নদিয়া, 26 অগস্ট: হাজার হাজার পাট চাষি রয়েছেন নদিয়ায় । মূলত পাট চাষের উপরেই তাদের সংসার নির্ভরশীল ৷ ভরা বর্ষার মাস আষাঢ়-শ্রাবণেও বৃষ্টি হয়নি ৷ এখনও শুকনো পুকুরের জল, খানাখন্দ ৷ চাষের প্রয়োজনীয় জল না পেয়ে ক্ষতির মুখে এই সমস্ত কৃষকরা ৷ পাট চাষে লাভ তো দূর অস্ত , চাষের খরচটুকু উঠবে কি না তা নিয়ে সন্দিহান কৃষকরা ৷
পাট চাষের জন্য বিশেষ প্রয়োজন যথেষ্ট পরিমাণ বৃষ্টির ৷ অন্যান্য সবজি চাষে খুব একটা বৃষ্টির প্রয়োজন হয় না ৷ মেশিনের জল দিয়ে চাষিরা সবজি তৈরি করতে পারেন । কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় এই বছর পাট চাষে বিপুল ক্ষতির শিকার হয়েছেন চাষীরা ৷ সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় এই বছর প্রায় দু’মাস পাট কাটতে দেরি হয়েছে চাষিদের ৷ তার উপর এই বছর দেরিতে পাট চাষ হওয়ায় দিন মজুর দিয়ে মাঠ থেকে ফসল তুলতে হচ্ছে চাষিদের ৷ যাতে অন্যান্য ফসল চাষে দেরি না হয় ৷
এই প্রসঙ্গেই নদিয়ার বিভিন্ন গ্রামের পাট চাষিরা জানান, এই বছর পাট চাষে লাভ নেই, উপরন্তু ঘরের জমানো টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে চাষীদের । অনেক চাষির সংসার চলে এই পাট চাষের উপর নির্ভর করে ৷ পাট চাষের পর তাঁরা সবজি চাষ করেন ৷ তাছড়াও বছরে দুই একবার ধান চাষ ও করেন তারা ৷ তবে এটা যেহেতু পাট চাষের সময় তাই বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পাট চাষ করেছিলেন । পাট পুরোপুরি তৈরি হওয়ার সময় শেষ, এখন তা কাটার পালা ৷ শুরু হয়ে গিয়েছে পাট কাটাও ৷ পাট কেটে তা পচানোর জন্য জলের প্রয়োজন ৷ পুকুরের জল ছাড়া পাট ভালো পচেও না ৷ আবার অনেকে পুকুরের জল দূষিত হওয়ার কারণে পাট পচাতে দিতে চান না ৷ তাতেই সমস্যায় পড়েছেন পাটচাষিরা ৷
আরও পড়ুন: বাড়িতেই সহজে ক্যাপসিকাম ফলাতে চান ? রইল চাষের পদ্ধতি
পাট চাষি ঝন্টু কোলে জানান, আগে বিডিও অফিসে আগে পাট চাষের জন্য বীজ দেওয়া হলেও, এই বছর তাও বন্ধ ৷ ফলত বীজ কিনে চাষাবাদ করতে হয়েছে ৷ তার ফলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে ৷ প্রতি বিঘাতে প্রায় দশ হাজার টাকা করে এবার ক্ষতির মুখে পড়তে হওয়ার সম্ভাবনা বলে জানিয়েছেন ওই চাষি। এই সকল চাষিদের একটাই দাবি, তাদের দুরবস্থার কথা কাকে বলবেন, সরকার যদি একটু নজর দেয় তাহলে হয়তো বেঁচে যাবে তাঁদের সংসার।