দুর্গাপুর, 11 জুন : কালবৈশাখি ঝড় ৷ তারপরই আমফানের তাণ্ডব ৷ যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত পশ্চিমবঙ্গের বহু জেলা ৷ ক্ষতির মুখে দুর্গাপুরের ফরিদপুর থানা এলাকার আমচাষিরাও ৷ স্থানীয় পঞ্চায়েতের কাছে ক্ষতিপূরণের জন্য লিখিত আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা ৷
দুর্গাপুরের ফরিদপুর থানা এলাকার তিলাবনি আমবাগানে কয়েক বছর আগে 100 দিনের প্রকল্পে একটি আমবাগান তৈরি হয় ৷ স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে সেখানে আমচাষ শুরু হয় ৷ কয়েক একরজুড়ে 1000টি গাছ লাগানো হয় ৷ হিমসাগর, রানি, আম্রপালি, চৌষা, ফজলি প্রভৃতি প্রজাতির আমগাছ এই বাগানে রয়েছে ৷ এখানকার উৎপাদিত আম দুর্গাপুরের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হয় ৷
লাউদোহা পঞ্চায়েতের অধীনস্থ আমবাগানটি এই বছর লিজ়ে নিয়েছিলেন তিলাবনি গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ বাপি আলি ৷ তিনি বলেন, "অন্য বছর গাছ ভরতি মুকুল আসে ৷ প্রচুর আম হয় ৷ এই গাছগুলি দেখভালের জন্য চার-পাঁচজন বাগানকর্মীকে রেখেছি ৷ কিন্তু, এবার মাত্র 50 শতাংশ গাছে মুকুল এসেছিল ৷ তাও আবার নিয়মিত ঝড়, বৃষ্টি ও আমফানের জন্য মুকুল ঝরে যায় ৷ 1 লাখ 80 হাজার টাকা দিয়ে লিজ় নেওয়া, তারপর কর্মীদের বেতন ৷ কীটনাশক, সার সমস্ত কিছু খরচের পর এখন লাভ তো দূর অস্ত, খরচটুকু উঠছে না ৷ তাই স্থানীয় পঞ্চায়েতের কাছে ক্ষতিপূরণের আবেদন জানিয়েছি ৷"
লাউদোহা পঞ্চায়েতের প্রধান পিনাকী মুখোপাধ্যায় বলেন, "প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে গোটা দেশ এবার বিপর্যস্ত ৷ কৃষিকাজ ও বাগিচা ফসল চাষে ক্ষতির মুখোমুখি চাষিরা ক্ষতিপূরণের আবেদন পেয়েছি । বিষয়টি মানবিকতার সঙ্গে দেখার আশ্বাস দিয়েছি ৷"