আসানসোল, 21 ডিসেম্বর: কেন্দ্রের ন্যাশনাল অ্যাক্রিডিয়েশন বোর্ড ফর টেস্টিং এন্ড ক্যালিব্রেশন ল্যাবটরি (NABL) অনুমোদিত পুরস্কার পেল আসানসোল জেলা হাসপাতাল । এইচআইভি পরীক্ষা, রোগ নির্ধারণ হওয়ার পর রোগীদের কাউন্সেলিং, রোগীর পরিচয় গোপন করে নিয়মিত ওষুধ নেওয়া হচ্ছে কি না, সব বিষয়ে খোঁজ রাখা ও সমস্ত দিক খতিয়ে দেখার কারণে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সৌজন্যে এই পুরস্কার আসানসোল জেলা হাসপাতালে হাতে এসেছে।
গত মার্চ মাস থেকে রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের একটি বিশেষ দল আসানসোল জেলা হাসপাতালের আইসিটিসি প্রোগ্রামের উপর বিশেষ নজর রেখেছিল ও সার্ভে চালিয়েছিল । তারই পরিপ্রেক্ষিতে আসানসোল জেলা হাসপাতালকে স্বীকৃতি স্বরুপ এনএবিএল অনুমোদিত এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এই পুরষ্কার পেয়ে হাসপাতালে খুশির হাওয়া ৷ পাশাপাশি আরও ভালো ভাবে কাজ করার দায়িত্ব বাড়ল বলে জানিয়েছেন আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিল চন্দ্র দাস । ঘটনা প্রসঙ্গেই নিখিল চন্দ্র দাস বলেন, "সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মীরা খুবই গুরুত্ব সহকারে কাজটি করেন । কারণ এইচআইভি রোগীদের রক্ত পরীক্ষা করে রোগ নির্ধারণ করার পাশাপাশি তাদের নিয়মিত কাউন্সেলিং করা অত্যন্ত দরকারি। তবেই তাঁরা মূলস্রোতে ফিরতে পারে । স্বীকৃতি পেয়ে ভালো লাগছে ।"
প্রায় প্রতিটি সরকারী হাসপাতালে এইচআইভি, হেপাটাইটিস-সহ নানা ধরনের রোগ নির্ধারণের জন্য ইন্ট্রিগ্রেটেড কাউন্সিলিং এন্ড টেস্টিং সেন্টার (ICTC) রয়েছে ৷ এই সমস্ত সেন্টারে মূলত রোগীদের রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ধারণ করা হয় । তার পাশাপাশি রোগীদের কাউন্সেলিং করা হয়। তারা যথাযথ ভাবে চিকিৎসা করাচ্ছে কিনা নিয়মিত ওষুধ খাচ্ছেন কি না সেই বিষয়গুলিও নিয়মিত ভাবে পর্যবেক্ষন করা হয় । অন্যদিকে এইচআইভি আক্রান্ত রোগীদের গোপনীয়তা রাখাও এই বিভাগের অন্যতম প্রধান কাজ। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে রোগীদের রেজিস্ট্রার রাখা, তাদের তথ্য গোপন ভাবে রাখা খুব জরুরি । যা এই বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মীরা করেন ৷
আরও পড়ুন: