শান্তিপুর, 18 অগস্ট : গঙ্গা ভাঙন চলছেই ৷ পরপর ফের খান দশেক বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে নদীতে ৷ গোটাটাই এত দ্রুত ঘটেছে যে অনেকেই বাড়ি থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বের করে নিতে পারেননি ৷ আর যাঁরা সেটুকু পেরেছেন তাঁরা অন্যত্র চলে যাচ্ছেন ৷ তীব্র আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন মানুষ ৷ মহা সমস্যায় পড়েছেন নদিয়ার শান্তিপুর পৌরসভা এলাকার বাসিন্দারা ৷
নদিয়ার শান্তিপুর পৌরসভার 16 নম্বর ওয়ার্ডের চরসরাগর এলাকা ৷ এখানে এর আগেও একাধিকবার বিঘার পর বিঘা জমি গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে । সোমবার রাত থেকে ফের নদী ভাঙন শুরু হয়েছে ৷ নিমেষেই চোখের সামনে জমি-বসতবাড়ি গঙ্গার গ্রাসে চলে গিয়েছে ৷ একাধিক পরিবার স্থানীয় সরকারি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে । বছর বছরই বর্ষায় পাড় ভাঙে গঙ্গার । স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙন এই প্রথম নয় ৷ প্রতিবছরই ঘটে । প্রশাসন-সহ জনপ্রতিনিধি সকলকেই একাধিকবার পাড় বাঁধানোর কথা বলেছেন ৷ কিন্তু ওই পর্যন্তই ৷ কাজের কাজ কিছুই হয়নি ৷
স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, জেলাশাসক থেকে শুরু করে সেচ দফতর লিখিত আবেদন জানিয়েছেন স্থানীয়রা ৷ স্থায়ী সমাধানের দাবিতে বিক্ষোভ-অবরোধেও পরও কোনও সাড়া পাওয়া যায় না । কয়েক বস্তা বালি ফেলে নাম মাত্র কর্তব্য সেরেছে প্রশাসন ৷ এর থেকে বেশি আর কিছু করেনি সেচ দফতর । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি ৷ নিমেষেই গঙ্গাবক্ষে তলিয়ে যাচ্ছে বাড়িঘর । তাঁদের দাবি, এইভাবে চলতে থাকলে গোটা গ্রামশুদ্ধ গঙ্গাবক্ষে তলিয়ে যাবে । তাঁরা চাইছেন, অবিলম্বে প্রশাসন এবং সেচ দফতর ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নিক ।
এবিষয়ে প্রাক্তন কাউন্সিলর বৃন্দাবন প্রামাণিক জানান, ইতিমধ্যেই শান্তিপুরের বিডিও এবং জেলা সেচ দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে । আজ থেকেই প্রাথমিকভাবে তাঁরা সরেজমিনে খতিয়ে দেখে কাজ শুরু করবেন ৷ তবে বড় একটি প্রকল্প আসতে চলেছে সেটা শুরু হলে অনেকটা সমস্যার সমাধান হবে বলে জানান তিনি ।
আরও পড়ুন : Ganga Erosion : শান্তিপুরে ভাঙন অব্যাহত, আতঙ্কে এলাকা ছাড়ছেন গ্রামবাসীরা