ETV Bharat / state

'ছেলের কাজ বন্ধ, ওর কিছু হোক চাই না'; অত্যাচারে থানায় গিয়েও অবুঝ মায়ের মন - Asansol Human Rights Organization

"বৃদ্ধাশ্রম হোক বা অন্য কোথাও, আমি একা থাকতে চাই ।" থানার বাইরে দাঁড়িয়ে বললেন মলিনা বিশ্বাস । যদিও এই কথা বলার পরেই মলিনা দেবী ছলছল চোখে বলেন, "ছেলের কিছু হোক চাই না । ওই বা এত টাকা কোথায় পাবে । লকডাউনে ওর কাজ বন্ধ । মেয়েদের পড়াশুনো । কী ক'রে পারবে ও?"

Asansol Lady tortured
মলিনা বিশ্বাস
author img

By

Published : Jul 14, 2021, 7:17 AM IST

Updated : Jul 14, 2021, 11:43 AM IST

আসানসোল, 14 জুলাই : অশীতিপর এক বৃদ্ধাকে অত্যাচার করার অভিযোগ উঠল তার পুত্রবধু এবং তাঁর বাপের বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে । গোটা বিষয়টিতে ওই বৃদ্ধার ছেলের মদত রয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন বৃদ্ধার নাতনি । বিষয়টি জানতে পেরে আসানসোলের একটি মানবাধিকার সংগঠন ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে । গতকাল ওই বৃদ্ধা আসানসোল দক্ষিণ থানায় তার ছেলে, পুত্রবধূ এবং ছেলের দুই শ্যালকের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন ।

আসানসোলের চেলিডাঙা এলাকার বাসিন্দা মলিনা বিশ্বাস । বয়স 85 বছর । তিনি জানান, তাঁর স্বামী নৃপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ছিলেন ইস্কোর প্রাক্তন কর্মী । স্বামীর মৃত্যুর পর কখনও ছেলের আশ্রয়ে, আবার কখনও মেয়ের কাছে থাকেন মলিনা দেবী । কিন্তু অভিযোগ, ছেলের কাছে থাকলেই তাঁর পুত্রবধু ও পুত্রবধুর বাপের বাড়ির লোকেরা এসে মলিনা দেবীকে শারিরীক ও মানসিক অত্যাচার করেন ৷ দীর্ঘ কয়েকবছর ধরেই নাকি এই অত্যাচার চলছে । মলিনা দেবীর নাতনি মৌ সরকার বিষয়টি আসানসোলের একটি মানবাধিকার সংগঠনকে জানান ।

মৌ সরকার জানান, "গতকালই মামার কাছে ফিরেছিলেন দিদু । তারপরেই অত্যাচার শুরু হয় । মামার শ্যালকরা এসে দিদুকে মারধর করেন । এরপর মানবাধিকার সংগঠনের সদস্যরা গিয়ে দিদুকে উদ্ধার করেন । আমরা চাইছি এর একটা বিহীত হোক ।" মানবাধিকার সংগঠনের সদস্য সুপ্রতীক মুখোপাধ্যায় জানান, "আমরা চাইছি এই অত্যাচার বন্ধ হোক । বৃদ্ধা শেষ বয়সে যেন একটু শান্তিতে থাকতে পারেন ।"

ছেলের কিছু হোক চাই না, থানায় গিয়েও অবুঝ মায়ের মন

মলিনা দেবী নিজে জানিয়েছেন, "বৃদ্ধাশ্রম হোক বা অন্য কোথাও, আমি একা থাকতে চাই । তার খরচের ব্যবস্থা করুক আমার ছেলে ।" যদিও এই কথা বলার পরেই মলিনা দেবী ছলছল চোখে বলেন, "ছেলের কিছু হোক চাই না । ওই বা এত টাকা কোথায় পাবে । লকডাউনে ওর কাজ বন্ধ । মেয়েদের পড়াশুনো । কী ক'রে পারবে ও?"

মলিনা দেবীর এই কথা শুনে আসানসোল দক্ষিন থানার পুলিশ কর্মীও দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, " মায়ের মন তো !"

আসানসোল, 14 জুলাই : অশীতিপর এক বৃদ্ধাকে অত্যাচার করার অভিযোগ উঠল তার পুত্রবধু এবং তাঁর বাপের বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে । গোটা বিষয়টিতে ওই বৃদ্ধার ছেলের মদত রয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন বৃদ্ধার নাতনি । বিষয়টি জানতে পেরে আসানসোলের একটি মানবাধিকার সংগঠন ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে । গতকাল ওই বৃদ্ধা আসানসোল দক্ষিণ থানায় তার ছেলে, পুত্রবধূ এবং ছেলের দুই শ্যালকের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন ।

আসানসোলের চেলিডাঙা এলাকার বাসিন্দা মলিনা বিশ্বাস । বয়স 85 বছর । তিনি জানান, তাঁর স্বামী নৃপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ছিলেন ইস্কোর প্রাক্তন কর্মী । স্বামীর মৃত্যুর পর কখনও ছেলের আশ্রয়ে, আবার কখনও মেয়ের কাছে থাকেন মলিনা দেবী । কিন্তু অভিযোগ, ছেলের কাছে থাকলেই তাঁর পুত্রবধু ও পুত্রবধুর বাপের বাড়ির লোকেরা এসে মলিনা দেবীকে শারিরীক ও মানসিক অত্যাচার করেন ৷ দীর্ঘ কয়েকবছর ধরেই নাকি এই অত্যাচার চলছে । মলিনা দেবীর নাতনি মৌ সরকার বিষয়টি আসানসোলের একটি মানবাধিকার সংগঠনকে জানান ।

মৌ সরকার জানান, "গতকালই মামার কাছে ফিরেছিলেন দিদু । তারপরেই অত্যাচার শুরু হয় । মামার শ্যালকরা এসে দিদুকে মারধর করেন । এরপর মানবাধিকার সংগঠনের সদস্যরা গিয়ে দিদুকে উদ্ধার করেন । আমরা চাইছি এর একটা বিহীত হোক ।" মানবাধিকার সংগঠনের সদস্য সুপ্রতীক মুখোপাধ্যায় জানান, "আমরা চাইছি এই অত্যাচার বন্ধ হোক । বৃদ্ধা শেষ বয়সে যেন একটু শান্তিতে থাকতে পারেন ।"

ছেলের কিছু হোক চাই না, থানায় গিয়েও অবুঝ মায়ের মন

মলিনা দেবী নিজে জানিয়েছেন, "বৃদ্ধাশ্রম হোক বা অন্য কোথাও, আমি একা থাকতে চাই । তার খরচের ব্যবস্থা করুক আমার ছেলে ।" যদিও এই কথা বলার পরেই মলিনা দেবী ছলছল চোখে বলেন, "ছেলের কিছু হোক চাই না । ওই বা এত টাকা কোথায় পাবে । লকডাউনে ওর কাজ বন্ধ । মেয়েদের পড়াশুনো । কী ক'রে পারবে ও?"

মলিনা দেবীর এই কথা শুনে আসানসোল দক্ষিন থানার পুলিশ কর্মীও দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, " মায়ের মন তো !"

Last Updated : Jul 14, 2021, 11:43 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.