আসানসোল, 17 ফেব্রুয়ারি: গলায় ঝুলছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ছবি । হাতে ধরে রাখা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ছবি । অনুব্রত মণ্ডলের এই বিশেষ ফ্যান এসেছেন বীরভূমের দুবরাজপুর থেকে । অনুব্রতর শুনানি হবে জেনে একদিন আগেই চলে এসেছেন আসানসোলে । সংশোধনাগার থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় দেখা করার চেষ্টায় ব্যর্থ হন কেষ্টর এই অনুগামী । কিন্তু গলায় সেই একই ঝাঁঝ । বললেন, "বাঘকে খাঁচায় বন্দি করে রাখলে কী হবে, বাঘের বাচ্চারা তো বাইরে আছে ।"
শুক্রবার আসানসোলের সিবিআই বিশেষ আদালতে (Asansol CBI Court) অনুব্রত মণ্ডলের শুনানি ছিল ৷ অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে বের করে যখন আসানসোল আদালতের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন সংশোধনগার চত্বরেই এক ব্যক্তিকে দেখা যায় যিনি গলায় অনুব্রত মণ্ডলের ছবি ঝুলিয়ে ও হাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ছবি নিয়ে গাড়ির দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন ৷
যদিও দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীরা তাঁকে প্রতিহত করেন । পরে ওই ব্যাক্তি আসানসোল সিবিআই আদালতেও আসেন । পরিচয় জানার চেষ্টা করা হলে, তিনি জানান যে তাঁর নাম রজত গড়াই । বাড়ি বীরভুমের দুবরাজপুরে । দুবরাজপুর পৌরসভার কর্মী বলে নিজেকে পরিচয় দেন । গলায় ঝোলানো ছিল সেই পরিচয় পত্রও । রজত গড়াই বলেন "দাদার শুনানি আছে বলেই গতকাল এসেছি । মা তারা, ঘাগরবুড়ি, কল্যাণেশ্বরী, চন্দ্রচূড় মন্দিরে দাদার নামে পুজো দিয়েছি, যাতে দাদার জামিন হয়ে যায় । যদিও জজ সাহেব যা সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটাই আমরা মাথা পেতে নেব ।"
এরপরেই অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী ঝাঁঝিয়ে ওঠেন ৷ বলেন, "বাঘকে খাঁচায় বন্দি করে রেখেছে তো কী ? বাঘের বাচ্চারা তো বাইরে আছে । পঞ্চায়েত ভোট আসছে, ঠিক হয়ে যাবে । বিজেপি ভোট চাইতে এলে ওদের পোলে বেঁধে রাখুন, গাছে বেঁধে রাখুন ।"
প্রসঙ্গত, শুক্রবার অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল সিবিআই আদালতে তোলা হয় । গত 3 ফেব্রুয়ারি অনুব্রত মণ্ডলকে শেষবার আসানসোল সিবিআই আদালতে তোলা হয়েছিল । তখনই বিচারক তাঁকে পুনরায় 14 দিনের জেল হেফাজতে পাঠান । এখনও 300-র বেশি বাফার অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে । সিবিআইয়ের দাবি, এই অ্যাকাউন্ট থেকেই ঘুরপথে গরু পাচারের টাকা ঢুকত অনুব্রতর চালকলের অ্যাকাউন্টে ।
আরও পড়ুন: আরও 115 বাফার অ্যাকাউন্টের হদিশ, মাত্র দুদিনে তা খোলা হয় স্বাস্থ্যসাথীর নথি দিয়ে