আসানসোল, 1 নভেম্বর: চিকেন পক্সে আক্রান্ত হয়েছিল এক আসামি । তাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালের (Asansol District Hospital) বিশেষ আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল । কিন্তু পুলিশের গাফিলতির সুযোগ নিয়ে ওই আসামি জানালা ভেঙে পালিয়ে গেল । সোমবার রাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হল আসানসোল জেলা হাসপাতালে (Criminal Flees) । যদিও এ ঘটনা নিয়ে কোনও কিছু জানাতে অস্বীকার করেছে পুলিশ । সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, আসামির নাম মন্দিল ভিভলোর । পুরুলিয়া, আসানসোল, সালানপুর-সহ বিভিন্ন থানায় ওই আসামির নামে বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে ।
সোমবার রাতে হঠাৎই আসানসোল জেলা হাসপাতালে পুলিশি তৎপরতা বেড়ে যায় । বিষয়টি প্রথমে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হলেও খবর বেরিয়ে যায় যে আসানসোল জেলা হাসপাতালের বিশেষ আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে এক আসামি জানলা ভেঙে পালিয়ে গিয়েছে । সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, গত 25 অক্টোবর মন্দিল ভিভলোর নামে ওই আসামিকে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল । তার পক্স হয়েছিল । সেই কারণেই তাকে বিশেষ আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয় । ওয়ার্ডে নিরাপত্তা তেমন কড়াকড়ি ছিল না বলেই অভিযোগ । আর পুলিশি গাফিলতির সুযোগ নিয়ে ওই আসামি হাসপাতালের জানলা ভেঙে পালিয়ে যায় ।
আসানসোল জেলা হাসপাতালের পাশেই রয়েছে রামসায়র ময়দান । সেখানে বর্তমানে কালীপুজাের মেলা চলছে । সেই জন্য গোটা আসানসোল জেলা হাসপাতাল চত্বর জুড়ে প্রচুর মানুষের ভিড় । আসামি সেই ভিড়ের মধ্যেই ঢাকা দিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে ।
আরও পড়ুন: অপমানে আত্মঘাতী তরুণী, শপিং মলের কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ পরিবারের
ঘটনার খবর পেয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালে এসে পৌঁছন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের ডিসি আনন্দ রায়, এসিপি দেবরাজ দাস, আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ আধিকারিক থেকে শুরু করে গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ আধিকারিকরা ও প্রচুর পুলিশ বাহিনী । যদিও ওই আসামিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি । ডিসি আনন্দ রায় ক্যামেরার সামনে বলতে না চাইলেও জানিয়েছেন আসামি সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য তাদের কাছে নেই । এখনও পর্যন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে তদন্ত রয়েছে । আসামির উদ্দেশ্যে তল্লাশি শুরু হয়েছে ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই আসানসোল স্টেশন থেকে শুরু করে বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমান্তে সব চেকপোস্ট, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভুম-সহ বিভিন্ন জেলার যে সীমাগুলি রয়েছে সেখানে পুলিশে তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে । নাকা চেকিং শুরু করা হয়েছে বিভিন্ন রাস্তায় মোড়ে । খতিয়ে দেখা হচ্ছে ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ । যদিও রাত পর্যন্ত ওই আসামির কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ।