দুর্গাপুর, 29 জুন : কোরোনা ভাইরাস প্যানডেমিকের কারণে দেশজুড়ে বেহাল অর্থনীতি। এই কঠিন পরিস্থিতিতে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ, এদিকে বেসরকারি স্কুলগুলির বিভিন্ন খাতে খরচ বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে মাসিক টিউশন ফি ছাড়া অন্যান্য খাতে ফি মকুবের দাবিতে অভিভাবকদের যৌথ মঞ্চ দুর্গাপুরের প্রায় সমস্ত বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয় সামনে বিক্ষোভ দেখাল।
চার দফা লকডাউন কাটিয়ে আনলক-1 এ রাজ্য তথা দেশ প্রবেশ করলেও অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল গুলি বন্ধ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানোর কারণে স্কুল খোলার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। এর মাঝেও বেসরকারি স্কুলগুলি থেকে বিভিন্ন খাতে খরচ হিসেবে ফি দাবি করায় বিক্ষোভ বসেছেন অভিভাবকেরা।
অভিভাবকদের অভিযোগ, দীর্ঘ কয়েক মাস স্কুল বন্ধ থাকা সত্বেও স্কুল কর্তৃপক্ষ ডেভলপমেন্ট চার্জ সহ কম্পিউটার ,ল্যাবরেটরি ফি চাইছে । দীর্ঘ লকডাউনের কারণে সকলেই আর্থিক সংকটে পড়ায়, অভিভাবকদের একটি বড় অংশ স্কুলগুলিকে মানবিক হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, অন্ততপক্ষে এই বছর যদি স্কুলের ডেভলপমেন্ট ফি এবং তার সঙ্গে সঙ্গে ল্যাবরেটরি , কম্পিউটার ফি-এগুলি না নেওয়া হলে তারা উপকৃত হন।
বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই বিষয়ে অভিভাবকরা দেখা করতে চাইলেও অনেক স্কুল কর্তৃপক্ষই অভিভাবকদের সঙ্গে দেখা করেননি বলে অভিযোগ। এরপরই অভিভাবকদের একটা বড় অংশ একজোট হয়ে যৌথ মঞ্চ তৈরি করেন । সোমবার সকাল থেকে দুর্গাপুরের বিভিন্ন বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়গুলির সামনে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা।
যৌথ মঞ্চের সম্পাদক সৌমিত্র রায় জানান, " অভিভাবকদের সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষ যা ব্যবহার করছেন, তা সঠিক নয় । নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও আলোচনায় করছেন না । আমরা বারবার বলছি টিউশান ফি নেওয়া হোক, কিন্তু অন্যান্য খাতে টাকা নেওয়া এই বছর অন্ততপক্ষে বন্ধ রাখা হোক । স্কুল কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে উদাসীনতা দেখানোই আজ এই আন্দোলন করা হচ্ছে।"
আজ সকাল থেকেই দুর্গাপুরের বেশ কিছু ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের সামনে অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখান । আগামীকালও তারা বিভিন্ন স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখাবেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে অভিভাবকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ।