দুর্গাপুর, 5 ফেব্রুয়ারি: "ক্লোজ ডোর মিটিংয়ে শুভেন্দু বলেছিলেন, আরও একটা নন্দীগ্রাম ঘটিয়ে দিতে পারলে আমরা কিছু সুবিধা পেতে পারি !" এর অর্থ কী ? তার মানে কি নন্দীগ্রাম আন্দোলনে যেভাবে বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছিল, তেমনই আরও একটি রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পরিকল্পনা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ? বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া রাজনীতিক জয়প্রকাশ মজুমদার অন্তত এমনই দাবি করছেন ! রবিবার দুর্গাপুরে আয়োজিত একটি কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বেনজির আক্রমণ করেন জয়প্রকাশ (Jay Prakash Majumdar attacks Suvendu Adhikari) ৷
একটা সময় জয়প্রকাশ ছিলেন কংগ্রেসে ৷ পরবর্তীতে বিজেপি ঘুরে বর্তমানে তৃণমূলের নেতা তিনি ৷ অন্যদিকে, আদি তৃণমূলীদের মতো শুভেন্দু অধিকারীও কংগ্রেস ঘরানা থেকে পরবর্তীতে তৃণমূলের দাপুটে নেতা হন ৷ আর এখন তিনি রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখ ৷ বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতারও প্রধান মুখ বটে ! এহেন শুভেন্দুকে এদিন আগাগোড়া চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন জয়প্রকাশ ৷
আরও পড়ুন: 'দিদির দূত' জয়প্রকাশ ঘুরলেন গ্রামে গ্রামে, কটাক্ষ লকেটের
রবিবার দুপুরে দুর্গাপুরের দেশবন্ধু নগর ফুটবল ময়দানে বঙ্গীয় সংখ্যালঘু বুদ্ধিজীবী মঞ্চের ডাকে একটি জনসভার আয়োজন করা হয় ৷ সেই জনসভার অন্যতম বক্তা ছিলেন জয়প্রকাশ ৷ মঞ্চ থেকেই কড়া ভাষায় বিজেপি ও শুভেন্দুকে আক্রমণ করেন তিনি ৷ পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখেও সেই আক্রমণ জারি রাখেন জয়প্রকাশ ৷
সম্প্রতি রাজ্যের নানা প্রান্তে বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে ৷ বোমা ফেটে প্রাণ গিয়েছে কচিকাঁচাদের ৷ দিনকয়েক আগে ভাঙড়ে উত্তেজনা ছড়ায় ৷ তারপর কলকাতার একটি কর্মসূচি থেকে গ্রেফতার করা হয় ভাঙড়ের আইএসএফ নেতা তথা বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে ৷ এছাড়া, শনিবার মাত্র কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে বাসন্তী এবং মাড়গ্রামে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে ৷ তাতে প্রাণও গিয়েছে ৷ জখম হয়েছেন একাধিক ৷ জয়প্রকাশ এই সমস্ত ঘটনাগুলিকে এক পঙক্তিতে এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন ৷ তাঁর অভিযোগ, যা কিছু অশান্তি ঘটছে, তা ঘটাচ্ছে বিজেপি ৷ কারণ, তাদের হাতে অনেক টাকা ৷ আর সেই টাকা ব্যবহার করে হিংসা ছড়াচ্ছে সিপিএম ও আইএসএফ ৷