ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছে HMPV ভাইরাস ৷ সম্প্রতি এই ভাইরাসের কবলে পড়েছিল তৃণমূল নেত্রী শ্রেয়া পাণ্ডের মেয়ে ৷ চিকিৎসার পর বর্তমানে সুস্থ সে ৷ কেন্দ্রীয় সরকার আশ্বাসবাণী দিলেও 'পরিচিত' এই ভাইরাসের সংক্রমণের খবরে আতঙ্ক ক্রমেই জোরালো হচ্ছে ৷ সেই আতঙ্ক কি গ্রাস করেছিল শ্রেয়াকেও ? সে সময় কীভাবে মোকাবিলা করেছিলেন তিনি ? ইটিভি ভারত লাইফস্টাইল খোঁজ নিল সেই তথ্যই ৷
শ্রেয়া বলেন, "আমার মেয়ে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল ডিসেম্বর মাসের 19 তারিখ ৷ মেয়ে করোনা এইচ কে ইউ ওয়ানের সঙ্গে এইচএমপিভি ভাইরাসেও আক্রান্ত হয়েছিল ৷ এটা সাধারণ সর্দি-কাশির থেকে একটু বেশি ৷ কাশি হচ্ছিল ৷ তারপরে আমি চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাই ৷ এটার একটাই উপায় হল, বাড়িতে ট্রিট করা সম্ভব না ৷ পেডিয়াট্রিকের কাছে যেতে হবেই ৷ তাঁরা একটা সোয়াব টেস্ট করান ৷ সেই টেস্ট করানোর পর জানতে পারা যায় সত্যিই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে কি না ৷ যেকোনও সাধারণ জ্বর যেমন কমে যায়, সেভাবেই এটাও কমে যায় ৷ তবে আমার মেয়ের কাশি একটু বেশি ছিল ৷ সর্দিও ছিল ৷"
কী বলেছিলেন চিকিৎসক ? শ্রেয়া বলেন, "চিকিৎসক আমার মেয়েকে খাওয়াদাওয়া ঠিক করতে বলেছিলেন ৷ ভিটামিস সি জাতীয় খাবার ও সেদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন ৷ সেদ্ধ ভাত, আলু সেদ্ধ এগুলি খাওয়া প্রয়োজন ৷ করোনার সময় যেমন বাইরে বেরোনোর ক্ষেত্রে খানিকটা মেইনটেন করার বিষয় ছিল, এক্ষেত্রেও তাই ৷ তবে ডাক্তার আমাকে কোনও নিভৃতবাসে যাওয়ার কথা বলেননি ৷ এটা কোনও অসুবিধার কিছু নেই ৷ একমাত্র কিডনির কোনও সমস্যা বা ইউরিনের সমস্যা থাকা ব্যক্তিদের থেকে দূরে রাখতে বলেছিলেন ৷"
এই ভাইরাসের সংক্রমণের খবরে আতঙ্ক ক্রমেই জোরালো হচ্ছে ৷ সেই আতঙ্ক কি গ্রাস করেছিল শ্রেয়াকেও ?
তিনি বলেন, "ঘাবড়ানোর কোনও প্রয়োজন নেই ৷ প্যানিক করার মতো এটি কোনও বিযয় নয় ৷ সাবধানে থাকুন ৷ যদি জ্বর হয়, তবে অবশ্যই নিজেরা ওষুধ দেবেন না ৷ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ৷ একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ৷ তিনি যা বলবেন, সেই অনুযায়ী ট্রিটমেন্ট করান ৷"