আসানসোল, 22 ডিসেম্বর: এক বছর আগে এক তৃণমূল কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। আর সেই মামলায় দুবরাজপুর থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে দুবরাজপুর আদালতে তোলে। এরই মাঝে নিয়মমাফিক আসানসোল সিবিআই কোর্টে বৃহস্পতিবার অনুব্রত'র শুনানির দিন ছিল। বর্তমানে অনুব্রত মণ্ডল দুবরাজপুর থানার পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। সেজন্য তাঁকে আসানসোল সিবিআই কোর্টে হাজির করানো হয়নি। ফলে এদিন কোনও সওয়াল জবাব হয়নি। সিবিআই (CBI) বিচারক না-থাকার জন্য এডিজে ফার্স্ট কোর্ট তার পরবর্তী শুনানির দিন 5 জানুয়ারি ধার্য করে।
পাশাপাশি দিল্লি হাইকোর্ট থেকেও নির্দেশনামা জারি করা হয়েছে আগামী 9 জানুয়ারি পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলকে ইডি তাদের হেফাজতে নিতে পারবে না (Anubrata Mondal CBI Case) । আসানসোল সিবিআই কোর্টের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী এদিন ছুটিতে ছিলেন। অনুব্রত মণ্ডলের পক্ষেও কোনও আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না কোর্টে ৷ সিবিআই আইনজীবী এবং তদন্তকারী অফিসার কোর্টে আসেন। যেহেতু সিবিআই বিচারক এবং অনুব্রত মণ্ডলের কোনও আইনজীবী এদিন কোর্টে উপস্থিত ছিলেন না, সেই কারণে নতুন কোনও সওয়াল-জবাব হয়নি।
আরও পড়ুন: স্বেচ্ছায় অনুব্রতর নামে অভিযোগ শিবঠাকুরের ! গাড়িতেই স্বাস্থ্যপরীক্ষা বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির
গত 9 ডিসেম্বর অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল সিবিআই আদালতে শেষবার তোলা হয়েছিল। সেদিন সওয়াল-জবাবে অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীরা তাঁর জামিনের জন্য কোনও আবেদন করেননি। বিচারক অনুব্রত মণ্ডলকে 14 দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠিয়েছিলেন। এর মাঝে নাটকীয় পট পরিবর্তন হয়েছে ৷ দিল্লি রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্ট রায় দেয় অনুব্রত মণ্ডলকে ইডি দিল্লি নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু দিল্লির এই আদালতে রায়ের পর বীরভূমের দুবরাজপুরে অনুব্রত মণ্ডলের নামে একটি এফআইআর (FIR) জমা পড়ে।
অন্যদিকে, আসানসোল সংশোধনাগার থেকে কোর্টকে জানানো হয়, যেহেতু অনুব্রত মণ্ডল দুবরাজপুর পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন, সেই কারণে তাকে সশরীরে হাজির করানো আসানসোল সংশোধনাগারের পক্ষে সম্ভব নয়। অনুব্রত মণ্ডলকে বৃহস্পতিবার সশরীরে আসানসোল সিবিআই আদালতেও হাজির করানো যায়নি। ফলে কোনও সওয়াল-জবাব বা জামিনের আবেদন না-থাকায় এবং সিবিআই বিচারপতি অনুপস্থিত থাকায় আসানসোল এডিজে ফাস্ট কোর্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন আগামী 5 জানুয়ারি ধার্য করেছে।
আরও পড়ুন: দিল্লি যাওয়ার সবুজ সংকেতে হঠাৎ তৎপর রাজ্য পুলিশ, দুবরাজপুর আদালতের পথে কেষ্ট