ETV Bharat / state

স্কুলছুটদের স্কুলে ফেরানোর উদ্যোগে ফের হাতেখড়ি - 18 childrens hatekhari in asansol

18জন স্কুলছুট পড়ুয়াদের এবারে হাতেখড়ির ব্যবস্থা করল আসানসোলের এক স্বেচ্ছেসেবী সংস্থা ৷ পুরোনো দিনের সঙ্গে যাতে শিশুরা নিজেকে মেলাতে পারে সে কারণেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় ওই সংস্থার পক্ষ থেকে ৷

anyo_hathe_khodi
স্কুলছুটদের স্কুলে ফেরানোর উদ্যোগে ফের হাতে খড়ি
author img

By

Published : Jan 31, 2020, 11:28 AM IST

আসানসোল, 31 জানুয়রি : কাঁধে স্কুলের ব্যাগের বদলে জুটেছিল পরিবারের অভাব দূর করার ভার ৷ অভাবের তাড়নায় সকালবেলা স্কুলের বদলে ছুটে যেতে হত কাজের জায়গায় ৷ কারও বা আবার পড়াশোনার প্রতি কোনওরকম ইচ্ছে ছিল না ৷ এবারে এই সমস্ত স্কুলছুট পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে নয়া উদ্যোগ নিল আসানসোলের শীতলা বাউরি পাড়ার একটি স্বেচ্ছেসেবী সংস্থা ৷

ওই স্বেচ্ছেসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে দরিদ্র পরিবারের স্কুলছুট 18 জন শিশুর হাতেখড়ির আয়োজন করা হয় ৷ স্কুলছুটদের ফের স্কুলমুখী করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা ৷ এমনকী শিশুদের স্কুলে পাঠানো থেকে শুরু করে পড়াশোনা, বাই-খাতা-কলমসহ অন্য যাবতীয় খরচের দায়িত্বও এই স্বেচ্ছেসেবী সংস্থা বহন করবে ৷

উল্লেখ্য, আসানসোল উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বহু এলাকায় দিনের পর দিন স্কুল ছুটদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে ৷ শিশু শ্রমের অন্ধকারে যাতে শৈশব হারিয়ে না যায়, তাই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা উড়ানের পক্ষ থেকে সেই সমস্ত অঞ্চলে ছোটো ছোটো শিক্ষা কেন্দ্রও গড়ে তোলা হয়েছে ৷ যেখানে শুধুমাত্র পড়াশোনা নয়, ছবি আঁকা, গান আরও অনেক কিছুই শেখানো হবে শিশুদের৷

স্বেচ্ছেসবী সংস্থার পক্ষ থেকে সুমিত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, "এলাকায় কমপক্ষে 30 জন স্কুলছুট ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে ৷ 18জনকে এখনও পর্যন্ত আমরা বোঝাতে পেরেছি ৷ পাড়ার অন্য কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের দেখিয়ে তাঁদের উৎসাহিত করানো হয়েছে ৷"

সংস্থার অপর সদস্য মুধুরিমা দত্ত জানান, "শিশুদের সেই পুরোনো শিক্ষার পরিবেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই এই অনুষ্ঠান ৷ ওরা প্রত্যেকেই অক্ষর চেনে ৷ স্কুলে গিয়েছে ৷ পুরোনো দিনের সঙ্গে যাতে নিজেকে মেলাতে পারে সেই কারণেই ফের একবার তাঁদের হাতে-খড়ির ব্যবস্থা করা হয় ৷"

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আসানসোল জেলা হাসপাতাল সুপার নিখিল চন্দ্র দাস, প্রাক্তন বিধায়ক অমিতাভ মুখোপাধ্যায়, শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসক অরুণাভ সেনগুপ্ত, সমাজসেবী চন্দনা মুখোপাধ্যায়, অসীম সরকারসহ আরও অনেকে ৷ স্কুলে যাওয়া ও পড়াশোনা করা কতটা জরুরি, অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা শিশু ও তাঁদের পরিবারের অভিভাবকদের বোঝান ৷

আসানসোল, 31 জানুয়রি : কাঁধে স্কুলের ব্যাগের বদলে জুটেছিল পরিবারের অভাব দূর করার ভার ৷ অভাবের তাড়নায় সকালবেলা স্কুলের বদলে ছুটে যেতে হত কাজের জায়গায় ৷ কারও বা আবার পড়াশোনার প্রতি কোনওরকম ইচ্ছে ছিল না ৷ এবারে এই সমস্ত স্কুলছুট পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে নয়া উদ্যোগ নিল আসানসোলের শীতলা বাউরি পাড়ার একটি স্বেচ্ছেসেবী সংস্থা ৷

ওই স্বেচ্ছেসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে দরিদ্র পরিবারের স্কুলছুট 18 জন শিশুর হাতেখড়ির আয়োজন করা হয় ৷ স্কুলছুটদের ফের স্কুলমুখী করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা ৷ এমনকী শিশুদের স্কুলে পাঠানো থেকে শুরু করে পড়াশোনা, বাই-খাতা-কলমসহ অন্য যাবতীয় খরচের দায়িত্বও এই স্বেচ্ছেসেবী সংস্থা বহন করবে ৷

উল্লেখ্য, আসানসোল উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বহু এলাকায় দিনের পর দিন স্কুল ছুটদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে ৷ শিশু শ্রমের অন্ধকারে যাতে শৈশব হারিয়ে না যায়, তাই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা উড়ানের পক্ষ থেকে সেই সমস্ত অঞ্চলে ছোটো ছোটো শিক্ষা কেন্দ্রও গড়ে তোলা হয়েছে ৷ যেখানে শুধুমাত্র পড়াশোনা নয়, ছবি আঁকা, গান আরও অনেক কিছুই শেখানো হবে শিশুদের৷

স্বেচ্ছেসবী সংস্থার পক্ষ থেকে সুমিত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, "এলাকায় কমপক্ষে 30 জন স্কুলছুট ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে ৷ 18জনকে এখনও পর্যন্ত আমরা বোঝাতে পেরেছি ৷ পাড়ার অন্য কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের দেখিয়ে তাঁদের উৎসাহিত করানো হয়েছে ৷"

সংস্থার অপর সদস্য মুধুরিমা দত্ত জানান, "শিশুদের সেই পুরোনো শিক্ষার পরিবেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই এই অনুষ্ঠান ৷ ওরা প্রত্যেকেই অক্ষর চেনে ৷ স্কুলে গিয়েছে ৷ পুরোনো দিনের সঙ্গে যাতে নিজেকে মেলাতে পারে সেই কারণেই ফের একবার তাঁদের হাতে-খড়ির ব্যবস্থা করা হয় ৷"

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আসানসোল জেলা হাসপাতাল সুপার নিখিল চন্দ্র দাস, প্রাক্তন বিধায়ক অমিতাভ মুখোপাধ্যায়, শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসক অরুণাভ সেনগুপ্ত, সমাজসেবী চন্দনা মুখোপাধ্যায়, অসীম সরকারসহ আরও অনেকে ৷ স্কুলে যাওয়া ও পড়াশোনা করা কতটা জরুরি, অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা শিশু ও তাঁদের পরিবারের অভিভাবকদের বোঝান ৷

Intro:এ যেন এক অন্য সরস্বতী পুজোর হাতেখড়ি উৎসব। স্কুলছুট পড়ুয়াদের ফের স্কুলমুখী করতে অভিনব আয়োজন। আসানসোলের একটি সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা উড়ানের পক্ষ থেকে দরিদ্র পরিবারের স্কুলছুট ১৮ জন শিশু-কিশোরকে ফের স্কুলমুখী করতে নতুন করে হাতেখড়ির আয়োজন করা হল। আজ আসানসোলের শীতলা বাউরি পাড়ায় অন্য সরস্বতী পুজোর আয়োজনে হাতে খড়ি উৎসব করা হয় সাংস্কৃতিক সংগঠন উড়ানের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিল চন্দ্র দাস, প্রাক্তন বিধায়ক অমিতাভ মুখোপাধ্যায়, শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসক অরুনাভ সেনগুপ্ত, সমাজসেবী চন্দনা মুখোপাধ্যায়, অসীম সরকার সহ আরও অনেকে।


Body:আসানসোল উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে এমন বহু এলাকা আছে যেখানে স্কুল ছুটদের সংখ্যা বাড়ছে। শিশুশ্রমের অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছে শৈশব। আর এই বিষয়টি নিয়ে একটি সার্ভে করার পর উড়ানের পক্ষ থেকে সেই সমস্ত অঞ্চলে ছোট ছোট শিক্ষা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। যেখানে ছবি আঁকা, গান আরো অনেক কিছুর মাধ্যমে শিশুদের পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে শিশুরা উৎসাহিত হয়ম আসানসোলের শীতলা বাউরি পাড়া এলাকায় এবার স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে ফেরানোর উদ্যোগ নিল উড়ান । উড়ানের পক্ষ থেকে সুমিত বন্দোপাধ্যায় জানালেন ৩০ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে এখানে যারা স্কুলছুট। তাদের মধ্য থেকে ১৮ জনকে আমরা এখনও পর্যন্ত বোঝাতে পেরেছি। যারা আবার পড়তে চায়। পাড়ার অন্যান্য কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের দেখিয়ে তাদের উৎসাহিত করা হয়েছে। এছাড়া আমাদের পাঠদানের যে ক্লাস রয়েছে সেখানে গান কবিতা ছবি আঁকার সঙ্গে পাঠ দিয়ে তাদের আবার পড়ার অভ্যেসে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
উড়ানের আরেক সদস্য মধুরিমা দত্ত জানালেন শিশুদের সেই পুরনো শিক্ষার পরিবেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই এই অনুষ্ঠান। ওরা প্রত্যেকেই অক্ষর চেনে। স্কুলে গিয়েছে। কিন্তু তারপরেও আজকে খাতা-কলমে ওদের নতুন করে হাতেখড়ি করা হল, যাতে ওরা সেই পুরনো দিনের সঙ্গে নিজেকে মেলাতে পারে।
এদিন উপস্থিত কবি, সাহিত্যিক, চিকিৎসক প্রত্যেকেই শিশুদের এবং তার পরিবারের অভিভাবকদের বুঝিয়েছেন কেন স্কুল যাওয়া এবং পড়াশোনা করাটা জরুরী। অভিভাবকেরা সম্মতি দিয়েছেন। তারা তাদের শিশুদের স্কুলে পাঠাবেন পড়াশোনা থেকে শুরু করে খাতা কলম অন্যান্য যাবতীয় খরচ এর দায়িত্ব নিজেই বহন করবে বলে উড়ান জানিয়েছে। শহরের বিশিষ্টজনেরা জানিয়েছেন এমন শুভ উদ্যোগে তারা উড়ানের পাশে আছে।


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.