বহরমপুর, 3 মে : প্রণয়ঘটিত কারণই অনুমান করা হচ্ছিল প্রাথমিকভাবে ৷ বহরমপুরে কলেজ ছাত্রীকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের গ্রেফতারির পর সিলমোহর পড়ল তাতেই ৷ সোমবার সন্ধের ঘটনায় এখনও আতঙ্কের রেশ শহরের গোরাবাজার এলাকায় ৷ মঙ্গলের সকালেও থমথমে এলাকা ৷ উল্লেখযোগ্যভাবে খুনের ঘটনার পরদিন সকালে গোরাবাজারের শহীদ সূর্য সেন রোডে মেস ছাড়লেন বাকি ছাত্রীরা (Students left the mess after college girl stabbed to death in Berhampore) ৷ যে মেস থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে সোমবার সন্ধেয় খুন করা হয় বহরমপুর গার্লস কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে ৷
মঙ্গলবার সকালে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই মেস ছাড়েন ওই মেসের বাকি নয় ছাত্রী। বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে এসে ফিরিয়ে নিয়ে যান তাঁদের অভিভাবকরা ৷ শুধু ওই মেসই নয়, এলাকার অন্যান্য মেসগুলিতেও একই চিত্র ৷ অভিভাবক এবং ছাত্রীদের চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট ৷ অভিভাবকদের দাবি, তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবেন। ঘটনার পর থেকে বহরমপুর শহরে বাড়ানো হয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা ৷ শহীদ সূর্য সেন রোডের সুইমিং ক্লাব সংলগ্ন মেসে আরও ন'জন সহপাঠীর সঙ্গে থাকতেন মালদার সুতপা ৷ মালদারই আরও দুই ছাত্রী তাঁর সঙ্গে থাকতেন ওই মেসে ৷ সোমবার সন্ধের পর কিংকর্তব্যবিমূঢ় সকলেই ৷
আরও পড়ুন : বহরমপুরে ছাত্রী খুনের ঘটনায় রাজ্যের নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অধীর
সোমবার সুতপাকে মেস থেকে ডেকে গেটের মুখেই নৃশংসভাবে খুন করে মালদারই যুবক সুশান্ত চৌধুরী। প্রকাশ্যে খুনের পর নকল আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়েই এলাকা ছাড়ে অভিযুক্ত। তবে পুলিশি তৎপরতায় জেলাজুড়ে নাকা চেকিংয়ে তিন ঘন্টার মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয় । মৃত ছাত্রীর বাবা এবং পুলিশের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, দীর্ঘদিন ধরে সুশান্তের সঙ্গে সম্পর্কে থাকার পর সম্প্রতি সুতপা সেই সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। এরপর থেকেই শুরু হয় ব্ল্যাক মেলিং । গ্রামে সালিশি সভা ডেকে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ারও চেষ্টা করা হয়েছিল। যদিও তা ফলপ্রসূ হয়নি খুব একটা ৷ দুর্গাপুজোর সময়ও মদ্যপ অবস্থায় সুশান্ত সুতপার উপর চড়াও হয়েছিল বলে অভিযোগ ৷