কাঁকসা (পশ্চিম বর্ধমান), 27 এপ্রিল : জলশূন্য ও ভগ্ন চেক ড্যাম, পাম্পে ভূগর্ভস্থ জল না ওঠায় সেচের কাজে সমস্যা, 42 ডিগ্রি তাপমাত্রায় নষ্ট হচ্ছে বিঘার পর বিঘা সবজি, যার জেরে চাষিদের কমছে আয়, বাড়ছে ব্যয় (High temperature creating problems for farmers in Kanksa) ৷ সূর্যের খরতাপের মধ্যেও আশঙ্কার কালো মেঘ দেখছেন চাষিরা । চাতক পাখির মতো তাঁরা তাকিয়ে মেঘের দিকে বারিধারার প্রার্থনায় ।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা ব্লকের বিদবিহার, বনকাটি, মলানদীঘি অধিকাংশ এলাকার মানুষজন চাষবাসের উপর নির্ভরশীল । হাজার হাজার বিঘা জমিতে হয় রকমারি সবজি চাষ । সেই সবজি শহর দুর্গাপুরের বাজারে জোগান দেন চাষিরা । বিগত কয়েক দিন ধরে চড়ছে তাপমাত্রার পারদ । বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই এখন, এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর । দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা 42 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে পৌঁছে গিয়েছে । যার জেরে আগুনের মতো রোদে পুড়ে যাচ্ছে সবজি ও ফুলের গাছ । ফল হওয়ার আগেই ফুল ঝড়ে যাচ্ছে ।
গ্রীষ্মের দিনগুলিতে চাষিদের সমস্যা সমাধানে কাঁকসার বিষ্ণুপুরে গড়ে উঠেছিল চেক ড্যাম । কয়েক বছর ধরে সেই চেক ড্যামের জলসেচের কাজে ব্যবহার করে লাভের মুখ দেখছিলেন বিষ্ণুপুর, শিবপুর, অজয় পল্লি-সহ আরও বেশ কিছু গ্রামের চাষিরা । কিন্তু গত বছর বন্যায় ভেঙে যায় চেক ড্যাম ফলে জল শূন্য হয়ে যায় । 4 মাস পেরিয়ে গিয়েছে কিন্তু কোনও কাজ হয়নি অভিযোগ চাষিদের ।
চাষিদের দাবি, অবিলম্বে এই চেক ড্যাম মেরামতি করা হোক কারণ কেরোসিনের দাম 90 টাকা, ডিজেল প্রায় 100 টাকা ছুঁয়েছে । যাতে করে খরতাপে দিনের পর দিন পাম্প চালিয়েও ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে চাষিদের । বেশ কিছু জায়গায় সোলার পাম্প বসানো হয়েছে । দ্রুত আরও সোলার পাম্প বসানোর পরিকল্পনা চলছে বলে জানা গিয়েছে । দ্রুত বিষ্ণুপুরের চেক ড্যাম মেরামতি করা হবে আশ্বাস দিয়েছেন মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পীযূষ মুখোপাধ্যায় ।
আরও পড়ুন : Heat Wave in Durgapur : দুর্গাপুর পুড়ছে প্রবল তাপে, অলিখিত কার্ফু শহরজুড়ে