দুর্গাপুর, 6 জুন: দীর্ঘ লকডাউনের কারণে বিপাকে পড়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দ্বারা পরিচালিত দুর্গাপুর হ্যাপি হোমের পরিচালকরা । এই হ্যাপি হোমে প্রায় 35 জন শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েরা আবাসিক হিসাবে আছে । আজ খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর অরবিন্দ নন্দী ।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলার শারীরিক প্রতিবন্ধীদের নিয়ে একদিন গড়ে উঠেছিল দুর্গাপুর হ্যাপি হোম এন্ড হ্যান্ডিক্যাপ সোসাইটি । রাজ্যের বিভিন্ন জেলার শারীরিক প্রতিবন্ধীরা এই হোমে থাকে। এখানে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য বিভিন্ন প্রচেষ্টা চালানো হয় । সংগীত শিক্ষা থেকে শারীর শিক্ষা সমস্ত কিছুই ব্যবস্থা আছে এই হ্যাপি হোমে । থাকা খাওয়া দাওয়া সমস্ত কিছুই বহন করে এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন । কিন্তু দীর্ঘ লকডাউনের কারণে এই সংগঠনকে যারা সাহায্য করেন তাঁরা অনেকেই সাহায্য দান থেকে বিরত আছেন । তাই বর্তমানে কিছুটা হলেও বিপাকে পড়েছেন সেচ্ছাসেবী সংগঠন কর্তৃপক্ষ । এমন সময় তাদের পাশে দাঁড়ালেন দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর অরবিন্দ নন্দী । আজ চালডাল, বহু খাদ্য সামগ্রী নিয়ে প্রাক্তন কাউন্সিলর পৌঁছালেন হ্যাপি হোমে ।
হ্যাপি হোম পরিচালন কমিটির সম্পাদক পাপিয়া মুখোপাধ্যায় জানান, এক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে আমরা সবাই যাচ্ছি । শারীরিক প্রতিবন্ধীদের নিয়ে পথ চলা এই সংগঠন কিছুটা হলেও অসুবিধায় পড়েছে লকডাউনের কারণে । এই দুঃসময়ে প্রাক্তন কাউন্সিলরের পাশে দাঁড়ানো আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করল ।’’
শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য এই হ্যাপি হোম দুর্গাপুরের হর্ষবর্ধন রোডে আছে বলে জানতেন না অরবিন্দবাবু । তিনি জানান, নিয়মিত এদের পাশে দাঁড়াবেন । তারঁ যথাসাধ্য ক্ষমতা দিয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধীদেরকে বিকাশের জন্য তাদের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করবেন ।
দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা আবাসনে গড়ে ওঠা এই হ্যাপি হোম রাজ্যের বহু শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । সাম্প্রতিককালে এই হ্যাপি হোম পরিচালনা করতে গিয়ে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন পরিচালন কমিটি ৷ সহৃদয় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের পাশে দাঁড়ান এমনটাই আবেদন হোম কর্তৃপক্ষের।