ETV Bharat / state

বেলেঘাটা হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীর পরিবারকে হেনস্থা রানাঘাটে

বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কাজ করেন রানাঘাটের বাসিন্দা এক যুবতি ৷ সপ্তাহে একদিন বাড়ি যান ৷ কিন্তু, তাতেও আপত্তি স্থানীয়দের ৷ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দুধের জোগান ৷ আনতে দেওয়া হচ্ছে না পানীয় জলও ৷

মা ও বোনের সঙ্গে চিত্রা মণ্ডল
মা ও বোনের সঙ্গে চিত্রা মণ্ডল
author img

By

Published : Apr 13, 2020, 4:29 PM IST

Updated : Apr 13, 2020, 10:32 PM IST

রানাঘাট, 13 এপ্রিল : বাডি়তে দেওয়া হচ্ছে না দুধ ৷ পানীয় জলও আনতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ সমস্যায় ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মীর পরিবার ৷

রানাঘাট থানার ন-পাড়া মুসন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন পাড়া গ্রামের বাসিন্দা এই স্বাস্থ্যকর্মীর পরিবার বলতে মা আর বোন ৷ 10 বছর আগে বাবা মারা গিয়েছেন ৷ সংসারের হাল ধরতে দু'বছর আগে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন ৷

ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে কোরোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ৷ বাদ নেই এ রাজ্যও ৷ কোরোনা আক্রান্ত রোগীদের একাংশের চিকিৎসা চলছে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ৷ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করে চলেছেন প্রতিনিয়ত ৷ প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলেই জরুরি পরিষেবায় যুক্তদের ধন্যবাদ জানাচ্ছেন ৷ কিন্তু, এই স্বাস্থ্যকর্মীর পাড়ায় ছবিটা একদমই আলাদা ৷

বর্তমানে সপ্তাহে একদিনই বাড়ি আসতে পারেন তিনি ৷ কিন্তু, এই একদিনই বাড়ি আসার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা ৷ তাঁদের বক্তব্য, এই যুবতি বেলেঘাটা আইডিতে কাজ করেন ৷ তাই কোরোনা ভাইরাস সঙ্গে করে নিয়ে আসার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে ৷ তাঁকে বাড়ি ঢুকতে বাধা দেন তাঁরা ৷ পরে প্রশাসনের তৎপরতায় বাড়ি যেতে পারেন তিনি ৷

ওই স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, "বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দুধের জোগান ৷ আনতে দেওয়া হচ্ছে না জল ৷ ইতিমধ্যেই আমি স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি ৷ তারা এসে গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু, গ্রামবাসীদের একাংশ প্রশাসনের কথা মানতে নারাজ ৷ জল আনতে গেলে গালি দেওয়া হচ্ছে আমাদের ৷ বাড়ি থেকে বের হতে দিচ্ছে না ৷ একঘরে করে রেখেছে ৷ আমি চাই পুলিশ, প্রশাসন কিছু ব্যবস্থা নিক ৷"

ওই স্বাস্থ্যকর্মীর মায়ের অভিযোগ, "সকালে পানীয় জল আনতে গেলে অনেকেই আমাকে দেখে কটূক্তি করে ৷ এখনও এরা কীভাবে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে, এসব নিয়ে আলোচনাও করতে থাকে তারা ৷ কিন্তু, এভাবে কতদিন থাকা যায় ৷ আমরা তো আর চোর নই ৷"

এবিষয়ে নপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নবীনচন্দ্র মণ্ডল বলেন, "আমরা প্রশাসনের তরফে গ্রামের মানুষকে অনেকবার বুঝিয়েছি ৷ অনেকে বুঝেছেন ৷ প্রয়োজনে আবার বোঝাতে হবে ৷ তাতেও যদি সমস্যা না মেটে, তাহলে পঞ্চায়েতের তরফে ওই পরিবারের খাবার ও পানীয় জল বাড়িতে দিয়ে আসার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করব ৷"

রানাঘাট, 13 এপ্রিল : বাডি়তে দেওয়া হচ্ছে না দুধ ৷ পানীয় জলও আনতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ সমস্যায় ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মীর পরিবার ৷

রানাঘাট থানার ন-পাড়া মুসন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন পাড়া গ্রামের বাসিন্দা এই স্বাস্থ্যকর্মীর পরিবার বলতে মা আর বোন ৷ 10 বছর আগে বাবা মারা গিয়েছেন ৷ সংসারের হাল ধরতে দু'বছর আগে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন ৷

ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে কোরোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ৷ বাদ নেই এ রাজ্যও ৷ কোরোনা আক্রান্ত রোগীদের একাংশের চিকিৎসা চলছে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ৷ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করে চলেছেন প্রতিনিয়ত ৷ প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলেই জরুরি পরিষেবায় যুক্তদের ধন্যবাদ জানাচ্ছেন ৷ কিন্তু, এই স্বাস্থ্যকর্মীর পাড়ায় ছবিটা একদমই আলাদা ৷

বর্তমানে সপ্তাহে একদিনই বাড়ি আসতে পারেন তিনি ৷ কিন্তু, এই একদিনই বাড়ি আসার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা ৷ তাঁদের বক্তব্য, এই যুবতি বেলেঘাটা আইডিতে কাজ করেন ৷ তাই কোরোনা ভাইরাস সঙ্গে করে নিয়ে আসার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে ৷ তাঁকে বাড়ি ঢুকতে বাধা দেন তাঁরা ৷ পরে প্রশাসনের তৎপরতায় বাড়ি যেতে পারেন তিনি ৷

ওই স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, "বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দুধের জোগান ৷ আনতে দেওয়া হচ্ছে না জল ৷ ইতিমধ্যেই আমি স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি ৷ তারা এসে গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু, গ্রামবাসীদের একাংশ প্রশাসনের কথা মানতে নারাজ ৷ জল আনতে গেলে গালি দেওয়া হচ্ছে আমাদের ৷ বাড়ি থেকে বের হতে দিচ্ছে না ৷ একঘরে করে রেখেছে ৷ আমি চাই পুলিশ, প্রশাসন কিছু ব্যবস্থা নিক ৷"

ওই স্বাস্থ্যকর্মীর মায়ের অভিযোগ, "সকালে পানীয় জল আনতে গেলে অনেকেই আমাকে দেখে কটূক্তি করে ৷ এখনও এরা কীভাবে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে, এসব নিয়ে আলোচনাও করতে থাকে তারা ৷ কিন্তু, এভাবে কতদিন থাকা যায় ৷ আমরা তো আর চোর নই ৷"

এবিষয়ে নপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নবীনচন্দ্র মণ্ডল বলেন, "আমরা প্রশাসনের তরফে গ্রামের মানুষকে অনেকবার বুঝিয়েছি ৷ অনেকে বুঝেছেন ৷ প্রয়োজনে আবার বোঝাতে হবে ৷ তাতেও যদি সমস্যা না মেটে, তাহলে পঞ্চায়েতের তরফে ওই পরিবারের খাবার ও পানীয় জল বাড়িতে দিয়ে আসার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করব ৷"

Last Updated : Apr 13, 2020, 10:32 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.