নদিয়া, 30 মে: পুলিশ গাড়ির ধাক্কায় মৃত এক বালক, আহত আরও তিন জন। মৃত কিশোরের নাম আকাশ রায় ৷ বয়স 15 বছর। নদিয়ার ধানতলা থানার কুলগাছি এলাকার ঘটনা। ঘটনায় উত্তেজিত জনতার সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে পুলিশের ৷ আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন কিশোর ৷ আহতদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে রানাঘাট হাসপাতালে।
জানা গিয়েছে, কুলগাছি গ্রামে চোর ধরাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ। স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় বাড়ছিল গরু চুরির ঘটনা। অভিযোগ সোমবার রাতে চোর সন্দেহে অভিযুক্ত এক ব্যক্তির বাড়িতে চড়াও হয় এলাকাবাসী ৷ কিন্তু সন্দেহভাজন অভিযক্ত না থাকায় তাঁর বাবাকে হুমকি দিয়ে আসে গ্রামবাসীরা ৷ এরপর মঙ্গলবার সকালে সন্দেহভাজন অভিযুক্ত গ্রামে এলে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে স্থানীয়রা ৷ ঘটনার খবর পেয়ে অভিযুক্তকে আটক করতে গেলে জন রোষে পড়ে পুলিশ। অভিযোগ এরপর স্থানীয়দের সঙ্গে বচসার মধ্যেই অভিযুক্তকে ভ্যানে বসিয়ে গাড়ি নিয়ে জোরে এলাকা থেকে বেরোতে যায় পুলিশ ৷ তখনই অসাবধানতাবশত, গাড়ির নিচে চলে আসে এক নাবালক-সহ আরও তিনজন ৷ সেই সময়ই পুলিশ গাড়িতে চাপা পড়ে নাবালক আকাশ ৷ চারজনকে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসককে আকাশকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ বাকিরা আহত অবস্থায় রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷
এই ঘটনায় বিক্ষোভের মুখে পড়ে ধানতলা থানার পুলিশ ৷ পাশাপাশি স্থানীয়দের অভিযোগ,পাশেই বাংলাদেশ বর্ডার আর পুলিশি নিষ্ক্রিয়তায় চলছে গরু পাচার কারবার। ঘটনায় বহিরগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান রাজেশ ভৌমিক বলেন, "এখানে রাজনীতির কোনও বিষয় নেই। সোমবার একটি চোরাকারবারিকে হাতেনাতে ধরে ফেলে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার তাঁকে উদ্ধার করতে পুলিশ এসেছিল। কিছু স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে পুলিশের বচসা শুরু হয় ৷ পুলিশ ঘটনাস্থল ছেড়ে যাওয়ার সময় কয়েকজনকে পিষে দেয়। সেই ঘটনা নিয়ে উত্তেজনার সূত্রপাত।"
আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় কাউন্সিলারের বাড়িতে চুরি, লুট 50 লাখ টাকা
মৃত কিশোরের আত্মীয়া বিথীকা সরকার অভিযোগ করে বলেন, "চোর ধরতে এসে পুলিশ অত্যধিক গতিতে গাড়ি চালিয়েই চার জনকে পিষে দিয়েছে। কারও হাত বাদ যাবে, কারও পা বাদ যাবে। আমরা আইনত বিচার চাই ।" এ বিষয়ে রানাঘাট জেলা পুলিশ সুপার ডক্টর কে কান্নান জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টির তদন্ত চলছে। আইন আইনের পথে চলবে। দোষীরা শাস্তি পাবে।