কান্দি, 29 মে: মুর্শিদাবাদ জেলার অন্তর্ভুক্ত কান্দি পৌরসভার মেয়াদ শেষ হয় মে মাসের 25 তারিখ। রাজ্য সরকারের নির্দেশ মোতাবেক আনুষ্ঠানিকভাবে 27 মে অপূর্ব সরকারকে পুনরায় প্রশাসকের আসনে বসানো হল। পৌরসভা ভোট হওয়ার কথা থাকলেও কোরোনার কারণে বাতিল হয়ে গেছে তা। তাই মেয়াদ শেষ হওয়ার মুহূর্তেই রাজ্য সরকার বিনা নির্বাচনে অপূর্ব সরকারকে সেই আসনে বসাল।
পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর অপূর্ব সরকার রাজ্য সরকার এবং পৌরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সেই সঙ্গে জানালেন আগামী দিনে প্রাক্তন কাউন্সিলর যাঁরা রয়েছেন তাদের কীভাবে কাজে লাগাবেন। সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করবেন উপর মহলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে।
তবে এই বিষয়টিকে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে কান্দি মহকুমায়। কান্দির কংগ্রেস বিধায়ক শফিউল আলম খানের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের এই বেআইনি কাজকে তাঁরা মোটেও সুবিধার নজরে দেখছেন না। কারণ কোনওরকম পদক্ষেপ এই মুহূর্তে না করতে পারলেও লকডাউন ওঠার পর অধীর রঞ্জন চৌধুরির সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে আইনিভাবে এই বোর্ড গঠনের বিষয়কে কেন্দ্র করে পদক্ষেপ নেবেন। বলেন, "রাজ্য সরকার বিরোধীদের কোনওরকম গুরুত্ব দেয় না। নির্বাচন করে নিয়েছে। নির্বাচনে পুনরায় প্রাক্তনকে বর্তমান চেয়ারম্যান বানিয়ে দেওয়া হল। সেখানে বাতিলের খাতায় পড়ে থাকলেন অন্যান্য দলের লোকরা। তাছাড়া পাঁচ বছরে কতটা উন্নয়ন হয়েছে সে বিষয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল এই পৌরসভার বাসিন্দারা। আগামী দিনে কতটা উন্নয়ন হবে সেটাও জানেন পৌরবাসী। উন্নয়ন তাঁদের ব্যক্তিগতভাবেই হয়, সর্বসাধারণের জন্য নয়।"
পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে BJP নেত্রী বিনিতা রায় জানালেন, "এই বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। দিদি যা খুশি তাই করছেন। আইন অনুযায়ী SDO দায়িত্ব নেবেন । তারপর নির্বাচন করে নির্বাচিত প্রশাসক পৌরপিতার আসনে বসবেন।" এই বিষয়টিকে বেআইনি দাবি করে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে মানতে নারাজ বিরোধী দলগুলি। বিষয়টি ব্যক্তিগত স্বার্থ পূরণ ছাড়া আর কিছুই না বলে দাবি করছেন বিরোধীরা।