নদিয়া, 10 জুলাই: বছর দেড়েক আগে শান্তিপুর রামনগর পাড়া এলাকায় বিয়ে হয়েছিল সাধনার ৷ বিয়ের পর-পরই অত্যাচার শুরু করেছিলেন শ্বশুড়বাড়ির লোকজনেরা ৷ সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাবার বাড়ি আশ্রয় নিয়েছিলেন সাধনা ৷ এরপর মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে আত্মঘাতী হন তিনি (Housewife Died by Suicide in Nadia)৷ সাধনার মৃত্যুর পর তাঁর আত্মীয়-স্বজনেরা শ্বশুরকে বেধড়ক মারধর করেছেন ৷
সাধনা ব্রাহ্মণের বয়স প্রায় কুড়ি বছর । গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকজনদের অভিযোগ, সাধনাকে শ্বশুর বাড়ির লোকজনেরা প্রতিনিয়ত অত্যাচার করতেন ৷ এ কারণে এর আগে বেশ কয়েকবার বাবার বাড়িতে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন সাধনা । তখন তাঁকে বুঝিয়ে ফের শ্বশুরবাড়িতে দিয়ে পাঠানো হয়।
অভিযোগ, গত তিনদিন আগে আবারও অত্যাচারের মাত্রা বাড়ে, তারপর সাধনা শান্তিপুর ঘোড়ালিয়া কণ্ডু পাড়ায় বাবার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেন । সোমবার রাত 9.30 নাগাদ ওই গৃহবধূ সেখানেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন ৷ সেই সময় গৃহবধূর পরিবারের লোকজনেরা বাড়িতে ছিলেন না ৷ বাড়ি ফিরে এসে দেখেন তাঁদের মেয়ে ঘরের ভিতরে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন : মূক ও বধির তরুণীর বিয়ে দিলেন 3 গৃহবধূ
তাঁকে তড়িঘড়ি শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ এরপরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ওই এলাকা ৷ গৃহবধূর শ্বশুর শান্তিপুর হাসপাতালে এসে পৌঁছলে সাধনার আত্মীয় স্বজনেরা তাঁকে ঘিরে ধরে গণপ্রহার শুরু করেন ৷ যার জেরে গুরুতর আহত হন তিনি । ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শান্তিপুর থানার পুলিশ । তবে গৃহবধূ আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় তাঁর পরিবারের লোকজনের অভিযোগের তির শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে । শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের কারণেই সাধনা আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি সাধনার বাবার ।