ETV Bharat / state

ভারোত্তোলনে সোনা জিতে তাক লাগাল পোলিয়োয় আক্রান্ত 'বীরবাহাদুর' - murshidabad

পোলিয়ো রোগে আক্রান্ত হয়ে দুটো পায়ের জোর হারান মুর্শিদাবাদের বাহাদুরপুরের বাসিন্দা নুর আলম শেখ । কখনও নিজের পায়ে দাঁড়ানো হয়নি নুরের । অতি কষ্ট ও দারিদ্রের মধ্য থেকেও সব বাধা কাটিয়ে আজ সকলের গর্ব নুর । প্রতিবন্ধকতাকে অগ্রাহ্য করে মনের জোর আর অদম্য সাহসের উপর ভর করে ভারোত্তোলনে সোনা জয় করেছেন তিনি । তারপর থেকেই নুর বাহাদুরপুরের বীরবাহাদুর নামেই পরিচিত ।

নুর আলম শেখ
author img

By

Published : Aug 2, 2019, 7:33 PM IST

Updated : Aug 2, 2019, 9:03 PM IST

বহরমপুর, 2 অগাস্ট : বয়স তখন মাত্র সাত । পোলিয়ো রোগে আক্রান্ত হয়ে দুটো পায়ের জোর হারান মুর্শিদাবাদের বাহাদুরপুরের বাসিন্দা নুর আলম শেখ । কখনও নিজের পায়ে দাঁড়ানো হয়নি নুরের । অতি কষ্ট ও দারিদ্রের মধ্য থেকেও সব বাধা কাটিয়ে আজ সকলের গর্ব নুর । প্রতিবন্ধকতাকে অগ্রাহ্য করে মনের জোর আর অদম্য সাহসের উপর ভর করে ভারোত্তোলনে সোনা জয় করেছেন তিনি । তারপর থেকেই নুর বাহাদুরপুরের বীরবাহাদুর নামেই পরিচিত ।

দু'পায়ের ক্ষমতা হারালেও সমবয়সীদের দেখে খেলার নেশা তাঁকে চেপে ধরে । সেই নেশায় একদিন স্বপ্ন দেখতে শেখায় । মনের জোর আর অদম্য ইচ্ছে তাকে স্বপ্ন জয়ের পথ দেখিয়েছে ।
পরিকাঠামো ছিল না । বন্ধুরা বাঁশের বেড়া দেওয়া ঘর তৈরি করে দেয় । পাথর ও বাটখারাকে কাজে লাগিয়ে শুরু হয় প্রচেষ্টা । নিরলস পরিশ্রম চালিয়ে বেশ পারদর্শী হয়ে ওঠেন নুর । কয়েক জায়গা থেকে পদকও জিতে আনেন । ডাক পড়ে সিকিমে যোগ দেওয়ার । ইয়ুমথাঙে 'ইস্টার্ন ইন্ডিয়া ইনক্লাইন্ড বেনচ'-এর উদ্যোগে বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য একটি চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন হয় । সেখানেই ভারোত্তোলনে সোনার পদক পান নুর । ৫২ কেজির বিভাগে ১৭২.৫ কেজি ওজন তুলে প্রথম হন তিনি ।

শুনুন বক্তব্য

অভাবের সংসার । বাবা সবজি বিক্রেতা । তবুও পরিবারের সদস্য ও বন্ধুরা বরাবর সাহস ও উৎসাহ জুগিয়েছে । আজও তারাই সাহস জুগিয়ে আসছে । লক্ষ্য আরও বড় জায়গা । দোকানের হাড়ভাঙা খাটুনির পরও চেষ্টা অব্যাহত । স্বপ্ন নিয়েই দিন কাটে নুরের । অলিম্পিক যেন তাকে ডাকে । আগামীতে লক্ষ্য আরও বড় । তার জন্য প্রস্তুতি চলছে । অভাব শুধু পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর । আর সেই কারণেই সরকারের থেকে সাহায্য চাইছে নুরের পরিবার ও বন্ধুরা ।

বহরমপুর, 2 অগাস্ট : বয়স তখন মাত্র সাত । পোলিয়ো রোগে আক্রান্ত হয়ে দুটো পায়ের জোর হারান মুর্শিদাবাদের বাহাদুরপুরের বাসিন্দা নুর আলম শেখ । কখনও নিজের পায়ে দাঁড়ানো হয়নি নুরের । অতি কষ্ট ও দারিদ্রের মধ্য থেকেও সব বাধা কাটিয়ে আজ সকলের গর্ব নুর । প্রতিবন্ধকতাকে অগ্রাহ্য করে মনের জোর আর অদম্য সাহসের উপর ভর করে ভারোত্তোলনে সোনা জয় করেছেন তিনি । তারপর থেকেই নুর বাহাদুরপুরের বীরবাহাদুর নামেই পরিচিত ।

দু'পায়ের ক্ষমতা হারালেও সমবয়সীদের দেখে খেলার নেশা তাঁকে চেপে ধরে । সেই নেশায় একদিন স্বপ্ন দেখতে শেখায় । মনের জোর আর অদম্য ইচ্ছে তাকে স্বপ্ন জয়ের পথ দেখিয়েছে ।
পরিকাঠামো ছিল না । বন্ধুরা বাঁশের বেড়া দেওয়া ঘর তৈরি করে দেয় । পাথর ও বাটখারাকে কাজে লাগিয়ে শুরু হয় প্রচেষ্টা । নিরলস পরিশ্রম চালিয়ে বেশ পারদর্শী হয়ে ওঠেন নুর । কয়েক জায়গা থেকে পদকও জিতে আনেন । ডাক পড়ে সিকিমে যোগ দেওয়ার । ইয়ুমথাঙে 'ইস্টার্ন ইন্ডিয়া ইনক্লাইন্ড বেনচ'-এর উদ্যোগে বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য একটি চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন হয় । সেখানেই ভারোত্তোলনে সোনার পদক পান নুর । ৫২ কেজির বিভাগে ১৭২.৫ কেজি ওজন তুলে প্রথম হন তিনি ।

শুনুন বক্তব্য

অভাবের সংসার । বাবা সবজি বিক্রেতা । তবুও পরিবারের সদস্য ও বন্ধুরা বরাবর সাহস ও উৎসাহ জুগিয়েছে । আজও তারাই সাহস জুগিয়ে আসছে । লক্ষ্য আরও বড় জায়গা । দোকানের হাড়ভাঙা খাটুনির পরও চেষ্টা অব্যাহত । স্বপ্ন নিয়েই দিন কাটে নুরের । অলিম্পিক যেন তাকে ডাকে । আগামীতে লক্ষ্য আরও বড় । তার জন্য প্রস্তুতি চলছে । অভাব শুধু পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর । আর সেই কারণেই সরকারের থেকে সাহায্য চাইছে নুরের পরিবার ও বন্ধুরা ।

Intro:প্রতিবন্ধকতাকে অগ্রাহ্য করে মনের জোড় আর অদম্য সাহসে ভারোত্তোলোনা সোনা জয় করল বাহাদুরপুরের নূর আলম । তারপর থেকে নূর আলম বাহাদুরপুর বিরবাহাদুর নামেই পরিচিত হয়ে উঠেছে ।


Body:বরঙা - মাত্র সাত মাস বয়সে পোলিও রোগে আক্রান্ত হয়ে দুপায়ের ক্ষমতা হারিয়েছেন । কিন্তু খেলার নেশা টকে মাঠে টেনে নিয়ে গিয়েছে প্রতিদিন । সেইনেসায় একদিন স্বপ্ন দেখতে শেখায় । মনের জোর আর অদম্য ইচ্ছা তাকে স্বপ্ন জয়ে পথ দেখিয়েছে ।
গত 12-14 জুলাই সিকিমের ইয়াংথামে স্ট্রেনথলিফটিং এন্ড ইনকলাইন্ড বেঞ্চ প্রেস চ্যাম্পিয়নসিপার আসর বসেছিল । সেখানেই সাধারণ প্রতিযোগিদের সঙ্গে নামে শারীরিক অক্ষম নূর । সকলোকে পিছনে ফেলে জয় করে সোনার মেডেল । তারপর থেকে আজ পারে গাঁয়ে র নুৰ হয়ে ওঠে সোনার ছেলে ।
পরিকাঠামো ছিলোনা । গ্রামের বন্ধুরা বাসের বের দেওয়া ঘর তৈরি করে দেয় । পাথর বাতখারাকে কাজে লাগিয়ে শুরু করে প্র্যাকটিস । নিরলস প্রয়াস চালিয়ে বেশ কয়েক জায়গা থেকেই মেডেল এনে । সিকিম থেকে শোনা যায় বড় প্রাপ্তি । অভাবের সংসার । বাবা সবজি বিক্রেতা । সেভাবে সাহায্য মেলেনি পিরিবার থেকে । বন্ধুরায় পাশে দাঁড়িযেছে বরাবর । আজও তারাই সাহস জুগিয়ে আসছে । লক্ষ্য আরও বড় জায়গা । দোকানের হাড় ভাঙা খুটিনির পর চেষ্টা অব্যহত । স্বপ্ন নিয়েই দিন কাটে নুরের । ভাঙা বাড়িতে শুয়ে দেখে অলিম্পিক জয়ের হাতছানি ।


Conclusion:আগামীতে নূর আলমের লক্ষ্য আরও বড় । তারজন্য প্রস্তুতি চলছে । অভাব শুধু পরিকাঠামো ।
Last Updated : Aug 2, 2019, 9:03 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.