দুর্গাপুর, 4 মার্চ: ব্যাংক জলিয়াতির অভিযোগে ধৃত বিচারাধীন বন্দির মৃত্যু (Bank Manager died in Jail Custody) ৷ ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের অন্তর্গত বর্ধমান শহরের অনাময় হাসপাতালে ৷ কিন্তু, সংবাদমাধ্যমের কাছে খবরটি পৌঁছয় পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের মাধ্যমে ৷ তিনি জানিয়েছেন, শনিবার দুপুর 2টো নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় শান্তনু মণ্ডল নামে ওই বিচারাধীন বন্দির ৷ গত বছরের 25 সেপ্টেম্বর অণ্ডাল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল সংশ্লিষ্ট একটি বেসরকারি ব্যাংকের ম্যানেজার শান্তনু মণ্ডল ও একই ব্যাংকের এক মহিলা কর্মীকে ৷
সৌরভ চট্টোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে জানান, "শনিবার ভোর রাতে দুর্গাপুরের উপসংশোধনাগারে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন শান্তনু মণ্ডল ৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে সংশোধনাগার থেকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কিন্তু সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ এরপর সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় বর্ধমানের অনাময় হাসপাতালে ৷ সেখানে একটি ছোট অস্ত্রোপচারও করা হয় শান্তনুর ৷ কিন্তু তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি ৷"
মাত্র আটদিনে বেনামে 16 কোটি টাকা 'ওভার ড্রাফট' করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন শান্তনু ও তাঁর ব্যাংকের এক মহিলা কর্মী ৷ সূত্রের খবর, শনিবারই দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে শান্তনুকে পেশ করার কথা ছিল ৷ কিন্তু, তার আগেই ঘটে গেল এই ঘটনা ৷ এর জেরে দুর্গাপুর মহকুমা উপসংশোধনাগারের পরিকাঠামো ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ সেখানকার বন্দিদের সকলের ঠিকমতো দেখভাল ও স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয় কি না, তা নিয়ে নানা মহলে নানা জল্পনা চলছে ৷
আরও পড়ুন: বিচারাধীন বন্দির মৃত্যু, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ পরিবারের
প্রসঙ্গত, খনি অঞ্চলের অন্তর্গত পাণ্ডবেশ্বরের বহুলা শাখায় (ব্য়াংকের) কর্মরত ছিলেন শান্তনু ৷ সেখানেই তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে ৷ পরবর্তীতে এই একই ঘটনায় প্রণব রুজ নামে দুর্গাপুরের এক ব্যবসায়ীকেও গ্রেফতার করা হয় ৷ বিষয়টি এখনও দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে বিচারাধীন ৷