বহরমপুর, 29 ডিসেম্বর: এবার সমবায় নির্বাচনেও গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে (Shootout and Bombing Over Cooperative Election) । পঞ্চায়েত নির্বাচনের মহড়া বলেই মনে করছেন অনেকে। নওদা ব্লকের চাঁদপুর সমবায় নির্বাচনকে (Cooperative Election) কেন্দ্র করে সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। বিরোধীদের ভোট দানে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
মূলত বুথ দখলকে কেন্দ্র করেই এই ঝামেলা ৷ সকাল থেকেই ভোটগ্রহণ শুরু হতেই বিরোধী এজেন্টদের ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে জোর করে বের করে দেওয়া হয় ৷ এ থেকেই সূত্রপাত ৷ বিরোধীদের বাঁশ লাঠি নিয়ে মারার জন্য তাড়া করারও অভিযোগ ওঠে শাসকদলের (TMC) বিরুদ্ধে ৷ সকাল থেকে দফায় দফায় বিরোধীদের সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয়। দুই পক্ষের সংঘর্ষের ছবি সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন সংবাদ মাধ্যমের দুই প্রতিনিধিও। স্থানীয় ব্লক তৃণমূল সভাপতির নেতৃত্বেই সাংবাদিকদের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। নওদা থানায় আক্রান্ত সাংবাদ মাধ্যমেই দুই প্রতিনিধি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: সমবায় নির্বাচনে রণক্ষেত্র নন্দীগ্রামের ডেকুটিয়া, আহত বহু
অন্যদিকে দিন যত গড়ায় উত্তেজনার পারদ ততই চড়তে শুরু করে। একসময় উত্তেজনা চরম সীমায় পৌঁছয়। গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে শাসক দল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। যদিও গুলি চলার কথা অস্বীকার করেছে পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি তথা কংগ্রেস নেতা মোশারফ হোসেন মণ্ডল বলেন, "পুলিশকে সামনে রেখে বুথ দখল করেই ভোট করছিল তৃণমূল। বিরোধীরা প্রতিরোধ করতে গিয়েই সংঘর্ষ বাঁধে। এই নওদা এলাকা তৃণমূলের হলেও অর্থাৎ এলাকার সাংসদ যিনি তিনি শাসক দলের তা এখন শক্তি হারাচ্ছে ৷ পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকা দখল করার জন্য সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করছে ৷" তৃণমূল সাংসদ তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান আবু তাহের খান বলেন, "বিরোধীরা পরাজয়ের আশঙ্কায় ভোট বাঞ্চালের চেষ্টা করছে। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কৃষি সমবায় নির্বাচনে এই হলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কী হবে ?"
আরও পড়ুন: পূর্ব মেদিনীপুরে দুই সমবায় সমিতির নির্বাচনে শাসক-বিরোধীর ফল 1-1