ETV Bharat / state

দুর্গাপুরে গ্যাংওয়ারে অভিযুক্তদের মাথায় শাসকদলের 'হাত', অভিযোগ স্থানীয়দের - main accused

দুর্গাপুরে গ্যাংওয়ার। অভিযুক্তরা শাসকদলের ছত্রছায়ায়।

মূল অভিযুক্ত রকি ও কাঞ্চা
author img

By

Published : Mar 10, 2019, 9:30 PM IST

দুর্গাপুর, ১০ মার্চ : দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর এ-জ়োনে আকবর রোড ও রানাপ্রতাপ রোড এলাকায় আজ কয়েকবছর ধরে চলছে রকি ও রাহুল সিং ওরফে আপ্পু গোষ্ঠীর মধ্যে গ্যাংওয়ার। আর এই দু'জন এখন শাসকদলের ছত্রছায়ায়। শুধু তাই নয়, দুর্গাপুরের এক ছাত্রনেতার হাত ধরে তৃণমূলের যুব সংগঠনে একটি পদও পায় ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রকি।

গতকাল এলাকা দখল নিয়ে অশান্তির জেরে গুলিবিদ্ধ হয় রাহুল সিং ওরফে আপ্পু। ঘটনায় অভিযুক্ত হয় রকি রায় ও দীপক রায় ওরফে কাঞ্চা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আপ্পু ও রকি আগে একসঙ্গে দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপ এলাকায় তোলাবাজি করত। পরে দু'জনের মধ্যে অশান্তি হওয়ায় বিচ্ছেদ ঘটে। তারপর থেকে প্রায় তিনবছর ধরে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে দুর্গাপুরের এ-জ়োন এলাকায় মাঝেমধ্যেই ঝামেলা হত দু'জনের মধ্যে। তারই চরম পরিণতি গতকালের গ্যাংওয়ার।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কিছুদিন ধরে আপ্পু ও রকিকে শাসকদলের মিটিং-মিছিলে দেখা যাচ্ছিল। রকিকে বেনাচিতি এলাকার এক কয়লা মাফিয়া কাজে মদত দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। এমন কী, দুর্গাপুরের এক ছাত্রনেতার হাত ধরে তৃণমূলের যুব সংগঠনে একটি পদও পায় রকি। অভিযোগ অপরদিকে আপ্পুকে মদত দিচ্ছিল স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর-সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা। এলাকায় রকি ও আপ্পুর প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় সবকিছু জানা সত্ত্বেও ভয়ে মুখ খুলতে পারছিল না দলের একাংশ।

পাশাপাশি আপ্পু ও রকির গ্যাংওয়ারের জেরে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। গতকাল আপ্পু গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর অনুগামীরা রকির বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর চালায়। অভিযোগ, রকির স্ত্রী-র পোশাকও ছিঁড়ে দেয় তারা। ভাঙচুর চালানো হয় প্রতিবেশীর গাড়িও। তাঁদেরকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন স্থানীয়রা।

দুর্গাপুর, ১০ মার্চ : দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর এ-জ়োনে আকবর রোড ও রানাপ্রতাপ রোড এলাকায় আজ কয়েকবছর ধরে চলছে রকি ও রাহুল সিং ওরফে আপ্পু গোষ্ঠীর মধ্যে গ্যাংওয়ার। আর এই দু'জন এখন শাসকদলের ছত্রছায়ায়। শুধু তাই নয়, দুর্গাপুরের এক ছাত্রনেতার হাত ধরে তৃণমূলের যুব সংগঠনে একটি পদও পায় ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রকি।

গতকাল এলাকা দখল নিয়ে অশান্তির জেরে গুলিবিদ্ধ হয় রাহুল সিং ওরফে আপ্পু। ঘটনায় অভিযুক্ত হয় রকি রায় ও দীপক রায় ওরফে কাঞ্চা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আপ্পু ও রকি আগে একসঙ্গে দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপ এলাকায় তোলাবাজি করত। পরে দু'জনের মধ্যে অশান্তি হওয়ায় বিচ্ছেদ ঘটে। তারপর থেকে প্রায় তিনবছর ধরে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে দুর্গাপুরের এ-জ়োন এলাকায় মাঝেমধ্যেই ঝামেলা হত দু'জনের মধ্যে। তারই চরম পরিণতি গতকালের গ্যাংওয়ার।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কিছুদিন ধরে আপ্পু ও রকিকে শাসকদলের মিটিং-মিছিলে দেখা যাচ্ছিল। রকিকে বেনাচিতি এলাকার এক কয়লা মাফিয়া কাজে মদত দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। এমন কী, দুর্গাপুরের এক ছাত্রনেতার হাত ধরে তৃণমূলের যুব সংগঠনে একটি পদও পায় রকি। অভিযোগ অপরদিকে আপ্পুকে মদত দিচ্ছিল স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর-সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা। এলাকায় রকি ও আপ্পুর প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় সবকিছু জানা সত্ত্বেও ভয়ে মুখ খুলতে পারছিল না দলের একাংশ।

পাশাপাশি আপ্পু ও রকির গ্যাংওয়ারের জেরে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। গতকাল আপ্পু গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর অনুগামীরা রকির বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর চালায়। অভিযোগ, রকির স্ত্রী-র পোশাকও ছিঁড়ে দেয় তারা। ভাঙচুর চালানো হয় প্রতিবেশীর গাড়িও। তাঁদেরকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন স্থানীয়রা।

Intro:দল ত্যাগ করতেই তৃনমুল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ র বিরুদ্ধে সরকারি চাকরী দেওয়ার নাম করে প্রতারনার অভিযোগ করেন তাঁরই নিকট আত্মীয় । সম্পর্কে সাংসদের মামাতো ভাই প্রশান্ত মন্ডল বাঁকুড়ার বড়জোড়া থানায় এই মর্মে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । ঘটনার কথা সামনে আসতেই তৃনমুল ও বিজেপি র মধ্যে শুরু হয়েছে জোর তরজা।এছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি মামলা বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন থানায় করা হয় এই বিদ্রোহী সাংসদের বিরুদ্ধে। আর সেইসমস্ত মামলার জন্যই বর্তমানে আদালতের নির্দেশে বাঁকুড়া জেলায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার কথা জানায় কলকাতা হাইকোর্ট। পুলিশের সাথে পুর্ন সহযোগিতা করার আদালতের নির্দেশের কারনে সোমবার সকাল ৭ঃ৩০ নাগাদ সৌমিত্র খাঁ দিল্লি থেকে ফ্লাইটে অন্ডাল বিমানবন্দরে এসে নামেন।সেখান থেকে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার অতিথিশালায় কিছুক্ষন বিশ্রামের পরে বেলা ১১ঃ৩০ নাগাদ দুর্গাপুর থানায় আসেন এই বিজেপি নেতা।তাকে বাঁকুড়া জেলার তিন পুলিশ আধকারিক জেরা শুরু করেন।প্রায় সাড়ে ছয় ঘন্টা ম্যারাথন জেরার পরে সৌমিত্র খাঁ কে ছাড়া হয়।এই জেরার সময় ভিডিও রেকোডিং করা হয়।আগামীকাল হাইকোর্টে সৌমিত্র খাঁ র তিনটি মামলার জন্য তাকে উপস্থিত থাকতে হবে বলে জানা গেছে।সাড়ে ছয় ঘন্টা জেরার পরে এই বিদ্রোহী টিএমসি সাংসদ বলেন '"জেরাই কি কি জিজ্ঞাসাবাদ করছে তা বলব না কারন তা বিচারাধীন বিষয়।তবে আমায় মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।এসব নিয়ে তদন্ত হোক।আমি গ্রেপ্তারি কে ভয় পায়না রাজনীতি করতে এসে এসব ভয় কে জায়গা দিনি।পুলিশ ভালো ব্যাবহার করছে।আমি খুশি তাদের ব্যাবহারে।""সৌমিত্র খাঁ কে যতক্ষন জেরা করা হয় ততক্ষন দুর্গাপুর থানার একেবারে সীমানার বাইরে থাকতে হয়(পুলিশি নির্দেশে) বিজেপি নাতা কর্মীদের,তার নিরাপত্তার দায়ীত্মে থাকা কেন্দ্রীয় সি আই এস এফ বাহিনীর জওয়ান এমনকি তার আইনজীবীদেরও।গ্রেপ্তারির ভয়ে ভীত নন এই বিজেপি নেতা।তিনি বরং আশাবাদী যে এই লোকসভা নির্বাচনে মানুষ জবাব দেবেন।।Body:দল ত্যাগ করতেই তৃনমুল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ র বিরুদ্ধে সরকারি চাকরী দেওয়ার নাম করে প্রতারনার অভিযোগ করেন তাঁরই নিকট আত্মীয় । সম্পর্কে সাংসদের মামাতো ভাই প্রশান্ত মন্ডল বাঁকুড়ার বড়জোড়া থানায় এই মর্মে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । ঘটনার কথা সামনে আসতেই তৃনমুল ও বিজেপি র মধ্যে শুরু হয়েছে জোর তরজা।এছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি মামলা বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন থানায় করা হয় এই বিদ্রোহী সাংসদের বিরুদ্ধে। আর সেইসমস্ত মামলার জন্যই বর্তমানে আদালতের নির্দেশে বাঁকুড়া জেলায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার কথা জানায় কলকাতা হাইকোর্ট। পুলিশের সাথে পুর্ন সহযোগিতা করার আদালতের নির্দেশের কারনে সোমবার সকাল ৭ঃ৩০ নাগাদ সৌমিত্র খাঁ দিল্লি থেকে ফ্লাইটে অন্ডাল বিমানবন্দরে এসে নামেন।সেখান থেকে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার অতিথিশালায় কিছুক্ষন বিশ্রামের পরে বেলা ১১ঃ৩০ নাগাদ দুর্গাপুর থানায় আসেন এই বিজেপি নেতা।তাকে বাঁকুড়া জেলার তিন পুলিশ আধকারিক জেরা শুরু করেন।প্রায় সাড়ে ছয় ঘন্টা ম্যারাথন জেরার পরে সৌমিত্র খাঁ কে ছাড়া হয়।এই জেরার সময় ভিডিও রেকোডিং করা হয়।আগামীকাল হাইকোর্টে সৌমিত্র খাঁ র তিনটি মামলার জন্য তাকে উপস্থিত থাকতে হবে বলে জানা গেছে।সাড়ে ছয় ঘন্টা জেরার পরে এই বিদ্রোহী টিএমসি সাংসদ বলেন '"জেরাই কি কি জিজ্ঞাসাবাদ করছে তা বলব না কারন তা বিচারাধীন বিষয়।তবে আমায় মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।এসব নিয়ে তদন্ত হোক।আমি গ্রেপ্তারি কে ভয় পায়না রাজনীতি করতে এসে এসব ভয় কে জায়গা দিনি।পুলিশ ভালো ব্যাবহার করছে।আমি খুশি তাদের ব্যাবহারে।""সৌমিত্র খাঁ কে যতক্ষন জেরা করা হয় ততক্ষন দুর্গাপুর থানার একেবারে সীমানার বাইরে থাকতে হয়(পুলিশি নির্দেশে) বিজেপি নাতা কর্মীদের,তার নিরাপত্তার দায়ীত্মে থাকা কেন্দ্রীয় সি আই এস এফ বাহিনীর জওয়ান এমনকি তার আইনজীবীদেরও।গ্রেপ্তারির ভয়ে ভীত নন এই বিজেপি নেতা।তিনি বরং আশাবাদী যে এই লোকসভা নির্বাচনে মানুষ জবাব দেবেন।।Conclusion:দল ত্যাগ করতেই তৃনমুল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ র বিরুদ্ধে সরকারি চাকরী দেওয়ার নাম করে প্রতারনার অভিযোগ করেন তাঁরই নিকট আত্মীয় । সম্পর্কে সাংসদের মামাতো ভাই প্রশান্ত মন্ডল বাঁকুড়ার বড়জোড়া থানায় এই মর্মে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । ঘটনার কথা সামনে আসতেই তৃনমুল ও বিজেপি র মধ্যে শুরু হয়েছে জোর তরজা।এছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি মামলা বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন থানায় করা হয় এই বিদ্রোহী সাংসদের বিরুদ্ধে। আর সেইসমস্ত মামলার জন্যই বর্তমানে আদালতের নির্দেশে বাঁকুড়া জেলায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার কথা জানায় কলকাতা হাইকোর্ট। পুলিশের সাথে পুর্ন সহযোগিতা করার আদালতের নির্দেশের কারনে সোমবার সকাল ৭ঃ৩০ নাগাদ সৌমিত্র খাঁ দিল্লি থেকে ফ্লাইটে অন্ডাল বিমানবন্দরে এসে নামেন।সেখান থেকে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার অতিথিশালায় কিছুক্ষন বিশ্রামের পরে বেলা ১১ঃ৩০ নাগাদ দুর্গাপুর থানায় আসেন এই বিজেপি নেতা।তাকে বাঁকুড়া জেলার তিন পুলিশ আধকারিক জেরা শুরু করেন।প্রায় সাড়ে ছয় ঘন্টা ম্যারাথন জেরার পরে সৌমিত্র খাঁ কে ছাড়া হয়।এই জেরার সময় ভিডিও রেকোডিং করা হয়।আগামীকাল হাইকোর্টে সৌমিত্র খাঁ র তিনটি মামলার জন্য তাকে উপস্থিত থাকতে হবে বলে জানা গেছে।সাড়ে ছয় ঘন্টা জেরার পরে এই বিদ্রোহী টিএমসি সাংসদ বলেন '"জেরাই কি কি জিজ্ঞাসাবাদ করছে তা বলব না কারন তা বিচারাধীন বিষয়।তবে আমায় মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।এসব নিয়ে তদন্ত হোক।আমি গ্রেপ্তারি কে ভয় পায়না রাজনীতি করতে এসে এসব ভয় কে জায়গা দিনি।পুলিশ ভালো ব্যাবহার করছে।আমি খুশি তাদের ব্যাবহারে।""সৌমিত্র খাঁ কে যতক্ষন জেরা করা হয় ততক্ষন দুর্গাপুর থানার একেবারে সীমানার বাইরে থাকতে হয়(পুলিশি নির্দেশে) বিজেপি নাতা কর্মীদের,তার নিরাপত্তার দায়ীত্মে থাকা কেন্দ্রীয় সি আই এস এফ বাহিনীর জওয়ান এমনকি তার আইনজীবীদেরও।গ্রেপ্তারির ভয়ে ভীত নন এই বিজেপি নেতা।তিনি বরং আশাবাদী যে এই লোকসভা নির্বাচনে মানুষ জবাব দেবেন।।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.