বহরমপুর, 19 নভেম্বর : অধীর-গড়ে আক্রান্ত জেলা কংগ্রেসের এসসি (SC) এসটি (ST) সেলের সভাপতি ৷ বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে বহরমপুর খাগড়া বাজারে একটি শিবপুজোর মণ্ডপে । আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন জখম কংগ্রেস নেতা হীরু হালদার । রাতেই আক্রান্ত কংগ্রেস নেতাকে হাসপাতালে দেখতে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী । অভিযোগের তির রাজ্যের শাসকদলের দিকে ৷
হাসপাতালে তিনি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, এই ঘটনার পিছনে তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাত রয়েছে ৷ জখম কংগ্রেস নেতা প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, "হীরু হালদার মুর্শিদাবাদ জেলার তফশিলি জাতি ও উপজাতি সংগঠনের সভাপতি ৷" তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে খাগড়া এলাকার শিবপুজোর প্রসাদ খেতে গিয়েছিলেন হীরু হালদার । তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েকজন অনুগামীও ছিলেন । সেখানে কয়েকজন দুষ্কৃতী চড়াও হয় তাঁদের উপর ৷ তিনি বলেন, "আমরা বুঝতে পারছি দুষ্কৃতীরা তৃণমূল আশ্রিত ৷ আজ বহরমপুর শহরে শহর কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটা সফল জমায়েত হয়েছে ৷ এই জমায়েত দেখে তৃণমূলের একটা অংশের নেতাদের দুশ্চিন্তা বেড়েছে ৷ কংগ্রেসের শক্তি বৃদ্ধি তারা দেখতে চাইছে না ৷ তাই বহরমপুর শহর এবং মুর্শিদাবাদ জেলার তফশিলি জাতি ও উপজাতি সংগঠনের সভাপতি হীরু হালদার-সহ আরও দু'জনের উপর হঠাৎ রাতের অন্ধকারে অতর্কিতে হামলা চালানো হয় ৷"
আরও পড়ুন : Adhir-Mamata : ‘বিজেপিকে সহায়তা করবেন না’, মমতাকে অনুরোধ অধীরের
অভিযোগ, পুজো মণ্ডপে দুষ্কৃতীরা হীরু হালদার ও তাঁর সঙ্গীদের ঘিরে এলোপাথাড়ি মারধর করে । ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড, বাঁশ দিয়ে পেটানো হয় । মাটিতে লুটিয়ে পড়তেই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায় । সঙ্গে সঙ্গে রাতেই তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর দাবি, থানা পুলিশ সবাই জানে এই ঘটনায় কারা দোষী ৷
তৃণমূল সরকারের কাছে তাঁর প্রশ্ন, "সারা পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস শূন্য, মুর্শিদাবাদেও কংগ্রেস শূন্য ৷ তারপরেও কি কংগ্রেসকে হত্যা করার কোনও প্রয়োজন আছে ? তার পরেও কি কংগ্রেসের কর্মীদের উপর নৃশংস আক্রমণ করার কোনও প্রয়োজন আছে ?" সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জানান, আক্রমণ হতে হতে আজ না হয় কাল প্রতিরোধ গড়ে উঠবেই ৷ তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁর আবেদন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নজর দিন ৷ স্থানীয় প্রশাসন যেন কড়া হাতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করে ৷ দোষীদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী ৷
ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ।