দুর্গাপুর, 2 জুলাই: কয়লাখনির বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার । কমার্শিয়াল কোল নামে কেন্দ্রের এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করে পরপর তিন দিন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে আটটি শ্রমিক সংগঠন । আজ ধর্মঘটের প্রথম দিন । এদিকে এই শ্রমিক সংগঠনগুলির দাবিগুলিকে সমর্থন করলেও ধর্মঘটের বিরোধিতা করছে রাজ্যের শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন কয়লাখাদান শ্রমিক কংগ্রেস । বিষয়টি নিয়ে আজ দুই পক্ষের হাতাহাতি হয় । পরে ফরিদপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থানে আসে । বনধ সমর্থনকারীদের আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানার সামনেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা ।
কেন্দ্রীয় সরকারের কমার্শিয়াল মাইনিং-এর পরিকল্পনার বিরুদ্ধে একাধিক কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন একযোগে টানা তিন দিন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে । আজ ধর্মঘটের প্রথম দিনেই উত্তেজনা ছড়ায় ফরিদপুর থানার অন্তর্গত ECL-এর ঝাঁজরা প্রজেক্টে । সকাল 8টা থেকে ধর্মঘটের সমর্থনে জমায়েত করেন CITU, BMS, HMS, INTUC, ও AITUC শ্রমিক সংগঠনের কর্মীরা । ধর্মঘটের বিরোধিতায় পালটা জমায়েত করেন INTTUC অনুমোদিত KKSC শ্রমিক সংগঠনের কর্মীরা । প্রথমে শুরু হয় বচসা । তারপর হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের কর্মীরা । ধর্মঘটের সমর্থকরা কোলিয়ারি বন্ধের পাশাপাশি বেশ কিছু গাড়ি আটকে দেন । রাস্তা অবরোধ করেন । অভিযোগ, ECL কর্তৃপক্ষ নিয়মনীতি না মেনেই ওভারলোডিং গাড়ি রাস্তায় নামাচ্ছে । যার ফলে নিত্যদিন ঘটছে দুর্ঘটনা । গাড়ি আটকে চলে বিক্ষোভ । ঘটনায় পুলিশ পাঁচজন বনধ সমর্থনকারী ট্রেড ইউনিয়ন নেতাকে আটক করে । এরপরে থানার সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা ।
ঘটনাস্থানে আসেন CPIM-এর পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় । আটক ট্রেড উনিয়ন নেতাদের বিনা শর্তে ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান । এরপর তাঁদেরকে বিনা শর্তে ছেড়ে দেয় পুলিশ । আগামীকাল ও শনিবার ধর্মঘট জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে । এদিকে ধর্মঘটের বিরুদ্ধে সরব রয়েছেন KKSC শ্রমিক সংগঠনের কর্মীরাও ।