রানিগঞ্জ, 15 জুন: মনোনয়ন ঘিরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির খবর এসেছে। সব ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধীদের মনোনয়ন করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসকদের বিরুদ্ধে। ডিসিআর কেড়ে নেওয়া, মারধর করা, হুমকি দেওয়া, ভয় দেখানো-সহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু শাসকের সেই রক্তচক্ষুকে ভয় না-করে সাত মাসের সন্তানকে কোলে নিয়ে রানিগঞ্জ ব্লক অফিসে এসে মনোনয়ন দাখিল করলেন বিজেপি প্রার্থী এক দম্পতি। বল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে স্বামী স্ত্রী দু'জনেই বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন।
রানিগঞ্জ ব্লক অফিসে এসে মনোনয়ন দাখিল করেন বল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী বিকাশ ঢাং ও তাঁর স্ত্রী চন্দ্রমুখী ঢাং। সম্পর্কে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী। নিজেদের সাত মাসের সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে এসে নির্ভয়ভাবে মনোনয়ন দাখিল করেন তাঁরা। বিকাশ ঢাং জানিয়েছেন বল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের 279 নম্বর বুথে প্রার্থী হয়েছেন তিনি এবং তাঁর স্ত্রী চন্দ্রমুখী 278 নম্বর বুথের প্রার্থী। যেখানে মনোনয়ন পেশকে কেন্দ্র করে রাজ্য-রাজনীতি উত্তাল ৷ এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সাত মাসের সন্তানকে কোলে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে আসে এই দম্পতি ৷
শাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বিকাশ বলেন, "ওদের হাতে বোমা, বন্দুক। কিন্তু ভয়কে উপেক্ষা করে কাউকে তো এগিয়ে আসতেই হবে। তাই আমরা এগিয়ে এসেছি। ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী হয়েছি। সারা রাজ্যজুড়ে যা চলছে, মানুষ সবই দেখছে ৷ সেখান থেকে দাঁড়িয়েই আমরা প্রার্থী হয়েছি।" কীভাবে প্রচার করবেন ? উত্তরে বিকাশ বলেন, "আমরা স্বামী-স্ত্রী মিলে বাড়ি বাড়ি প্রচার করব। তাতে আমাদের যদি কেউ মারধর করলে করবে। আমাদের যদি কেউ হুমকি দেয় দিক। আমরা ভয় করি না। আমাদের সন্তানকে কোলে নিয়েই বাড়ি বাড়ি প্রচার করব।"
আরও পড়ুন: বাউন্সার নিয়ে মনোনয়ন দিতে এলেন তৃণমূল প্রার্থী, কাকে এত ভয় ?
যদিও এই প্রচণ্ড গরমে সাত মাসের শিশুকে কোলে নিয়ে ভোটের প্রচারে যাওয়া যথেষ্ট কষ্টকর। সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন স্ত্রী চন্দ্রমুখী। তিনি বলেন, "বাচ্চাকে নিয়ে খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু লড়াই তো করতেই হবে। প্রচার না-করলে জিতব কী করে ? যদিও স্বামীর প্রচণ্ড সহযোগিতা রয়েছে।" একদিকে রাজ্যে শাসকদলের বিরুদ্ধে মনোনয়ন ঘিরে সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীদের ভয় দেখানোর জন্য নানান কৌশল শাসকেরা নিয়েছে। সেখানেই ভয়কে উপেক্ষা করে এই দম্পতি ভোটের লড়াইয়ে নেমেছে। দম্পতির ভাষায়, শাসকের রক্তচক্ষু ডরাই না, ভোটে লড়াই করে জিততে চাই।