ফুলিয়া (নদিয়া), 15 মার্চ : ভারতে আর কোথাও এমন গ্রন্থাগার নেই যেখানে তেরোটি ভাষাতেই মিলবে রামায়ণ লেখা বই । যা পাওয়া যাবে ফুলিয়ার কৃত্তিবাস লাইব্রেরিতে ৷ কৃত্তিবাসের স্মৃতির উদ্দেশ্যে কৃত্তিবাস মেমোরিয়াল লাইব্রেরি-কাম-মিউজ়িয়াম গ্রন্থাগারটি তৈরি করা হয়েছিল । বিদেশ থেকে প্রচুর মানুষ আসেন এই গ্রন্থগারে গবেষণা করতে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে কোন স্থায়ী লাইব্রেরিয়ান নেই। তাই ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় কবি কৃত্তিবাসের স্মৃতি গ্রন্থাগার ।
উল্লেখ্য, প্রশাসনের তৎপরতায় 1960 সালে গ্রন্থাগারটি তৈরি করা হয়েছিল। মূলত সরকারের মূল উদ্দেশ্য ছিল কবি কৃত্তিবাস স্মৃতিকে রক্ষা করা এবং রামায়ণ এবং মহাভারতের বিভিন্ন লেখা সংগ্রহ করা। গ্রন্থাগারটি তৈরি করার পর একটি স্থায়ী গ্রন্থাগারিক রাখা হয়েছিল। ভারতের দ্বিতীয় কোনও গ্রন্থাগার নেই যেখানে গবেষকরা একসঙ্গে রামায়ণ সংক্রান্ত বই পাবেন। এরপর 2010 সালে স্থায়ী লাইব্রেরিয়ান যিনি ছিলেন তিনি অবসর নেন। তারপর থেকে প্রায় দশ বছর কেটে গেলেও এখনও কোনও স্থায়ী লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ করা হয়নি। ফলে আগে যে পরিমাণ গবেষকরা এই লাইব্রেরিতে আসতেন সেটাও দিনে দিনে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং এই গ্রন্থাগারের প্রচার তলানিতে ঠেকেছে। বর্তমানে গ্রন্থাগারে শুধু একজন স্থায়ী নাইট গার্ড নিয়োগ রয়েছে। এত বড় গ্রন্থাগারে একজন নাইট গার্ড দিয়ে চালানো অসম্ভব প্রায়। যারা নিয়মিত কবি কৃত্তিবাস নিয়ে গবেষণা করেন এবং বই পড়েন তাঁরা এই গ্রন্থাগারে এসে ঘুরে চলে যাচ্ছেন। অবসরপ্রাপ্ত লাইবেরিয়ান এবং স্থানীয় বাসিন্দা কেশব লাল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এইভাবে চলতে থাকলে গ্রন্থাগারটি কিছুদিন পর বন্ধ হয়ে যাবে। যত দ্রুত সম্ভব প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে একটি স্থায়ী লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ করুক।’’
নদিয়া জেলার সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু বলেন, ‘‘আমরা আবেদন করেছি ৷ সংশ্লিষ্ট দপ্তর এ বিষয়ে নিশ্চয়ই দেখছে । তারা যথাসময়ে অবশ্যই নিয়োগ করবে ।’’