শান্তিপুর, 2 ডিসেম্বর: সিভিক ভলেন্টিয়ারের চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়া হাসপাতাল পাড়া এলাকায় । অভিযুক্তের নাম সুপ্রভাত সরকার ৷ তিনি দফায় দফায় এই টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ ৷ পাশাপাশি চাকরি না হওয়ায় তৃণমূল নেতার কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলে হুমকির অভিযোগ করেছে পরিবারটি । যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফুলিয়া টাউনশিপ অঞ্চলের তৃণমূলের আহ্বায়ক সুপ্রভাত সরকার ।
জানা গিয়েছে, হাসপাতাল পাড়া এলাকার বাসিন্দা মালা শর্মা ৷ তাঁর দাবি, গত ছয় মাস আগে ছেলেকে সিভিক ভলেন্টিয়ারের চাকরি দেওয়ার নাম করে মহিলার কাছে থেকে টাকা নেন ওই তৃণমূল নেতা । প্রথমে 50 হাজার টাকা নেন তিনি ৷ এরপর দ্বিতীয় দফায় আরও 50 হাজার টাকা দেওয়া হয় তাঁকে ।
মালা শর্মা বলেন, "তিন মাসের মধ্যে চাকরি দেওয়ার শর্ত থাকলেও ছয় মাস পেরিয়ে গেল চাকরি দিতে পারেনি ওই তৃণমূল নেতা । ছয় মাস অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন কথা বলে বার বার বাড়ি পাঠিয়ে দেয় আমাকে । শুধু তাই নয়, অবশেষে টাকা চাইলে হুমকি দেওয়া হয় । কোন উপায় না পেয়ে অবশেষে শান্তিপুর থানার দারস্ত হই আমরা । শান্তিপুর থানায় ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি ।"
মালা শর্মার তোলা অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তৃণমূল নেতা সুপ্রভাত সরকার । তাঁর দাবি, ওই মহিলা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন তাঁর বিরুদ্ধে । তিনি বলেন, "এটা বিরোধী রাজনৈতিক দলের চক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে । আমি কারও কাছ থেকে আজ পর্যন্ত কোনও টাকা পয়সা নিইনি । টাকা নিয়েছি প্রমাণ হলে প্রশাসন আমায় শাস্তি দিক ৷"
এ বিষয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি ৷ নদিয়া দক্ষিণ জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সোমনাথ কর বলেন, "তৃণমূলের সব ছোট বড় নেতারই একই চরিত্র । সবাই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত । আসলে পুলিশের চোখের সামনেই এরা দুর্নীতি করেই চলেছে । এরা জানে রাজ্য পুলিশ কোন তৃণমূল নেতাকে কিছু করতে পারবে না । আমরা চাই যে নেতা টাকা আত্মসাৎ করেছে তাঁর কঠোরতম শাস্তি হোক ।"
আরও পড়ুন: