দুর্গাপুর, 25 মার্চ: ডেঙ্গির প্রকোপ রুখতে এবং পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে দুর্গাপুর নগর নিগমের অভিনব পদক্ষেপ (Dengue Awareness) ৷ পৌর-কর্তৃপক্ষ লক্ষ্য করেছেন জনবসতি এলাকায় মালিক তাঁদের জমি কিনে ফেলে রাখেন দীর্ঘদিন। সেই ফাঁকা জমিতে আগাছার জন্ম হয় এবং তাতে আশপাশের বাসিন্দারা বর্জ্য ফেলার কারণে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন থাকে না। এবার থেকে এই সব জমির মালিকদের জরিমানা করবে পৌরসভা। জমির পরিমাণ অনুযায়ী জরিমানা ধার্য্য করবে। সেই জরিমানা এক হাজার টাকার কম বা এক লক্ষেরও বেশি হবে না। সেই অর্থ দিয়ে নগর নিগমের সাফাই কর্মীরা অপরিচ্ছন্ন জমি পরিষ্কার করবেন। ডেঙ্গি রুখতে এমনই কড়া বার্তা দুর্গাপুর নগর নিগমের।
ডেঙ্গি নিয়ে শুক্রবার দুপুরে জরুরি বৈঠক আয়োজিত হল দুর্গাপুর নগর নিগমে। বৈঠকে যোগ দেন দুর্গাপুর নগর নিগমের পৌর প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়, পৌর প্রশাসক বোর্ডের সদস্য রাখি দিওয়াদী ও ধর্মেন্দ্র যাদব । পাশাপাশি দুর্গাপুর নগর নিগমের স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ দেবব্রত সাহানা-সহ নগর নিগমের স্বাস্থ্য কর্মীরা ছিলেন বৈঠকে। সেই বৈঠকের পর জানানো হয় এলাকাবাসীরা যাতে জমা জল না রাখেন ৷ বাড়ির আশপাশ নোংরা রাখতেও নিষেধ করা হয়।
জমা জলে মশাল লার্ভা নষ্ট করতে ছাড়া হবে গাপ্পি মাছ ৷ আর ওই জায়গায় মশার লার্ভা নাশক স্প্রেও করা হবে জানানো হয়। কোনও ব্যক্তি পরিত্যক্ত জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে নোংরা আবর্জনা ফেলে রাখলে তাঁদেরকে জরিমানা করা হবে বলেও বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে তৎপর হয়েছে সমস্ত পৌরসভা। সেই রকমই দুর্গাপুর নগর নিগম ডেঙ্গি রুখতে আরও তৎপর হল ৷ দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় জানান, রাজ্য নগর উন্নয়ন দফতরের পক্ষ থেকে ডেঙ্গি রুখতে বেশ কিছু নির্দেশিকা এসেছে।
আরও পড়ুন: রাস্তায়, পৌর অফিসে মশারি খাটিয়ে বিক্ষোভ বিজেপির
তাঁর কথায়, ডেঙ্গি যেভাবে রাজ্যজুড়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করছে সেই কথা মাথায় রেখেই দুর্গাপুর নগর নিগমের পক্ষ থেকে সমস্ত রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ৷ যাতে এই শহরে ডেঙ্গি ছড়াতে না-পারে। সাধারণ মানুষকে সতর্ক করার পাশাপাশি যে সমস্ত মানুষ জমি কিনে দীর্ঘদিন ফেলে রেখে দিচ্ছেন তাঁদেরকেও কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে ৷ সেই জমি যাতে পরিচ্ছন্ন রাখেন তাঁরা সেই বার্তাই দেওয়া হচ্ছে। বহু অভিযোগ এই মর্মে পাওয়া যাচ্ছে। দুর্গাপুর নগর নিগমের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। এখন দেখার বাস্তবে এই সিদ্ধান্ত কতটা ফলপ্রসূ করতে পারে দুর্গাপুর নগর নিগম।