রাস্তার দুই পাশে ফাঁকা থাকা জমিতেই শুধু নয়, জঙ্গলের মাঝে ফাঁকা জায়গাগুলিতেও সবুজ শাকসবজি চাষ করে কার্যত তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তাঁরা । বছরে দশ মাস চাষ হয় । কারণ এলাকায় জলের প্রচণ্ড অভাব । তাই বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে কৃষি কাজ করা যায় না । গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন শাকসবজি এরা চাষ করেন। উৎপাদিত শাকসবজি স্থানীয় বেনাচিতি, চন্ডীদাস বাজার ,মামড়া বাজার, মুচিপাড়া বাজার-সহ এই রাস্তার দু'পাশে বিক্রি করা হয়। দুর্গাপুরের মানুষ এই কৃষক পরিবারগুলির সৌজন্যে তাজা শাকসবজি খাওয়ার স্বাদ পাচ্ছেন । আর কৃষক পরিবারগুলি এই আবর্জনার স্তুপ সরিয়ে সবুজ উপত্যকা গড়ে তুলে খুঁজে পেয়েছেন জীবিকার সন্ধান।

আবর্জনার স্তূপ এখন সবুজ উপত্যকা

তবে, এই কৃষকদের দাবি যদি তাঁদেরকে জলের সামান্য ব্যবস্থা করে দেওয়া যেত তাহলে আরও অনেক বেশি সবজি চাষ তাঁরা করতে পারতেন।

আরও পড়ুন : সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি কোরোনা ভ্যাকসিনকে হিউম্য়ান ট্রায়ালের অনুমতি

photo
একসময়ের আবর্জনার স্তূপ এখন সবুজ উপত্যকা

আবর্জনার স্তূপ আজ সবুজ উপত্যকা । চারিদিকে শুধুই সবুজ শাকসবজি আর রং বাহারি ফুল । কৃষকদের কায়িক পরিশ্রমের ফসল ফলছে এই ভূখণ্ডে । বহু মানুষ শীতকালীন সবজির স্বাদ পেতে সরাসরি কৃষকদের কাছে চলে আসেন । টমেটো, বাঁধাকপি ,ফুলকপি, বেগুন ,কাঁচা লঙ্কা ছাড়াও এই মাটিতেই লাউ ,কুমড়ো ,ঝিঙে ,পটল প্রায় সমস্ত কিছুই চাষাবাদ হয় । 100 টি পরিবার মাথার ঘাম পায়ে ফেলে আজ রুক্ষ ভূমিতে সবুজ বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেছেন ৷

Last Updated : Dec 12, 2020, 7:15 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.