ETV Bharat / state

Jitendra Tiwari: পুনর্বাসন দিতে দেরি ইসিএলের, তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে আসরে জিতেন্দ্র !

ছ'মাস পেরিয়ে গিয়েছে ৷ তারপরও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন (Rehabilitation) ও ক্ষতিপূরণ (Compensation) দেয়নি ইস্টার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেড (Eastern Coalfields Limited) বা ইসিএল (ECL) কর্তৃপক্ষ ৷ আর তার জন্য কার্যত রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকেই দায়ী করলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari) !

Jitendra Tiwari blames TMC for delay in Compensation and Rehabilitation by ECL
Jitendra Tiwari: পুনর্বাসন দিতে দেরি ইসিএলের, তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে আসরে জিতেন্দ্র !
author img

By

Published : Dec 10, 2022, 4:46 PM IST

আসরে জিতেন্দ্র তিওয়ারি ৷

দুর্গাপুর, 10 ডিসেম্বর: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (WB panchayat Election 2023) আগে গ্রামবাসীর করা আন্দোলনের সুফল ঘরে তুলতে মাঠে নামলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari) ৷ শনিবার পশ্চিম বর্ধমানের লাউদোহার শীর্ষা গ্রামে পৌঁছে যান তিনি ৷ উল্লেখ্য, পুনর্বাসনের দাবিতে শুক্রবার এই লাউদোহারই 28টি পরিবার অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছিল ৷ দুর্গাপুরে (Durgapur) ইস্টার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেড (Eastern Coalfields Limited) বা ইসিএলের (ECL) মূল রাস্তা আটকে পথ অবরোধ করেছিলেন এই পরিবারগুলির সদস্যরা ৷ সেই সময় সেখানে বিজেপির কোনও উপস্থিতি চোখে না পড়লেও শনিবার আন্দোলনকারীদের দুয়ারে পৌঁছে যান তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানকারী জিতন্দ্র !

উল্লেখ্য, ছ'মাস আগে কয়লা উত্তোলনের জন্য ইসিএলের স্থানীয় খনিতে নিয়ম মাফিক বিস্ফোরণ করা হয় ৷ তাতেই শীর্ষা গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে ফাটল ধরে ৷ বেশ কয়েকটি বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে ৷ গ্রামবাসীর দাবি, সেই ঘটনার পর আক্রান্ত পরিবারগুলির থাকার জন্য অস্থায়ী শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছিল ৷ একইসঙ্গে, ইসিএল কর্তৃপক্ষ তাদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ৷ কিন্তু, এতদিনেও সেই দাবি পূরণ হয়নি ৷ এর মধ্য়েই আবারও একই কারণে নতুন করে বাড়িতে ফাটল ধরে ৷ এই অবস্থায় মূলত প্রাণের দায়েই শুক্রবার পথে নামেন ভুক্তভোগীরা ৷

আরও পড়ুন: খনির বিস্ফোরণে দফায় দফায় বাড়িতে ফাটল, ক্ষতিপূরণের দাবিতে পথে ভুক্তভোগীরা

এরপর শনিবার শীর্ষা গ্রামে এসে জিতেন্দ্র দাবি করেন, ক্ষতিগ্রস্ত শীর্ষাবাসীর জন্য রাজ্য়ের শাসকশিবিরেরই সরব হওয়া উচিত ছিল ৷ কিন্তু, তারা তা করেনি ৷ বদলে কয়লা শিল্পের মাধ্যমেও কীভাবে কাটমাটি আদায় করা যায়, তা নিয়েই ব্যস্ত থেকেছেন এলাকার তৃণমূল নেতা ও কর্মীরা ৷ চলতি ডিসেম্বর মাসের মধ্য়ে ক্ষতিগ্রস্ত 28টি পরিবার যদি ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন না পায়, তাহলে বিজেপি তার জবাব দেবে বলেও কার্যত হুঁশিয়ারি দেন জিতেন্দ্র ৷ কিন্তু, প্রশ্ন হল, ইসিএল তো কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ৷ তাদের ক্ষতিপূরণ কিংবা পুনর্বাসন দেওয়া, বা না দেওয়া নিয়ে রাজ্যের শাসকদলের কী করার থাকতে পারে ! এই প্রসঙ্গ অবশ্য জিতেন্দ্র সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন ৷

অন্যদিকে, স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুজিত মুখোপাধ্য়ায়ের বক্তব্য হল, রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই জিতেন্দ্র এসব করছেন ৷ কারণ, শুক্রবার যখন ইসিএলের গেটের সামনে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা অবস্থান বিক্ষোভে বসেন, তখনই তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন ইসিএলের প্রতিনিধিরা ৷ সেখানে তখন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা ও কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন ৷ সকলের সামনেই ইসিএলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, খনি-লাগোয়া ওই এলাকা বিপজ্জনক ৷ তাই ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের আর ওখানে থাকতে হবে না ৷ তাঁদের জন্য ইসিএলের জমিতে 28টি বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে ৷ সেই জমি ইতিমধ্য়েই চিহ্নিত করা হয়েছে ৷ আগামী বৃহস্পতিবার থেকে জমি জরিপ, স্থানীয় প্রশাসনের কাছ অনুমতি গ্রহণ-সহ প্রক্রিয়াগুলিও শুরু করে দেওয়া হবে ৷

রাজনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, গ্রামের হতদরিদ্র সাধারণ মানুষ রাজ্য, কেন্দ্রের ফারাক বোঝেন না ৷ তাঁরা বোঝেন নিজেদের ক্ষতি আর তার ক্ষতিপূরণ ৷ গত ছ'মাস অপেক্ষা করেও তাঁরা সেই ক্ষতিপূরণ পাননি ৷ কিন্তু, শুক্রবারের আলোচনাতেই ঠিক হয়ে গিয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়ে যাবে ৷ এই অবস্থায় বিজেপি নেতাকর্মীরা এলাকায় গিয়ে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে পারলে বাসিন্দাদের মনে হতেই পারে, গেরুয়া শিবিরের জন্যই ঘর পেলেন তাঁরা ৷ সেক্ষেত্রে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কথা ভাবতে পারেন ভুক্তভোগীরা ৷ উপরন্তু, এতে ওই এলাকার অন্য়ান্য বাসিন্দাও প্রভাবিত হবেন ৷ সেই কারণেই জিতেন্দ্রর এই তৎপরতা বলে মনে করা হচ্ছে ৷

আসরে জিতেন্দ্র তিওয়ারি ৷

দুর্গাপুর, 10 ডিসেম্বর: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (WB panchayat Election 2023) আগে গ্রামবাসীর করা আন্দোলনের সুফল ঘরে তুলতে মাঠে নামলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari) ৷ শনিবার পশ্চিম বর্ধমানের লাউদোহার শীর্ষা গ্রামে পৌঁছে যান তিনি ৷ উল্লেখ্য, পুনর্বাসনের দাবিতে শুক্রবার এই লাউদোহারই 28টি পরিবার অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছিল ৷ দুর্গাপুরে (Durgapur) ইস্টার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেড (Eastern Coalfields Limited) বা ইসিএলের (ECL) মূল রাস্তা আটকে পথ অবরোধ করেছিলেন এই পরিবারগুলির সদস্যরা ৷ সেই সময় সেখানে বিজেপির কোনও উপস্থিতি চোখে না পড়লেও শনিবার আন্দোলনকারীদের দুয়ারে পৌঁছে যান তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানকারী জিতন্দ্র !

উল্লেখ্য, ছ'মাস আগে কয়লা উত্তোলনের জন্য ইসিএলের স্থানীয় খনিতে নিয়ম মাফিক বিস্ফোরণ করা হয় ৷ তাতেই শীর্ষা গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে ফাটল ধরে ৷ বেশ কয়েকটি বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে ৷ গ্রামবাসীর দাবি, সেই ঘটনার পর আক্রান্ত পরিবারগুলির থাকার জন্য অস্থায়ী শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছিল ৷ একইসঙ্গে, ইসিএল কর্তৃপক্ষ তাদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ৷ কিন্তু, এতদিনেও সেই দাবি পূরণ হয়নি ৷ এর মধ্য়েই আবারও একই কারণে নতুন করে বাড়িতে ফাটল ধরে ৷ এই অবস্থায় মূলত প্রাণের দায়েই শুক্রবার পথে নামেন ভুক্তভোগীরা ৷

আরও পড়ুন: খনির বিস্ফোরণে দফায় দফায় বাড়িতে ফাটল, ক্ষতিপূরণের দাবিতে পথে ভুক্তভোগীরা

এরপর শনিবার শীর্ষা গ্রামে এসে জিতেন্দ্র দাবি করেন, ক্ষতিগ্রস্ত শীর্ষাবাসীর জন্য রাজ্য়ের শাসকশিবিরেরই সরব হওয়া উচিত ছিল ৷ কিন্তু, তারা তা করেনি ৷ বদলে কয়লা শিল্পের মাধ্যমেও কীভাবে কাটমাটি আদায় করা যায়, তা নিয়েই ব্যস্ত থেকেছেন এলাকার তৃণমূল নেতা ও কর্মীরা ৷ চলতি ডিসেম্বর মাসের মধ্য়ে ক্ষতিগ্রস্ত 28টি পরিবার যদি ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন না পায়, তাহলে বিজেপি তার জবাব দেবে বলেও কার্যত হুঁশিয়ারি দেন জিতেন্দ্র ৷ কিন্তু, প্রশ্ন হল, ইসিএল তো কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ৷ তাদের ক্ষতিপূরণ কিংবা পুনর্বাসন দেওয়া, বা না দেওয়া নিয়ে রাজ্যের শাসকদলের কী করার থাকতে পারে ! এই প্রসঙ্গ অবশ্য জিতেন্দ্র সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন ৷

অন্যদিকে, স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুজিত মুখোপাধ্য়ায়ের বক্তব্য হল, রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই জিতেন্দ্র এসব করছেন ৷ কারণ, শুক্রবার যখন ইসিএলের গেটের সামনে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা অবস্থান বিক্ষোভে বসেন, তখনই তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন ইসিএলের প্রতিনিধিরা ৷ সেখানে তখন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা ও কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন ৷ সকলের সামনেই ইসিএলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, খনি-লাগোয়া ওই এলাকা বিপজ্জনক ৷ তাই ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের আর ওখানে থাকতে হবে না ৷ তাঁদের জন্য ইসিএলের জমিতে 28টি বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে ৷ সেই জমি ইতিমধ্য়েই চিহ্নিত করা হয়েছে ৷ আগামী বৃহস্পতিবার থেকে জমি জরিপ, স্থানীয় প্রশাসনের কাছ অনুমতি গ্রহণ-সহ প্রক্রিয়াগুলিও শুরু করে দেওয়া হবে ৷

রাজনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, গ্রামের হতদরিদ্র সাধারণ মানুষ রাজ্য, কেন্দ্রের ফারাক বোঝেন না ৷ তাঁরা বোঝেন নিজেদের ক্ষতি আর তার ক্ষতিপূরণ ৷ গত ছ'মাস অপেক্ষা করেও তাঁরা সেই ক্ষতিপূরণ পাননি ৷ কিন্তু, শুক্রবারের আলোচনাতেই ঠিক হয়ে গিয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়ে যাবে ৷ এই অবস্থায় বিজেপি নেতাকর্মীরা এলাকায় গিয়ে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে পারলে বাসিন্দাদের মনে হতেই পারে, গেরুয়া শিবিরের জন্যই ঘর পেলেন তাঁরা ৷ সেক্ষেত্রে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কথা ভাবতে পারেন ভুক্তভোগীরা ৷ উপরন্তু, এতে ওই এলাকার অন্য়ান্য বাসিন্দাও প্রভাবিত হবেন ৷ সেই কারণেই জিতেন্দ্রর এই তৎপরতা বলে মনে করা হচ্ছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.