ETV Bharat / state

ব্যারিকেড, বাঁশ দিয়ে রাস্তা আটকে পরপর গাড়িতে ডাকাতি

রাস্তা আটকে পরপর গাড়ি থামিয়ে লুটপাট চালাল একদল ডাকাত।

লুটপাট চালায় ডাকাতদল
author img

By

Published : Mar 11, 2019, 10:54 PM IST

কৃষ্ণগঞ্জ, ১১ মার্চ : রাস্তা আটকে পরপর গাড়ি থামিয়ে লুটপাট চালাল একদল ডাকাত। ঘটনাটি নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকার।

স্থানীয় সূত্রে খবর, গতরাতে বউভাতের অনুষ্ঠান থেকে রাত ১১টার সময় ফিরছিল একটি বাস। বাসে ৪০ জন যাত্রীর মধ্যে ২০ জন ছিল মহিলা। সেইসময় পুলিশের ব্যারিকেট ও বাঁশ দিয়ে রাস্তা আটকায় একদল ডাকাত। তারা বাস থামিয়ে প্রথমে মোবাইল, টাকা, গহনা কেড়ে নেয়। বাধা দিলে তারা বন্দুক, রামদা, ভোজালি ও বড় বড় লাঠি নিয়ে বেধড়ক মারতে থাকে। চিৎকার করলে গুলি করে দেওয়ারও হুমকি দেয়। শুধু বিয়েবাড়ির বাসই নয়, অন্য গাড়ি দাঁড় করিয়ে একইভাবে লুটপাট চালাতে থাকে তারা।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, যে রাস্তায় এই ঘটনা ঘটে সেখান দিয়ে ৪০ মিনিট অন্তর পুলিশের পাইলট ভ্যান মনিটরিং করে। কিন্তু গতরাতে দেড় ঘণ্টা ধরে ডাকতরা লুটপাট চালালেও পুলিশের দেখা পাওয়া যায়নি। স্থানীয় কৃষ্ণগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করা হলে পুলিশ যথেষ্ট ফোর্সের অভাব দেখিয়ে আসতে দেরি করে। অবশেষে ডাকাত দল চলে যাওয়ার মিনিট দশেক পর পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছায়।

যাত্রীদের অভিযোগ, ডাকাত দল এবং পুলিশের মধ্যে কোনও যোগসাজশ রয়েছে। ঢিলছোড়া দূরত্বে কৃষ্ণগঞ্জ থানা হওয়া সত্ত্বেও দেড় ঘণ্টা ধরে ডাকাতরা তাণ্ডব চালালে পুলিশ হাজির হয়নি। নদিয়া জেলার পুলিশ সুপার রূপেশ কুমারকে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।

কৃষ্ণগঞ্জ, ১১ মার্চ : রাস্তা আটকে পরপর গাড়ি থামিয়ে লুটপাট চালাল একদল ডাকাত। ঘটনাটি নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকার।

স্থানীয় সূত্রে খবর, গতরাতে বউভাতের অনুষ্ঠান থেকে রাত ১১টার সময় ফিরছিল একটি বাস। বাসে ৪০ জন যাত্রীর মধ্যে ২০ জন ছিল মহিলা। সেইসময় পুলিশের ব্যারিকেট ও বাঁশ দিয়ে রাস্তা আটকায় একদল ডাকাত। তারা বাস থামিয়ে প্রথমে মোবাইল, টাকা, গহনা কেড়ে নেয়। বাধা দিলে তারা বন্দুক, রামদা, ভোজালি ও বড় বড় লাঠি নিয়ে বেধড়ক মারতে থাকে। চিৎকার করলে গুলি করে দেওয়ারও হুমকি দেয়। শুধু বিয়েবাড়ির বাসই নয়, অন্য গাড়ি দাঁড় করিয়ে একইভাবে লুটপাট চালাতে থাকে তারা।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, যে রাস্তায় এই ঘটনা ঘটে সেখান দিয়ে ৪০ মিনিট অন্তর পুলিশের পাইলট ভ্যান মনিটরিং করে। কিন্তু গতরাতে দেড় ঘণ্টা ধরে ডাকতরা লুটপাট চালালেও পুলিশের দেখা পাওয়া যায়নি। স্থানীয় কৃষ্ণগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করা হলে পুলিশ যথেষ্ট ফোর্সের অভাব দেখিয়ে আসতে দেরি করে। অবশেষে ডাকাত দল চলে যাওয়ার মিনিট দশেক পর পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছায়।

যাত্রীদের অভিযোগ, ডাকাত দল এবং পুলিশের মধ্যে কোনও যোগসাজশ রয়েছে। ঢিলছোড়া দূরত্বে কৃষ্ণগঞ্জ থানা হওয়া সত্ত্বেও দেড় ঘণ্টা ধরে ডাকাতরা তাণ্ডব চালালে পুলিশ হাজির হয়নি। নদিয়া জেলার পুলিশ সুপার রূপেশ কুমারকে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।

Intro:ভয়াবহ মর্মান্তিক যাত্রীবোঝাই বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটলো নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকায়। একাধিক মোবাইল সোনার গহনাসহ টাকা ছিনতাই করে নিল দুষ্কৃতীরা। সেইসঙ্গে কপালে জুটল বেধড়ক মার।
স্থানীয় সূত্রের খবর, নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ এর বাসিন্দা ববিতা বিশ্বাস তার মেয়ে পাপিয়া বিশ্বাস এর সঙ্গে বগুলার বাসিন্দা নিউটন বলের বিবাহ ঠিক করেন। গতকাল ছিল বৌভাত। কৃষ্ণগঞ্জ এর ওই এলাকার প্রায় 40 জন পাপিয়া বিশ্বাস এর বৌভাতের উদ্দেশ্যে একটি বাসে চেপে বগুলা মিলন নগর রওনা দিয়েছিলেন। শুধু বিয়ে বাড়ির বাসই নয়, অন্যান্য বিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে অনেকে ওই রাস্তা দিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়ি ফেরার পথেই এই বিপত্তি। তখন প্রায় রাত 11 টা। রাস্তার দুই পাশে কলাবাগান আর আমবাগান। জনমানবহীন রাস্তা। প্রায় 10 জনের একটি ডাকাতের দল রাস্তায় বাঁশ ফেলে দাঁড়িয়ে থাকে। প্রথমে একটি বাইক দাঁড় করায় তারা। দুজনের কাছ থেকেই মোবাইল এবং টাকা ছিনতাই করে তাদের দাঁড় করিয়ে রাখে রাস্তার পাশে। এর পরেই একটি চারচাকা আসে। তাদের কেউ দাঁড় করায় এবং একই রকম ভাবে মোবাইল এবং টাকা নিয়ে তাদেরকেও দাঁড় করিয়ে রাখে। এরপর আরো একটি বাইক। সবশেষে বিয়ে বাড়ির বাস। বাস দাঁড় করিয়ে বন্দুক উঁচিয়ে সেই সঙ্গে রামদা , ভোজালি ও বড় বড় লাঠি নিয়ে বেধড়ক মারতে থাকে যাত্রীদের। বাসে 40 জন ছিল তাদের মধ্যে মহিলার সংখ্যা ছিল কুড়ি। প্রথমে সকলের কাছ থেকে মোবাইল সোনার গহনা হাতের আংটি এবং টাকা পয়সা কেড়ে নেওয়া হয়। চিৎকার করলে গুলি করে দেওয়ার হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলে এই তান্ডব। অনেক যোগাযোগ করা সত্ত্বেও পুলিশ আসেনি বলে অভিযোগ যাত্রীদের। প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করছেন, যে রাস্তায় এই ঘটনা ঘটে সেখান দিয়ে প্রায় চল্লিশ মিনিট অন্তর পুলিশের পাইলট ভ্যান মনিটরিং করে। কিন্তু গতকাল রাতে দেড় ঘণ্টা ধরে এই দুষ্কৃতী তাণ্ডবলীলা চালালেও কোন পুলিশের দেখা পাওয়া যায়নি। স্থানীয় কৃষ্ণগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করা হলে পুলিশ যথেষ্ট ফোর্স এর অভাব দেখিয়ে দায় সেরে ফেলেন। অনেক খবর দেওয়ার পর ডাকাত দল তাদের কাজকর্ম সেরে চলে গেলে তখন পুলিশ হাজির হয়ে সেখানে। সেই রাতেই পুলিশের সঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শীদের বচসা শুরু হয়। যাত্রীদের অভিযোগ এই ঘটনার সঙ্গে ডাকাত দল এবং পুলিশের কোন যোগসাজশ রয়েছে। ঘটনা ঘটার ঢিলছোড়া দূরত্বে কৃষ্ণগঞ্জ থানা। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে এই দুষ্কৃতী তাণ্ডব চললেও কোন পুলিশ কেন সেখানে হাজির হলো না তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সেখানকার সাধারণ মানুষ। এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। যদিও নদীয়া জেলার পুলিশ সুপার রুপেশ কুমার কে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।


Body:কৃষ্ণগঞ্জ ডাকাতি


Conclusion:

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.