ETV Bharat / state

জিয়াগঞ্জ খুনে হয়নি কিনারা, বাড়ছে ক্ষোভ - জিয়াগঞ্জে শিক্ষক খুনের খবর

রাজনৈতিক খুন? না কি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য? অধরা এখনও একাধিক প্রশ্ন ৷ ঘটনার সাতদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কোনও সমাধানসূত্র না মেলায় পুলিশি গাফিলতি নিয়ে সরব হয়েছেন মৃতের পরিবারবর্গ সহ বিভিন্ন বিশিষ্ট মহল ৷

জিয়াগঞ্জ
author img

By

Published : Oct 14, 2019, 4:28 PM IST

Updated : Oct 14, 2019, 9:21 PM IST

মুর্শিদাবাদ , 14 অক্টোবর : জিয়াগঞ্জে শিক্ষক খুনের ঘটনার পর সাত দিন পেরিয়ে গেছে ৷ খুনের তদন্তে এগোলেও সমাধানসূত্র এখনও মেলেনি ৷ পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকায় সমালোচনার ঝড় বিশিষ্ট মহলে ৷ খুনের রহস্যের জট কাটাতে নিয়োগ করা হয়েছিল রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগের বিশেষ দলকেও ৷ কিন্তু রাজনৈতিক খুন? না কি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য? তার কিনারা হয়নি এখনও ৷ জেলা পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের যৌথ তদন্তেও রহস্যের কোনও সমাধান মেলেনি ৷ এই নিয়ে বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মুখে প্রশাসন ৷

দশমীর দিন সকাল প্রায় এগারোটা নাগাদ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বিউটি পাল (30) ও পুত্র অঙ্গন (5) -সহ নিজের বাড়িতেই খুন হন বন্ধুপ্রকাশ পাল ৷ নৃশংসভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় তাঁদের ৷ ঘটনার নৃশংসতা নিয়ে নিন্দায় সরব হন সবাই ৷ তদন্তকারী দল বেশ কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে জিয়াগঞ্জ, সাগরদিঘি, রামপুরহাট সহ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালায় ৷ এমনকি ঝাড়খন্ড পর্যন্তও পাড়ি দেওয়া হয় তদন্তের জন্য ৷ কিন্তু এত কিছুর পরেও রহস্যের কোনও কিনারা করতে পারেনি প্রশাসন ।

ঘটনার পর সাতদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কোনও সমাধানসূত্র না মেলায় পুলিশি গাফিলতি নিয়ে সরব হয়েছেন মৃতের পরিবারবর্গ সহ বিভিন্ন বিশিষ্ট মহল ৷ পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার অবশ্য এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, "তদন্তের জাল গুটিয়ে আনা হয়েছে । অপরাধীও নাগালের মধ্যে । পুলিশ নিশ্চিত হতে চাইছে সুপারি কিলার দিয়েই খুন করা হয়েছে কিনা ।"

দু'দিন আগে তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছিল রাজ্য গোয়েন্দা শাখা । CID ও জেলা পুলিশ, সন্দেহভাজন একাধিকজনকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেও খুনের মোটিভ বার করতে পারেনি । পাল পরিবারের বন্ধু তথা ব্যবসায়িক সহকর্মী শৌভিক বণিককে তিনদিন আগে সিউড়ির এক হোটেল থেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ । সেদিন থেকেই তাকে আলাদাভাবে এবং পাল পরিবারের অন্যদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয় ৷ তাও পুলিশ কোনও কিনারা করতে পারেনি । তদন্তের কাজে CID-র একটি দল পাড়ি দিয়েছে ঝাড়খণ্ডে । কিন্তু সেখানেও কোন যোগসূত্র মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে । পুলিশের দাবি খুন সংক্রান্ত বেশকিছু তথ্য তাদের হাতে এসেছে । তদন্তের স্বার্থেই সেগুলি প্রকাশ করা হচ্ছে না । বেশ কিছু রহস্যের জট এখনও খুলতে পারেনি তদন্তকারী দল ৷

তারমধ্যে, পাল পরিবারের পরিচারিকা সুনীতা দাসকে ঘটনার দিন বিউটি পাল কেন আগেই বাড়ি যাওয়ার জন্য জোরাজুরি করেছিলেন? নবমীর রাতে স্বামী ও ছেলের সঙ্গে প্রতিমা দেখতে বেড়িয়ে বিউটি পাল কেন একলা বাড়ি ফিরলেন? সাগরদিঘি থেকে কেন বন্ধুপ্রকাশ পাল জিয়াগঞ্জে উঠে এলেন? এই প্রশ্নগুলি উঠে আসছে ৷

শৌভিক বণিকের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ ইতিমধ্যে পেয়েছে পুলিশ । কিন্তু সেটাই খুনের কারণ বলে মনে করছে না পুলিশ । 7 দিন পরেও খুনের রহস্যের জট না কাটায় পুলিশের ভুমিকা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠছে । DIB-র এক শীর্ষকর্তা বলেন, ''ধানতলা কাণ্ডে নিরপরাধীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ বিপাকে পড়েছিল । মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের লক্ষ্য সঠিক ব্যক্তিকে প্রমাণ সহ গ্রেপ্তার করা । দেরি হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু বিচারের সময় সুবিধা হবে।''

মুর্শিদাবাদ , 14 অক্টোবর : জিয়াগঞ্জে শিক্ষক খুনের ঘটনার পর সাত দিন পেরিয়ে গেছে ৷ খুনের তদন্তে এগোলেও সমাধানসূত্র এখনও মেলেনি ৷ পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকায় সমালোচনার ঝড় বিশিষ্ট মহলে ৷ খুনের রহস্যের জট কাটাতে নিয়োগ করা হয়েছিল রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগের বিশেষ দলকেও ৷ কিন্তু রাজনৈতিক খুন? না কি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য? তার কিনারা হয়নি এখনও ৷ জেলা পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের যৌথ তদন্তেও রহস্যের কোনও সমাধান মেলেনি ৷ এই নিয়ে বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মুখে প্রশাসন ৷

দশমীর দিন সকাল প্রায় এগারোটা নাগাদ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বিউটি পাল (30) ও পুত্র অঙ্গন (5) -সহ নিজের বাড়িতেই খুন হন বন্ধুপ্রকাশ পাল ৷ নৃশংসভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় তাঁদের ৷ ঘটনার নৃশংসতা নিয়ে নিন্দায় সরব হন সবাই ৷ তদন্তকারী দল বেশ কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে জিয়াগঞ্জ, সাগরদিঘি, রামপুরহাট সহ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালায় ৷ এমনকি ঝাড়খন্ড পর্যন্তও পাড়ি দেওয়া হয় তদন্তের জন্য ৷ কিন্তু এত কিছুর পরেও রহস্যের কোনও কিনারা করতে পারেনি প্রশাসন ।

ঘটনার পর সাতদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কোনও সমাধানসূত্র না মেলায় পুলিশি গাফিলতি নিয়ে সরব হয়েছেন মৃতের পরিবারবর্গ সহ বিভিন্ন বিশিষ্ট মহল ৷ পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার অবশ্য এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, "তদন্তের জাল গুটিয়ে আনা হয়েছে । অপরাধীও নাগালের মধ্যে । পুলিশ নিশ্চিত হতে চাইছে সুপারি কিলার দিয়েই খুন করা হয়েছে কিনা ।"

দু'দিন আগে তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছিল রাজ্য গোয়েন্দা শাখা । CID ও জেলা পুলিশ, সন্দেহভাজন একাধিকজনকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেও খুনের মোটিভ বার করতে পারেনি । পাল পরিবারের বন্ধু তথা ব্যবসায়িক সহকর্মী শৌভিক বণিককে তিনদিন আগে সিউড়ির এক হোটেল থেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ । সেদিন থেকেই তাকে আলাদাভাবে এবং পাল পরিবারের অন্যদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয় ৷ তাও পুলিশ কোনও কিনারা করতে পারেনি । তদন্তের কাজে CID-র একটি দল পাড়ি দিয়েছে ঝাড়খণ্ডে । কিন্তু সেখানেও কোন যোগসূত্র মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে । পুলিশের দাবি খুন সংক্রান্ত বেশকিছু তথ্য তাদের হাতে এসেছে । তদন্তের স্বার্থেই সেগুলি প্রকাশ করা হচ্ছে না । বেশ কিছু রহস্যের জট এখনও খুলতে পারেনি তদন্তকারী দল ৷

তারমধ্যে, পাল পরিবারের পরিচারিকা সুনীতা দাসকে ঘটনার দিন বিউটি পাল কেন আগেই বাড়ি যাওয়ার জন্য জোরাজুরি করেছিলেন? নবমীর রাতে স্বামী ও ছেলের সঙ্গে প্রতিমা দেখতে বেড়িয়ে বিউটি পাল কেন একলা বাড়ি ফিরলেন? সাগরদিঘি থেকে কেন বন্ধুপ্রকাশ পাল জিয়াগঞ্জে উঠে এলেন? এই প্রশ্নগুলি উঠে আসছে ৷

শৌভিক বণিকের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ ইতিমধ্যে পেয়েছে পুলিশ । কিন্তু সেটাই খুনের কারণ বলে মনে করছে না পুলিশ । 7 দিন পরেও খুনের রহস্যের জট না কাটায় পুলিশের ভুমিকা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠছে । DIB-র এক শীর্ষকর্তা বলেন, ''ধানতলা কাণ্ডে নিরপরাধীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ বিপাকে পড়েছিল । মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের লক্ষ্য সঠিক ব্যক্তিকে প্রমাণ সহ গ্রেপ্তার করা । দেরি হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু বিচারের সময় সুবিধা হবে।''

Intro:সাতদিন পরেও জিয়াগঞ্জের খুনের কিনারাই ব্যার্থ পুলিশ। সমালোচনার মুলহে পুলিশ প্রশাসন। Body:মুর্শিদাবাদ -জিয়াগঞ্জ খুনের রহস্যের জট কাটাতে সাত দিন পরেও হাবুডুবু খাচ্ছে রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশ ও জেলা পুলিশ। দুই তদন্তকারী দল যৌথনামে রহস্য সমাধানে নেমেও এখন সঠিক দিশা পায়নি। তদন্তকারি দল বেশ কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে জিয়াগঞ্জ, সাগরদিঘি, রামপুরহাট সহ ঝাড়খন্ড পর্যন্ত পাড়ি দিয়েও কনারা করতে পারেনি। এদিকে ঘটনার পর সাতদিন পেরিয়ে যাওয়ায় তদন্ত নিয়ে সোচ্চার হয়েছে বিভিন্ন মহল সহ মৃতের পরিবারবর্গ। পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার অবশ্য এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তদন্তের জাল গুটিয়ে আনা হয়েছে। অপরাধীও নাগালের মধ্যে। পুলিশ নিশ্চিত হতে চাইছে সুপারি কিলার দিয়েই খুন করা হয়েছে কিনা।
দশমীর দিন সকাল এগারোটা নাগাদ পাল পরিবারের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সহ তিনজনকে বাড়িতে ঢুকে নৃশংসবভাবে খুন করে আততায়ী। তারপর থেকে এই খুনের কিনারা করতে নাকানি চোবানি খেতে হয়েছে জেলা পুলিশকে। দুদিন আগে তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে একই অবস্থা রাজ্য গোয়েন্দা শাখার। সিআইডি ও জেলা পুলিশ,সন্দেহভাজন একাধিকজনকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেও খুনের মোটিভ বার করতে পারেনি। পাল।পরিবারের বন্ধু তথা ব্যাবসায়ীক সহকর্মী সৌভিক বণিককে তিন্দিন আগে সিউড়ির এক হোটেল থেকে করে এনেছে পুলিশ। সেদিন থেকেই তাকে একলা এবং পাল পরিবারের অন্যন্যদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করেও পুলিশ কিনারা করতে পারেনি। তদন্তের কাজে সিআইডি একটি দল পাড়ি দিয়েছে ঝাড়খন্ডে। কিন্তু সেখানেও কোন যোগসূত্র মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে। যদিও পুলিশের দাবি খুন সংক্রান্ত বেশকিছু তথ্য তাদের হাতে এসেছে। তদন্তের স্বার্থেই সেগুলি প্রকাশ করা হচ্ছে না। পাল। বেশ কিছু রহস্যের জট এখনও খুলতে পারেনি তদন্তকারি দল। তারমধ্যে, পাল পরিবারের কাজের মাসি সুনিতা দাসকে ঘটনার দিন বিউটি পাল কেন আগেই বাড়ি যাওয়ার জন্য জেরাজেরি করেছিলেন? নবমীর রাতে স্বামী ও ছেলের সঙ্গে প্রতিমা দেখতে বেড়িয়ে বিউটি পাল কেন একলা বাড়ি ফিরলেন? সাগরদিঘি থেকে কেন বন্ধুপ্রকাশ পাল জিয়াগঞ্জে উঠে এলেন? সৌভিক বণিকের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের প্রমান ইতিমধ্যে পেয়েছে পুলিশ। কিন্তু সেটাই খুনের মোটিভ বলে মনে করছে না পুলিশ। এদিকে সাতদিন পরেও খুনের রহস্যের জট না কাটায় পুলিশের ভুমিকা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠছে। ডিআইবির এক শীর্ষকর্তা বলেন, ধানতলা কান্ডে নিরপরাধীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ বিপাকে পড়েছিল। মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের লক্ষ্য সঠিক ব্যাক্তিকে প্রমান সহ গ্রেপ্তার। দেরি হচ্ছে ঠিক কিন্তু বিচারের সময় সুবিধা হবে।Conclusion:তদন্তের জাল গুটিয়ে আনা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষে দাবি করা হলেও গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
Last Updated : Oct 14, 2019, 9:21 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.