কৃষ্ণনগর, 30 এপ্রিল: সরকারি ব্যাংকের ম্যানেজারের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত পাত্রবাজার এলাকায়। খবর পেয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। খুন নাকি আত্মহত্যা? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ কয়েকটি বিষয়কে সামনে রেখে তদন্তের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে ।
জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম অজয় কুমার সরকার । বয়স আনুমানিক 45 বছর। সূত্রের খবর, অজয় কুমার বিশ্বাস পাত্রবাজার এলাকার একটি সরকারি ব্যাংকের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে কাজ করছিলেন তিনি। কর্মসূত্রে একাই থাকতেন। ওই এলাকাতেই একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন অজয়। শনিবার প্রতিদিনের মতোই ব্যাংকে গিয়েছিলেন ৷ কাজ করে বাড়িতেও ফিরেছিলেন।
এর পর থেকেই ঘটনাক্রম দ্রুত বদলাতে থাকে। দীর্ঘক্ষণ বাড়ির দরজা বন্ধ ছিল বলে স্থানীয়দের থেকে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে তাঁর সহকর্মীরাও একাধিকবার ফোন করে যোগাযোগ করতে পারেননি । সবমিলিয়ে ঘটনা ঘিরে সন্দেহ দানা বাঁধে। দরজা খোলার কথা বললে ভিতর থেকে তাঁর কোনও সাড়া-শব্দ পাচ্ছিলেন না সহকর্মীরা। সন্দেহ হয় তাঁদের ৷ শেষমেশ তাঁরা খবর দেন কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায়। পুলিশ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় দরজা খুলে দেখা যায় ঘরের ভিতরে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন আজয়। এরপরই মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে স্থানীয় 23 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শুভশ্রী দাস বিশ্বাস। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন এনিয়ে তিনি কিছুই জানেন না ৷ প্রশাসনের তরফ থেকে কাউন্সিলকরকে ফোন করা হয় তাই তিনি ঘটনাস্থলে এসেছেন। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল কিংবা এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তার তদন্ত পুলিশ শুরু করেছে।
প্রশাসনের তরফে তাঁর বাড়িতেও খবর পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে অজয়ের সহকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। পাশাপাশি ময়নাতদন্তের রিপোর্টও তদন্তের ক্ষেত্রে নির্ণায়ক হতে চলেছে বলে পুলিশের অনুমান। রিপোর্ট থেকেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বোঝা যাবে। অজয় যদি আত্মহত্যা করে থাকেন তাহলে তিনি কোনও মানসিক অবসাদের শিকার ছিলেন কি না সেটা খতিয়ে দেখা হবে। আর যদি মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য় কোনও রহস্য থাকে তাহলেও সেভাবে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাবে পুলিশ।
আরও পড়ুন: দার্জিলিংয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু এক পুলিশকর্মীর, দেহ এল জলপাইগুড়ির বাড়িতে