ETV Bharat / state

অসুস্থ স্ত্রী-সহ ঝাড়খণ্ড সীমান্তে আটকে, মুখ্যমন্ত্রীকে ভিডিয়ো বার্তা প্রবীণের

অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে ঝাড়খণ্ড সীমান্তে আটকে পড়েছেন উত্তর 24 পরগনার বাসিন্দা স্বরূপ চৌধুরি ৷ বর্তমানে রাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী ভিনরাজ্য থেকে কেউ এই রাজ্যে এলে কাউকেই এই রাজ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না । তাই তারা ওখানেই একটি হোটেলে আটকে পড়েছেন ৷ হোটেল খরচও ব্যয়বহুল ৷ তাই আর খরচ করার মতো টাকাও নেই ৷ তাই একটি ভিডিয়ো বার্তায় মুখ্যমন্ত্রীকে বাড়ি ফেরার আবেদন জানিয়েছেন তিনি ৷

Asansol
আটকে পড়া দম্পতি
author img

By

Published : Apr 18, 2020, 7:35 PM IST

আসানসোল , 18 এপ্রিল : হংকং থেকে ফিরে দিল্লিতে 18 দিন কোয়ারান্টাইনে ছিলেন । দিল্লি প্রশাসনের সহায়তায় শারীরিক পরীক্ষার ছাড়পত্র পেয়ে গাড়ি করে এই রাজ্যে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন । কিন্তু আটকে পড়েছেন বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে । নিয়ম অনুযায়ী , অন্য রাজ্য থেকে এই রাজ্যে কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না । ঝাড়খণ্ডে সীমান্তের একটি হোটেলে অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে এভাবেই দিন কাটছে সত্তরোর্ধ্ব এক বৃদ্ধের । হাতের টাকা শেষ । আর হোটেলে খরচ করার মতো টাকা নেই । এই অবস্থায় কোনও উপায় না দেখে ভিডিয়ো বার্তায় মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তাঁদের বাড়ি ফেরানোর জন্য কাতর আবেদন জানান ওই বৃদ্ধ ।

উত্তর 24 পরগনার মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা স্বরূপ চৌধুরি এবং তাঁর স্ত্রী ছবি চৌধুরি । দুজনেই প্রবীণ নাগরিক । ছবিদেবী শারীরিকভাবে অসুস্থ । তিনবার হার্টের অপারেশন হয়েছে বলে স্বরুপ চৌধুরি জানান । গত মাসে এই দম্পতি ছেলের কাছে বেড়াতে হংকং গেছিলেন । কিন্তু ছবি দেবীর লাইফ সাপোর্ট কিছু ওষুধ সেখানে না মেলায় তাঁরা দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন ।

স্বরূপ চৌধুরি আমাদের ফোনে জানান , 20 মার্চ রাতে তাঁরা দিল্লি বিমানবন্দরে নামেন । তখন দেশে কোরোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে । দিল্লি পুলিশ এবং প্রশাসন স্বরূপ চৌধুরি ও তাঁর স্ত্রীকে বলেন তাঁদের কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে । সেইমতো ওইদিন থেকে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে একটি কোয়ারান্টাইন সেন্টারে তাঁদের রাখা হয় । 18 দিন ধরে কোয়ারান্টাইনে থাকার পর দিল্লি প্রশাসন সমস্ত শারীরিক পরীক্ষার পর তাঁদের বাংলায় ফেরার ছাড়পত্র মেলে । 12 এপ্রিল দিল্লি থেকে নিজেরা গাড়ি ভাড়া করে মধ্যমগ্রাম ফিরছিলেন । 13 এপ্রিল রাতে বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে এসে আটকে পড়েন ওই দম্পতি । আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট তাদের এ রাজ্যে ঢুকতে দেয়নি । ফলে সীমান্ত এলাকায় মাইথনে একটি হোটেলে অসহায় ভাবে দিন কাটছে ওই দম্পতির । হোটেলের খরচ প্রতিদিন 3000 টাকা ।

স্বরূপ চৌধুরি জানান , “আমি অবসরপ্রাপ্ত কর্মী । স্ত্রীর শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রচুর টাকার ওষুধ কিনতে হয় । এই অবস্থায় হাতের টাকা শেষ । এই হোটেলে আমার পক্ষে আর থাকা সম্ভব হচ্ছে না ।” পুলিশ-প্রশাসনের দরজায় কড়া নেড়েও কোনও লাভ হয়নি । অগত্যা ভিডিয়ো বার্তার মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বাড়ি ফেরার আর্জি জানিয়েছেন ৷ তিনি সোশাল মিডিয়ায় এই ভিডিয়োটি দিয়েছেন । কিন্তু এখনও কোনও লাভ হয়নি ।

আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গেছে , বর্তমানে রাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী ভিনরাজ্য থেকে কেউ এই রাজ্যে এলে কাউকেই এই রাজ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না । এই অবস্থায় ওই দম্পতি কী করবেন , তা ভেবে পাচ্ছেন না ।

আসানসোল , 18 এপ্রিল : হংকং থেকে ফিরে দিল্লিতে 18 দিন কোয়ারান্টাইনে ছিলেন । দিল্লি প্রশাসনের সহায়তায় শারীরিক পরীক্ষার ছাড়পত্র পেয়ে গাড়ি করে এই রাজ্যে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন । কিন্তু আটকে পড়েছেন বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে । নিয়ম অনুযায়ী , অন্য রাজ্য থেকে এই রাজ্যে কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না । ঝাড়খণ্ডে সীমান্তের একটি হোটেলে অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে এভাবেই দিন কাটছে সত্তরোর্ধ্ব এক বৃদ্ধের । হাতের টাকা শেষ । আর হোটেলে খরচ করার মতো টাকা নেই । এই অবস্থায় কোনও উপায় না দেখে ভিডিয়ো বার্তায় মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তাঁদের বাড়ি ফেরানোর জন্য কাতর আবেদন জানান ওই বৃদ্ধ ।

উত্তর 24 পরগনার মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা স্বরূপ চৌধুরি এবং তাঁর স্ত্রী ছবি চৌধুরি । দুজনেই প্রবীণ নাগরিক । ছবিদেবী শারীরিকভাবে অসুস্থ । তিনবার হার্টের অপারেশন হয়েছে বলে স্বরুপ চৌধুরি জানান । গত মাসে এই দম্পতি ছেলের কাছে বেড়াতে হংকং গেছিলেন । কিন্তু ছবি দেবীর লাইফ সাপোর্ট কিছু ওষুধ সেখানে না মেলায় তাঁরা দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন ।

স্বরূপ চৌধুরি আমাদের ফোনে জানান , 20 মার্চ রাতে তাঁরা দিল্লি বিমানবন্দরে নামেন । তখন দেশে কোরোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে । দিল্লি পুলিশ এবং প্রশাসন স্বরূপ চৌধুরি ও তাঁর স্ত্রীকে বলেন তাঁদের কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে । সেইমতো ওইদিন থেকে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে একটি কোয়ারান্টাইন সেন্টারে তাঁদের রাখা হয় । 18 দিন ধরে কোয়ারান্টাইনে থাকার পর দিল্লি প্রশাসন সমস্ত শারীরিক পরীক্ষার পর তাঁদের বাংলায় ফেরার ছাড়পত্র মেলে । 12 এপ্রিল দিল্লি থেকে নিজেরা গাড়ি ভাড়া করে মধ্যমগ্রাম ফিরছিলেন । 13 এপ্রিল রাতে বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে এসে আটকে পড়েন ওই দম্পতি । আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট তাদের এ রাজ্যে ঢুকতে দেয়নি । ফলে সীমান্ত এলাকায় মাইথনে একটি হোটেলে অসহায় ভাবে দিন কাটছে ওই দম্পতির । হোটেলের খরচ প্রতিদিন 3000 টাকা ।

স্বরূপ চৌধুরি জানান , “আমি অবসরপ্রাপ্ত কর্মী । স্ত্রীর শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রচুর টাকার ওষুধ কিনতে হয় । এই অবস্থায় হাতের টাকা শেষ । এই হোটেলে আমার পক্ষে আর থাকা সম্ভব হচ্ছে না ।” পুলিশ-প্রশাসনের দরজায় কড়া নেড়েও কোনও লাভ হয়নি । অগত্যা ভিডিয়ো বার্তার মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বাড়ি ফেরার আর্জি জানিয়েছেন ৷ তিনি সোশাল মিডিয়ায় এই ভিডিয়োটি দিয়েছেন । কিন্তু এখনও কোনও লাভ হয়নি ।

আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গেছে , বর্তমানে রাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী ভিনরাজ্য থেকে কেউ এই রাজ্যে এলে কাউকেই এই রাজ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না । এই অবস্থায় ওই দম্পতি কী করবেন , তা ভেবে পাচ্ছেন না ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.