দুর্গাপুর, 15 অগাস্ট : ফুটবল মাঠের দখলকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল দুর্গাপুরের নডিহা ও বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়া থানার মানা এলাকা । দু'পক্ষের সংঘর্ষে জখম প্রায় 15 জন । মানা এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ । ঘটনাস্থলে দুর্গাপুরের কোকওভেন ও বড়জোড়া থানার পুলিশ মোতায়েন । পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় RAP ও কমব্যাট ফোর্স ।
ফুটবল মাঠের একদিকে দুর্গাপুরের কোক ওভেন থানা এলাকার নডিহা গ্রাম । আর অন্যদিকে দামোদরের চরে বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়া থানার অন্তর্গত মানা এলাকা । নডিহা গ্রামের বাসিন্দাদের কথায় এই গ্রামের বাসিন্দারা এই মাঠেই খেলাধুলা করে আসছেন । নডিহা গ্রামের বাসিন্দাদের অনুমতি নিয়ে মানা এলাকার ছেলেরাও এই মাঠেই বিভিন্ন খেলাধুলার এতদিন আয়োজন করত । কিন্তু, বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই মাঠে মানা এলাকার বাসিন্দাদের উন্নয়নের জন্য কমিউনিটি সেন্টার সহ বেশকিছু প্রকল্প তৈরির কথা হয়েছে । আর তারপর থেকেই এই মাঠকে নিয়ে দেখা দিয়েছে বিতর্ক ।
এই মাঠ কি পশ্চিম বর্ধমান জেলার মধ্যে? নাকি ভৌগোলিকভাবে এই মাঠের অবস্থান বাঁকুড়া জেলায় ? 15 অগাস্ট স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নডিহা গ্রামের যুবকেরা এই মাঠে ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করে । কিন্তু তাদের অভিযোগ মাঠে যাওয়া মাত্রই বড়জোড়া থানার পুলিশের সামনেই রড, লাঠি, বাঁশ নিয়ে মানা এলাকার কিছু যুবক নডিহার যুবকদেরকে আক্রমণ করে । প্রায় 15 জন জখম হয় । বিদ্যুৎ গতিতে খবর ছড়িয়ে পড়ে নডিহা গ্রামে । এরপর নডিহার যুবকরা মানা এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িতে ইঁট, পাথর ছুঁড়ে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ । ঘটনাস্থলে দ্রুত যায় কোকওভেন থানার পুলিশ এবং বড়জোড়া থানার পুলিশ ৷ কমব্যাট ফোর্স ও RAP নামানো হয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ।
আহতদের দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয় । ঘটনাস্থলে যায় দুর্গাপুর নগর নিগমের 43 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি জানান , ‘‘নডিহা এলাকার মানুষ এই মাঠটি দীর্ঘদিন ব্যবহার করে আসছেন । কিন্তু সম্প্রতি বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই মাঠে বেশকিছু সরকারি প্রকল্পের কাজের জন্য নির্মাণকার্য তৈরির কথা বলা হয়েছে । আমি এবং বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল বিষয়টি নিয়ে বাঁকুড়া জেলা শাসকের সাথে কথা বলেছি । আপাতত এই মাঠটি কেউ ব্যবহার করবে না । সমস্যার দ্রুত সমাধান করব আমরা ।’’ তবে ক্ষোভে ফুঁসছে নডিহা গ্রাম । কারণ তাদের দাবি দীর্ঘ প্রায় 1965 সাল থেকে এই মাঠে খেলাধুলো করে আসছে সেই গ্রামের মানুষেরা ।