দুর্গাপুর, 9 মে: গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে ৷ মৃতদেহ রাস্তায় রেখে অবরোধ করে আন্দোলনে নামলেন মেয়ের বাড়ির সদস্যরা ৷ মঙ্গলবার ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে দুর্গাপুরের হেতডোবা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে দুর্গাপুরের হেতডোবা এলাকায় গৃহবধূ মৃত্তিকা হাজরাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসাকরা মৃত্তিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তারপরেই খবর দেওয়া হয় বাড়ির লোকজনকে। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন মৃত বধূর বাড়ির সদস্যরা।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বাড়ির লোকজন ৷ রিপোর্টে জানানো হয়, বধূর গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন রয়েছে। এরপরেই শ্বশুরবাড়িতে হামলা চালায় মেয়ের বাড়ির সদস্যরা। মৃতার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে বলে দাবি তোলা হয় ৷ মঙ্গলবার বিকেল থেকে হেতডোবা এলাকায় পথ অবরোধ করে আন্দোলনে সামিল হন পরিবারের লোকজন। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দুর্গাপুর ফরিদপুর থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: রেণুকার মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার ক্যানেল থেকে, অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি পরিবারের
ইতিমধ্যেই পুলিশ স্বামী আকাশ হাজরাকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনায় পলাতক শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধেও তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। মৃতার বোন বন্দনা হাজরা অভিযোগ করে বলেন,"বিয়ের পর থেকেই বোনের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর ওপরে নির্যাতন চালাত । গতকাল সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা প্রচার চালায়। কিন্তু কেন ময়নাতদন্ত হওয়ার আগেই তাঁরা মৃতদেহ ফেলে চলে আসে? আমার বোনের গলায় দাগ ছিল। তাঁকে খুন করা হয়েছে। এদের প্রত্যেকের শাস্তি চাই।"
মৃতার আরও এক বোন রাধা হাজরা জানিয়েছেন, পুলিশের কাছে আমরা অপরাধীদের শাস্তির দাবি করছি ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই তাঁদের সন্দেহ সত্যি প্রমাণিত হয়েছে ৷ এই ঘটনায় পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি এলাকার মানুষেরাও দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ৷ ঘটনার তদন্তে নেমেছে ফরিদপুর থানার পুলিশ।