নদিয়া, 22 মে: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ নদিয়ার চাকদায় ৷ অভিযুক্ত এলাকায় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হিসাবে পরিচিত ৷ জানা গিয়েছে, সুমিত মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তি তৃণমূল নেতা শুভম দাসের বন্ধু ৷ কিন্তু রবিবার দুই বন্ধুর মধ্যে আচমকাই বচসা বাধে । তার জেরে শুভমকে গুলি করে সুমিত ৷ ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত পলাতক ৷ তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে ৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, শুভমকে দিন কয়েক আগে সুমিতের এক আত্মীয় প্রাণনাশের হুমকি দেয় ৷ সেই বিষয়টির সঙ্গে গুলি চালনার কোনও যোগ সূত্র আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷
সূত্রের খবর, শুভমের হাতে গুলি লেগেছে । গুলিবিদ্ধ অবস্থায় প্রাণ বাঁচাতে কোনওরকমে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি ৷ গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করেন দলীয় কর্মীরা ৷ চকাদা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর, চিকিৎসকরা কল্যাণী জহরলাল নেহেরু হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেছেন ৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানে শুভম দাসের চিকিৎসা চলছে । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ । জিজ্ঞাসাবাদ করে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ ।
শুভম দাস দীর্ঘদিন ধরে চাকদা মাস্টারপাড়া এলাকার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত । কেন তিনি সুমিতের টার্গেট হলেন সেই প্রসঙ্গেই বলেন, "দীর্ঘদিন ধরেই সুমিতের এক আত্মীয় আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছিল ৷ সুমিত আমার পরিচিত বলে রবিবার রাতে এই বিষয়ে কথা বলতে ওঁর বাড়ি গিয়েছিলাম ৷ আচমকা সুমিত রেগে যায় ৷ সেই সময়ে সুমিতের স্ত্রী ঘর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আসে ৷ এরপরই সুমিত আমায় গুলি করে।"
আরও পড়ুন : ট্রেনের কামরায় সিট নিয়ে ঝামেলা ! এনজেপি স্টেশনে গুলিবিদ্ধ প্রাক্তন সেনাকর্মী
এই প্রসঙ্গেই স্থানীয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুদীপ দে বলেন, "জানতে পেরেছি শুভমকে কয়েকজন গুলি করেছে । প্রশাসনের উপর আমাদের ভরসা আছে । আমরা চাই প্রশাসন তদন্ত শুরু করে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করুক ।" পাশাপাশি তিনি আরও জানান, এই ঘটনার নেপথ্যে কোনও দলীয় সংঘাত নেই । এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগও নেই ।