ETV Bharat / state

Anganwadi Centre problem: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নেই পড়ার জায়গা, বেতন পান না অস্থায়ী সহায়িকা

বিনা বেতনে 6 বছর ধরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র (Anganwadi Centre problem) সামলালেও স্থায়ী সহায়িকা পদের জন্য প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হচ্ছে ঘাটালের মীনা মাইতিকে (Ghatal Anganwadi Centre) ৷

ghatal-anganwadi-centre-facing-huge-problem-assistant-did-not-getting-permanent-job
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নেই পড়ার জায়গা, বেতন নেই অস্থায়ী সহায়িকার
author img

By

Published : Apr 10, 2022, 8:49 PM IST

ঘাটাল, 10 এপ্রিল: ঘাটালে আজব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র (Anganwadi Centre problem)। পাড়ার একটি ভাঙাচোরা মাটির ক্লাব ঘর ৷ তাও বন্যায় ভেঙে পড়েছে ৷ বাঁশ দিয়ে ত্রিপল খাটিয়ে চলছে রান্নার কাজ (Ghatal Anganwadi Centre)। আবার স্থানীয় এক মহিলা 6 বছর ধরে সহায়িকার কাজ করেও পাননি কোনও টাকা । জন্মলগ্ন থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দায়িত্ব সামলে আসা ওই অস্থায়ী সহায়িকা স্থায়ী নিয়োগের জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ।

পশ্চিম মেদিনীপুর (West Midnapore news) জেলার ঘাটাল পৌরসভার 8 নম্বর ওয়ার্ডের সিংহপুর পূর্বপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র । খাতা-কলমে অঙ্গনওয়াড়ি । এই কেন্দ্রে বর্তমানে 1 জন শিক্ষিকা ও 1 জন সহায়িকা রয়েছেন খুদে পড়ুয়াদের জন্য । অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে এলাকার গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয় । অথচ সেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আজব পরিস্থিতি । কাঁচা মাটির বাড়ি ধসে বেরিয়ে গিয়েছে । এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শুরুর সময় কর্মী না থাকায় তৎকালীন সময় থেকেই অস্থায়ী ভাবে সহায়িকা হিসাবে 6 বছর কাজ করেও মেলেনি কোনও টাকা ।

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী একজন শিক্ষিকা ও একজন সহায়িকা থাকেন । শিক্ষিকা বাচ্চাদের পড়াশোনা খাতাপত্রের দেখভাল করেন আর সহায়িকা বাচ্চাদের খাবার, গর্ভবতীদের খাবার রান্না করে পরিবেশন করেন । আর এই কেন্দ্রের জন্মলগ্ন থেকেই কাজ করে আসছেন গ্রামের মহিলা মীনা মাইতি ৷

আরও পড়ুন: Agitation at Anganwadi Centre at Dinhata : ডিম না দেওয়া-সহ একাধিক অভিযোগে অঙ্গনওয়াড়িতে বিক্ষোভ স্থানীয়দের, বন্ধ রান্না

জানা যায়, 2016 সালে যখন ওই এলাকায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চালু হয়, সেই সময় গ্রামের মানুষ ঠিক করেন যে মীনা মাইতি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকা হয়ে কাজ করবেন । সেই অনুযায়ী সমস্ত সরকারি নিয়ম কানুন মেনে চালু হয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র । দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কোনও শিক্ষিকা নিযুক্ত না হওয়ায় মীনা মাইতি একা হাতে রান্না ও বাচ্চাদের পড়াশোনার দায়িত্ব সামলেছেন । সেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে দীর্ঘ 6 বছর চাকরি করেও মীনা মাইতির মেলেনি বেতন । 2016 সাল থেকে কাজ করার পর 18/12/2018 তারিখে গভর্নমেন্ট অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল অফিস অফ দ্য চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট অফিস, ঘাটাল আইসিডিএস প্রজেক্টের লিখিত পরীক্ষা দিয়েও সরকারি ভাবে তাঁকে নিয়োগ করা হয়নি । প্রায় ছয় বছর ধরে এই ভাবে তিনি প্রতিদিন কাজ করে চলেছেন । দীর্ঘদিন ধরে সমস্ত প্রশাসনিক দফতরে এ বিষয়ে লিখিত আবেদন জানালেও কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে অভিযোগ ।

আরও পড়ুন : Plastic Rice in Mid Day Meal : মিড ডে মিলে প্লাস্টিকের চাল ! অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিক্ষোভ

যদিও এ বিষয়ে ঘাটাল আইসিডিএস কেন্দ্রের সিডিপিও-র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি । ঘাটাল পৌরসভার চেয়ারম্যান তুহিনকান্তি বেরার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সমস্ত গাফিলতির দায়ভার সিডিপিও-র উপরেই চাপিয়েছেন । তিনি বলেন, ‘‘ওই সহায়িকার জন্য আইসিডিএস কেন্দ্রটি টিকে রয়েছে ।’’ অপরদিকে মীনা মাইতি ও তাঁর পরিবার-সহ এলাকাবাসী সকলেই চান জন্মলগ্ন থেকে যে মহিলার জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি গ্রামে টিকে রয়েছে, প্রশাসন সেই মহিলাকে স্থায়ী ভাবে সহায়িকা পদের নিয়োগপত্র দিক ।

ঘাটাল, 10 এপ্রিল: ঘাটালে আজব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র (Anganwadi Centre problem)। পাড়ার একটি ভাঙাচোরা মাটির ক্লাব ঘর ৷ তাও বন্যায় ভেঙে পড়েছে ৷ বাঁশ দিয়ে ত্রিপল খাটিয়ে চলছে রান্নার কাজ (Ghatal Anganwadi Centre)। আবার স্থানীয় এক মহিলা 6 বছর ধরে সহায়িকার কাজ করেও পাননি কোনও টাকা । জন্মলগ্ন থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দায়িত্ব সামলে আসা ওই অস্থায়ী সহায়িকা স্থায়ী নিয়োগের জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ।

পশ্চিম মেদিনীপুর (West Midnapore news) জেলার ঘাটাল পৌরসভার 8 নম্বর ওয়ার্ডের সিংহপুর পূর্বপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র । খাতা-কলমে অঙ্গনওয়াড়ি । এই কেন্দ্রে বর্তমানে 1 জন শিক্ষিকা ও 1 জন সহায়িকা রয়েছেন খুদে পড়ুয়াদের জন্য । অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে এলাকার গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয় । অথচ সেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আজব পরিস্থিতি । কাঁচা মাটির বাড়ি ধসে বেরিয়ে গিয়েছে । এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শুরুর সময় কর্মী না থাকায় তৎকালীন সময় থেকেই অস্থায়ী ভাবে সহায়িকা হিসাবে 6 বছর কাজ করেও মেলেনি কোনও টাকা ।

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী একজন শিক্ষিকা ও একজন সহায়িকা থাকেন । শিক্ষিকা বাচ্চাদের পড়াশোনা খাতাপত্রের দেখভাল করেন আর সহায়িকা বাচ্চাদের খাবার, গর্ভবতীদের খাবার রান্না করে পরিবেশন করেন । আর এই কেন্দ্রের জন্মলগ্ন থেকেই কাজ করে আসছেন গ্রামের মহিলা মীনা মাইতি ৷

আরও পড়ুন: Agitation at Anganwadi Centre at Dinhata : ডিম না দেওয়া-সহ একাধিক অভিযোগে অঙ্গনওয়াড়িতে বিক্ষোভ স্থানীয়দের, বন্ধ রান্না

জানা যায়, 2016 সালে যখন ওই এলাকায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চালু হয়, সেই সময় গ্রামের মানুষ ঠিক করেন যে মীনা মাইতি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকা হয়ে কাজ করবেন । সেই অনুযায়ী সমস্ত সরকারি নিয়ম কানুন মেনে চালু হয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র । দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কোনও শিক্ষিকা নিযুক্ত না হওয়ায় মীনা মাইতি একা হাতে রান্না ও বাচ্চাদের পড়াশোনার দায়িত্ব সামলেছেন । সেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে দীর্ঘ 6 বছর চাকরি করেও মীনা মাইতির মেলেনি বেতন । 2016 সাল থেকে কাজ করার পর 18/12/2018 তারিখে গভর্নমেন্ট অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল অফিস অফ দ্য চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট অফিস, ঘাটাল আইসিডিএস প্রজেক্টের লিখিত পরীক্ষা দিয়েও সরকারি ভাবে তাঁকে নিয়োগ করা হয়নি । প্রায় ছয় বছর ধরে এই ভাবে তিনি প্রতিদিন কাজ করে চলেছেন । দীর্ঘদিন ধরে সমস্ত প্রশাসনিক দফতরে এ বিষয়ে লিখিত আবেদন জানালেও কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে অভিযোগ ।

আরও পড়ুন : Plastic Rice in Mid Day Meal : মিড ডে মিলে প্লাস্টিকের চাল ! অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিক্ষোভ

যদিও এ বিষয়ে ঘাটাল আইসিডিএস কেন্দ্রের সিডিপিও-র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি । ঘাটাল পৌরসভার চেয়ারম্যান তুহিনকান্তি বেরার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সমস্ত গাফিলতির দায়ভার সিডিপিও-র উপরেই চাপিয়েছেন । তিনি বলেন, ‘‘ওই সহায়িকার জন্য আইসিডিএস কেন্দ্রটি টিকে রয়েছে ।’’ অপরদিকে মীনা মাইতি ও তাঁর পরিবার-সহ এলাকাবাসী সকলেই চান জন্মলগ্ন থেকে যে মহিলার জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি গ্রামে টিকে রয়েছে, প্রশাসন সেই মহিলাকে স্থায়ী ভাবে সহায়িকা পদের নিয়োগপত্র দিক ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.